মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলার প্রখ্যাত লেখক ছিলেন সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ। তার বাড়ি গোকর্ণ খোসবাসপুরে। তার জন্মদিনের দিনেই করে তার বাড়ির কাছেই বহরমপুর সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কে কান্দির রণগ্রাম ব্রিজের উপর মুর্তির উন্মোচন করা হল। সোমবার সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মুর্তির উন্মোচন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কান্দি বিধায়ক অপূর্ব সরকার, কান্দি থানার আইসি মৃনাল সিনহা, কান্দির বিডিও ও কান্দি পৌরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক ও পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: এবারের শারদ সুন্দরী মফস্বলের মেয়ে! শিরোপা মিলল শান্তিপুরের স্বরলিপির
প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ মুর্শিদাবাদের খোশবাসপুর গ্রামে ১৯৩০ সালে অক্টোবর মাসে জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের জন্ম ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ই অক্টোবর মুর্শিদাবাদ জেলার খোশবাসপুর গ্রামে । পিতা সৈয়দ আবদুর রহমান ফেরদৌসী এবং মা ছিলেন আনোয়ারা বেগম । একই সঙ্গে শৈশব-কৈশোরে দুই বিপরীতধর্মী জীবনকে উপভোগ করেছেন তিনি। একদিকে পারিবারিক শিক্ষা অন্যদিকে উন্মুক্ত পৃথিবীর কোলে বেড়ে ওঠা লেখক সিরাজ বাস্তিবিকই হয়ে উঠেছিলেন প্রকৃতিচর। তাঁর গ্রামের কাছেই ছিল দ্বারকা নদীর অববাহিকা অঞ্চল, কাশকুশ ব্যানার জঙ্গল। আবাল্য বেড়ে ওঠা খোশবাসপুরের তৃণভূমি অঞ্চল, রাখালিয়া জীবন তাঁকে আকৃষ্ট করেছিল প্রবলভাবে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন! আধ্যাত্মিক ও প্রযুক্তির এ এক অপূর্ব মেলবন্ধন
প্রথম জীবনে বাড়ি থেকে পলাতক কিশোরের জীবন অতিবাহিত করেছেন। রাঢ় বাংলার লোকনাট্য “আলকাপের” সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাচ-গান-অভিনয়ে অংশ নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরেছেন৷ তিনি ছিলেন ‘আলকাপ’ দলের “ওস্তাদ” (গুরু)। নাচ-গানের প্রশিক্ষণ ছিলেন। কলকাতায় বাস করলেও নিজেকে কলকাতায় প্রবাসী ভাবতেই ভালোবাসতেন। সুযোগ পেলেই বার বার মুর্শিদাবাদের খোশবাসপুরে গ্রামে পালিয়ে যেতেন। সেই পলাতক কিশোর তাঁর চরিত্রের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। তিনি একাধিক বই লিখেছিলেন। কান্দি একটা প্রাচীন শহর, তার যে উজ্জ্বল লেখনির মধ্যে দিয়েই তিনি ঘটিয়ে ছিলেন।
কৌশিক অধিকারী