পাঁচমিশালি Gold: কলকাতার কাছেই এই নদী, হাত দিলেই তাল-তাল সোনা! কোথায় জানেন? শুনে কিন্তু চমকে উঠবেন Gallery September 5, 2024 Bangla Digital Desk ‘এ নদী এমন নদী জল’ চাইলে সোনা দেয়। গল্প নয়, ঝাড়খণ্ডের সুবর্ণরেখা যেন সোনার খনি। জলের স্রোতে এই নদীতে বয়ে আসে স্বর্ণ খণ্ড। বাংলায় সুবর্ণরেখা আর হিন্দিতে এর নাম স্বর্ণরেখা। স্বর্ণরেখা আর তার উপনদী করকরিতে পাওয়া যায় সোনার টুকরো। ঝাড়খণ্ডের রাঁচির কাছে উৎপন্ন হয়ে এই নদী পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। রাঁচি শহর থেকে এই নদীর দূরত্ব ১৬ কিমি। নদীর দৈর্ঘ্য ৪৭৪ কিমি। দীর্ঘদিন ধরে সুবর্ণরেখার স্রোতে সোনা বয়ে আসার রহস্য উদ্ঘাটন করতে চেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কোনও জুতসই উত্তর পাওয়া যায়নি। ভূতাত্ত্বিকের মতে সোনা আছে এমন পাথরের ওপর দিয়ে সুবর্ণরেখার জলের স্রোত প্রবাহিত হয়। জলের ঘর্ষণেই কুঁচি কুঁচি সোনা আসে জলে। এলাকাবাসীর বিকল্প আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে এই নদী। এক খণ্ড ধানের মত সূক্ষ্ম সোনার কুঁচি পাওয়া যায় সুবর্ণরেখার জলে। সারাণ্ডা ও তমাড় এলাকার মানুষজন সকাল থেকে নদীতে সোনার খোঁজে ছোটেন। অনেকেই বলছেন, সোনার সন্ধান পাওয়াটা নতুন কিছু নয়। এলাকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী ঝোরার গোষ্ঠীভুক্তরা অনেকদিন ধরেই স্থানীয় নদী থেকে সোনা কুড়িয়ে পাওয়ার কথা বলে আসছে। সেই কারণে এখানকার নামও দেওয়া হয়েছে সোনাঝুরি। ২০১২ সালে এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করে। দু’টি আলাদা বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এলাকার সমীক্ষাও করানো হয়। কিন্তু তাতে ইতিবাচক কোনও ফল এসেছে, এমন নয়। ফলে সরকার আর সোনার খনির খোঁজে এগোয়নি। নতুন করে আবার সোনার খনির কথা ওঠায়, ওই নদীর জলে, মাটিতে সোনার সন্ধান পাওয়ায় সরকার ফের পুরো বিষয়টি হয়ত খতিয়ে দেখবে।