রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে সচেষ্ট ত্রিপুরা সরকার

Tripura News: রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে সচেষ্ট ত্রিপুরা সরকার

আবীর ঘোষাল, আগরতলা: ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে খুবই আন্তরিক বর্তমান সরকার। মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে কীভাবে আরও সহজে দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে সরকার। আগামী দিনে ত্রিপুরায় একটি হোমিওপ্যাথি ও একটি আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। রাজধানী সংলগ্ন সাধুটিলাস্থিত নেতাজি সুভাষ স্টেট হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল সরেজমিনে পরিদর্শন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুন- ৫ জন মজুরের সমান ক্ষমতা আর বাঁচাবে সময়ও; ‘জুগাড়’ পদ্ধতিতে চাষের অভিনব যন্ত্র বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন কৃষক !       

দু’দিনের ব্যবধানে রাজ্যের দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে স্টেট আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল পরিদর্শন করে সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও পরিকাঠামো পর্যবেক্ষণ করেন ডাঃ সাহা। এবার তিনি পা রাখলেন রাজধানী লাগোয়া সাধুটিলাস্থিত নেতাজি সুভাষ স্টেট হোমিওপ্যাথি হাসপাতালে। মূলত, রাজ্য হোমিওপ্যাথি হাসপাতালের সামগ্রিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে তাঁর এই পরিদর্শন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। তাই চিকিৎসা পরিষেবায় যাতে কোন ধরণের ঘাটতি না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে সংকল্পবদ্ধ তিনি। এদিন শিবনগর এলাকার বাসিন্দা বকুল ঘোষ নামে এক মহিলা রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি অন্তর্বিভাগে পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন স্থানীয় সুভাষনগরের বাসিন্দা উত্তম কুমার সাহা (৫৭) নামে এক রোগীর শারীরিক অবস্থার খবরাখবর নেন। এ ছাড়া হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর ও প্যাথলজি বিভাগ ঘুরে দেখেন।

আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে, সপ্তাহের শেষে ফের ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে !

এদিন হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল পরিদর্শন করে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা জানি যে এখানে একটা স্টেট হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল রয়েছে। এখানে একটা হোমিওপ্যাথি কলেজ খোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে। তাই এই হাসপাতালটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করতে এসেছি। এখানে বেশ কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হয়েছে।আমার সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের সচিব ও অধিকর্তাও রয়েছেন। এ বিষয়ে আরও কিছু চিন্তাভাবনা করতে হবে। আজকের পরিদর্শনের সময়ে রোগীদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। এই হাসপাতালে যাতে রোগীদের সায়েন্টিফিক ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করা যায় তার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগামী দিনে আরও কী করা যায়, সেটা নিশ্চয় দেখা হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি হোমিওপ্যাথি ও একটি আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার। সেসব দিক খতিয়ে দেখতেই এখানে আসা। কারণ শুধু কাগজে কলমে সিদ্ধান্ত নিলে হবে না। বাস্তব পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই হাসপাতালে এখন দৈনিক ১১৫ থেকে ১২০ জনের মতো রোগী পরিষেবা নিতে আসেন। তবে আমরা চাই আরও বেশি মানুষ পরিষেবা নিতে এখানে আসুক। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে হাসপাতালটিকে আরও কীভাবে অত্যাধুনিক করা যায় সেটা ভাবনাচিন্তা করা হবে। সব বিষয় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’’