ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ আজকাল এই সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন৷ যদি এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তবে এটি আমাদের হাত ও পায়ের জয়েন্টগুলিতে জমতে শুরু করে। এই কারণে গাঁটের ব্যথা বাড়ে।বেশিরভাগ মানুষই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাকে উপেক্ষা করে থাকে এবং এই কারণেই সমস্যা বাড়তে থাকে৷ এটি একটি জটিল রোগ৷ এই রোগ থেকে শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়৷ এই কারণেই ইউরিক অ্যাসিডকে নিজের বশে রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।পালং শাক খেতে কার না ভাল লাগে? এটি অনেকের বাড়িতেই ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে পালং শাক খাওয়া কিছু মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক৷যারা ইউরিক অ্যাসিডে ভুগছেন তাঁরা ভুলেও অতিরিক্ত খাবেন না পালং শাক৷ এতে হিতে বিপরীত হতে পারে৷রবিকান্ত পান্ডে, একজন ঔষধি উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ যিনি গত ১০ বছর ধরে গবেষণা করছেন তিনি বলেছেন যে পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, তাই এটিকে উপকারী বিবেচনা করে বেশিরভাগ মানুষই এটি প্রচুর পরিমাণে খান। এমনকি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরাও এটি খেতে বাদ দেন না।তিনি বলেন, পুষ্টির পাশাপাশি পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন। পিউরিন এমন একটি উপাদান যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য পালং শাক খাওয়া খুবই ক্ষতিকর হতে পারে।
পালং শাক খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন প্রবেশ করে, যার র ফলে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পালং শাক খাওয়া ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য চরম বিপজ্জনক, এটি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বহুগুণ বেড়ে দিতে পারে।অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শুধু পালং শাক নয়, ব্রকোলি, মাশরুম এবং ফুলকপির মতো শাক-সবজিও খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত৷
