প্রতীকী ছবি

Bihar: ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় প্রথম দোষী সাব্যস্ত করল আদালত, কোন রাজ্যে ঘটল এই ঘটনা?

পাটনা: ভারতবর্ষে প্রথম রাজ্য হিসাবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় এক নাবালককে দোষী সাব্যস্ত করা হল। বিহারের সরণ থানায় তিনটি হত্যা মামলায় দুই নাবালকের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় উল্লেখিত আইনের ধারায় তাঁদের যাব্বজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।

ইতিমধ্যেই আদালত যাব্বজীবন কারাদণ্ড ছাড়াও দুই অপরাধীকে ২৫ হাজার টাকার জরিমানা করেছে।

আরও পড়ুন: ‘মন ভাল নেই’- অভিযোগ জানাতে গিয়ে মহকুমাশাসকের দুর্ব্যবহারে বিস্মিত সাংবাদিক!
সূত্রের খবর, অপরাধী দুই নাবালক প্রেম সংক্রান্ত বিবাদ থেকে দুই নাবালিকা এবং তাঁদের বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। রাতে, দুই নাবালিকা এবং তাঁদের বাবা যখন ছাদে ঘুমাচ্ছিলেন তখনই তিনজনকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে ওই দুই নাবালক।

ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয় ওই দুইজনকে। বৃহস্পতিবার, ঘটনার ৫০দিনের মাথায় দ্রুত শুনানি শেষ করে দুই নাবালককে যাব্বজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আদালত।
পয়লা জুলাই থেকে সারা ভারতে কার্যকর হয় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং এই প্রথমে এই নতুন আইনের উপর ভিত্তি করে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করা হল।

আরও পড়ুন:তেলঙ্গানায় ভয়ঙ্কর ঘটনা, পুলিশের বিরাট অভিযান! শীর্ষ নেতা-সহ মৃত্যু ৬ মাওবাদীর
এই প্রসঙ্গে সরণ অঞ্চলের পুলিশ আধিকারিক ডঃ কুমার আশিস বলেন, “আজকে এক ঐতিহাসিক দিন বিহার এবং বিহার পুলিশের জন্য। সরণ প্রথম জেলা হিসাবে সারা বিহারে এবং বিহার ভারতে প্রথম রাজ্য হিসাবে জায়গা করে নিল যেখানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কাউকে দোষী সাবস্ত্য করে সাজা দেওয়া হল।

গত ১৭ জুলাই রাত ২টোর সময় আমারা জরুরি নম্বর ১১২ এ ফোন পাই যে একই পরিবারের তিনজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এক ঘণ্টার মধ্যেই আমরা দুই অপরাধীকে গ্রেফতার করি।”

মামলা প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমরা তদন্ত শুরু করি, এফআইআর দায়ের করি যথাক্রমে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩(১), ১০৯(১), ৩২৯-৪/৩(৫)। এছাড়াও আমরা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নি। ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে আমরা চার্জশিট গঠনও করে ফেলি। এরপরেই অগাস্টের ১৩ তারিখ থেকে শুনানি শুরু হয়। এবং ৩রা সেপ্টেম্বর দুজনকে দোষী সাবস্ত্য করা হয়। এরপরেই আজ তাঁদের যাব্বজীবন কারাদণ্ডের কথা জানানো হয়। ধৃতদের নাম যথাক্রমে রোশন কুমার এবং অঙ্কিত কুমার।”