গাজিয়ানটেপ: চারপাশে থর থর করে কাঁপছে সবকিছু৷ গত সোমবার ভোররাতে যখন তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহর প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে, তখন বহু মানুষই গভীর ঘুমের ঘোরে৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ৷
ভূমিকম্প হচ্ছে যাঁরা টের পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের একটি হাসপাতালের দুই নার্স ডেভলেট নিজাম এবং গাজৌল কালিস্কান৷ প্রাণ বাঁচাতে তাঁরাও চাইলে হাসপাতালের বাইরে গিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারতেন৷ কিন্তু সেপথে হাঁটেননি ওই দুই নার্স৷ বরং নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থেকে ছুটে আসেন হাসপাতালের নিওন্যাটাল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে৷
Sağlıkçılarımız şahane insanlar?#GaziantepBüyükşehir İnayet Topçuoğlu Hastanemiz yenidoğan yoğun bakım ünitesinde, 7.7’lik #deprem esnasında minik bebekleri korumak için Hemşire Devlet Nizam ve Gazel Çalışkan tarafından gösterilen gayreti anlatacak kelime var mı?
?????? pic.twitter.com/iAtItDlOwb
— Fatma Şahin (@FatmaSahin) February 11, 2023
চারপাশে থর থর করে কাঁপছে সবকিছু৷ গত সোমবার ভোররাতে যখন তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহর প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে, তখন বহু মানুষই গভীর ঘুমের ঘোরে৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ৷
নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর আগে ওই দু’ জনের মনে হয়েছিল, হাসপাতালে ভর্তি থাকা সদ্যোজাত শিশুগুলির প্রাণ বাঁচাতে হবে৷ তাই চারপাশ যখন প্রবল কম্পনে কাঁপছে, ডেভলেট এবং গাজৌল নামে ওই দুই নার্স দু’টি ইনকিউবেটর আঁকড়ে দাঁড়িয়েছিলেন৷ যাতে কম্পনের জেরে কোনওভাবে ইনকিউবিটেরগুলি উল্টে পড়ে ভিতরে থাকা শিশুগুলির ক্ষতি না হয়৷
আরও পড়ুন: ‘রাখে হরি, মারে কে’, ধ্বংসস্তূপের নীচে বেঁচে ১২৮ ঘণ্টা, তুরস্কে মিলল রহস্যময় শিশু! তোলপাড় বিশ্ব
এই ঘটনা ধরা পড়েছে হাসপাতালের সিসিটিভি-তে৷ সেই ভিডিও ট্যুইট করেছেন তুরস্কের এক রাজনীতিবিদ৷ এই ভিডিও-তে ওই দুই নার্সের কাজের প্রতি দায়িত্ববোধ ছাড়াও তুরস্কের ভূমিকম্প কতটা ভয়াল ছিল তা ধরা পড়েছে৷
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের পরে আটকে পড়েছিলেন দমবন্ধ করা অন্ধকারে, হোয়াটস অ্যাপই ফিরিয়ে দিল জীবন
রিখটার স্কেলে তুরস্কের এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭৷ এই ভিডিওতেও দেখা গিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় তুরস্কের ওই হাসপাতালটির ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটের সবকিছু মারাত্মক ভাবে কাঁপছে৷
১৯৩৯ সালের পর এটিই তুরস্কের ভয়ঙ্করতম ভূমিকম্প৷ শুধু মাত্র তুরস্কেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার ছুঁয়েছে৷ সিরিয়াতেও মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের৷ যদিও শুক্রবারের পর সিরিয়ায় হতাহতের সংখ্যা কত দাঁড়িয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি৷