ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ আজকাল এই সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন৷ যদি এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তবে এটি আমাদের হাত ও পায়ের জয়েন্টগুলিতে জমতে শুরু করে। এই কারণে গাটের ব্যথা ও কিডনিতে পাথর-সহ নানা গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।বেশিরভাগ মানুষই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাকে উপেক্ষা করে থাকে এবং এই কারণেই সমস্যা বাড়তে থাকে৷ এটি একটি জটিল রোগ৷ এই রোগ থেকে শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়৷ এই কারণেই ইউরিক অ্যাসিডকে নিজের বশে রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে নাকি প্রোটিন জাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভাল৷ এটা শোনার পর অনেকেই ভয়ে চিকেন খান না৷ এবং প্রায়শই বলতে শোনা যায়, মুরগির মাংস খেলেই নাকি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে৷ইউরিক অ্যাসিড ও চিকেন নিয়ে নানা মতামত রয়েছে একাংশের৷ এটা কি আদৌ সত্যি নাকি পুরোটাই মিথ৷ আসল সত্যিটা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে৷বিশিষ্ট চিকিৎসকের মতে, ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার মূলত দুটি কারণ রয়েছে৷ এমন কিছু খাবার রয়েছে, যার মধ্যে পিউরিন রয়েছে, যা শরীরে পৌঁছে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে৷ সেই কারণেই সমস্যা বাড়ে৷বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাবারের কারণেই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়৷ এছাড়াও ওজন বেশি থাকলে কিংবা ডায়াবেটিস থাকলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে৷বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, যারা মনে করছেন চিকেন খেলেই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়, বিষয়টা তেমনটা নয়৷ তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কোনও কিছু না খাওয়াই ভাল৷কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলেই সমস্যা বাড়বে৷ তবে রোজ মুরগির মাংস খাওয়ার বদলে মাছ, ডিম খাওয়াই শরীরের জন্য ভাল৷ইউরিক অ্যাসিড বেশি বেড়ে গেলে অতিরিক্ত পরিমাণে রেডমিট, সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি মাছ, কাঁকড়া, ঢ্যাঁড়শ, টম্যাটো-এজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল৷ যারা মদ্যপান করেন তারা মদ খাওয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন৷
যে খাবারে পুরিন থাকে, সেগুলি থেকেই শরীরে জমতে থাকে ইউরিক অ্যাসিড। বর্জ্য হিসেবে বেরতে না পারলে ইউরিক অ্যাসিড দেখা দেয় ক্ষতিকারক উপকরণ হিসেবে।
গাঁটে গাঁটে ইউরিক অ্যাসিড জমে গিয়ে যন্ত্রণা শুরু হয়। পরে এর থেকেই গাউট বা তার থেকে আর্থ্রাইটিস দেখা দেয়। জটিলতা বাড়লে কিডনি স্টোনের সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
যে খাবারে পুরিন বেশি সেগুলি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কম পুরিন আছে, এমন খাবারই খেতে হবে। বলছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা।অধিকাংশ ফলে পুরিন কম। তাই ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে না। সবজির মধ্যে খেতে পারেন বেল পেপার, শশা, গাজর এবং অন্যান্য শাক।
লো ফ্যাট ডেয়ারি প্রডাক্ট যেমন দুধ, দই, চিজ রাখুন ডায়েটে। অতিরিক্ত শর্করা আছে, এমন পানীয় এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ সমেত কর্ন সিরাপজাতীয় পানীয় খাবেন না।
পানীয় হিসেবে বেশি করে খান জল, হার্বাল চা, তাজা ফলের রস। যত বেশি পানীয়, তত বেশি শরীর ডিটক্সিফায়েড হবে। বর্জ্য হিসেবে ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়েও যাবে শরীর থেকে।
অত্যধিক ওজনও শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। মাসল সেলের তুলনায় ফ্যাট সেলস অনেক বেশি ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। বাড়তি ওজনের জেরে বাধা পায় কিডনির স্বাভাবিক ক্রিয়াও।
ডায়েটে বেশি করে ফল, শাকসবজি, গোটা দানাশস্য, বাদাম ও দানাজাতীয় খাবার রাখুন। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে রাখুন ইনসুলিন ক্ষরণ।
অ্যালকোহল সেবন কমান। প্রচুর জলপান করুন। নিয়মিত শরীরচর্চার জন্য সময় রাখুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
ইউরিক অ্যাসিডের মতো বর্জ্য শরীরে জমলে জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ গাঁটে ব্যথা থেকে শুরু করে কিডনি স্টোন পর্যন্ত হতে পারে৷
ইউরিক অ্যাসিডের জন্য যন্ত্রণা অত্যন্ত কষ্টকর৷ বিশেষ করে পায়ের নীচে তীব্র যন্ত্রণা হয়৷ পা ফেলতেও বেশ কষ্ট হয়৷ পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা জানিয়েছেন কিছু খাবারের কথা৷ তাঁর মতে সেগুলি নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে যায়৷
কলায় পুরিন খুব কম৷ এই ফলে ভিটামিন সি আছে প্রচুর৷ গাঁটের ব্যথা কমাতে ডায়েটে রাখুন কলা৷ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখে৷
লো ফ্যাট দুধ এবং টকদইয়ের মতো খাবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে দেয় রক্তে৷ শরীর থেকে বর্জ্যে হিসেবে ইউরিক অ্যাসিড বার করে দিতেও সাহায্য করে লো ফ্যাট মিল্ক৷
মাংস এবং অন্যান্য প্রোটিনের তুলনায় দুধে প্রেটিন বেশি কিন্তু পুরিন কম৷ তাই ফ্যাটমুক্ত দুধ রাখতেই হবে ডায়েটে৷
কফিতে যে এনজাইম আছে সেটি পুরিন ভাঙতে সাহায্য করে৷ শরীর থেকে বর্জ্য হিসেবে ইউরিক অ্যাসিড বেরনোর হারও বেড়ে যায়৷ গাউটের আশঙ্কা কমে৷
আমলকি, লেবু, কমলালেবু, পেঁপে, আনারসের মতো ফলে প্রচুর ভিটামিন সি৷ ফলে প্রাকৃতিক ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয় ইউরিক অ্যাসিড৷
সল্যুবল ফাইবারের জন্য খেতে হবে ওটস, চেরি, আপেল, নাশপাতি, ব্লুবেরি, শসা, সেলেরি, গাজর, বার্লি এবং স্ট্রবেরি৷ এতে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে৷
প্রচুর জলপান করতে হবে৷ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ওজন এবং মদ্যপান৷ আমিষ খাবার এবং জাঙ্কফুড কমাতে হবে ডায়েটে৷ ইউরিক অ্যাসিডের হাত থেকে বাঁচতে এই নিয়মগুলি মনে রাখুন৷
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন৷ যদি এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তবে এটি আমাদের হাত ও পায়ের জয়েন্টগুলিতে জমতে শুরু করে। এই কারণে গাটের ব্যথা ও কিডনিতে পাথর-সহ নানা গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।সাধারণত মানুষ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাকে উপেক্ষা করে থাকে এবং এই কারণেই বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যাই আমরা। নারী ও পুরুষের শরীরে কতটা ইউরিক অ্যাসিড থাকা উচিত। এটি ছাড়াও, কখন এটির স্তর চরম বিপজ্জনক হতে পারে তা জেনে নিন চার্ট দেখে।স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ অমরেন্দ্র পাঠক বলেছেন যে ইউরিক অ্যাসিড আমাদের লিভারে উত্পাদিত একটি পণ্য, যা কিডনি দিয়ে যায় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে।পুরুষ ও মহিলাদের ইউরিক এসিডের স্বাভাবিক পরিসর কিছুটা আলাদা। যদি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ২.৫ থেকে ৬ (mg/dL) এর মধ্যে হয়, তবে এটি স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচিত হয়।অন্যদিকে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৩.৫ থেকে ৭ (mg/dL) স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। তবে বিভিন্ন পরীক্ষায় ইউরিক অ্যাসিড মাপার পদ্ধতি ভিন্ন। প্রতিটি পরীক্ষায় ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রায় সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে।চিকিৎসক অমরেন্দ্র পাঠক বলেছেন যে একজন মানুষের ইউরিক অ্যাসিড যদি ৭ (mg/dL)-এর বেশি হয়, তাহলে তাকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলে। যেখানে মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি ইউরিক অ্যাসিড ৬ (mg/dL)-এর বেশি হয়, তবে তা উচ্চ বলে ধরা যেতে পারে। এই অবস্থায় মানুষের ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৯-১০ অতিক্রম করে, তাহলে অবশ্যই একজন ইউরোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত, কারণ এই স্তরটি বিপজ্জনক হতে পারে এবং গাটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদিও লোকেরা ইউরিক অ্যাসিডকে অতটাও গুরুত্ব সহকারে নেয় না, তবে এটির সীমা ছাড়িয়ে গেলে মারাত্মক হতে পারে।ইউরিক এসিডের মাত্রা জানতে কোন পরীক্ষা করা উচিত? এ বিষয়ে ইউরোলজিস্ট বলেন, ডি টেস্টের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা জানতে পারবেন। লিভার ফাংশন টেস্টেও ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়ে।শুধু তাই নয়, আপনি ইউরিন টেস্টের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও পরীক্ষা করতে পারেন। অনেক পরীক্ষা আছে যা ইউরিক অ্যাসিড সনাক্ত করে এবং প্রতিটি মানুষকেই এটি বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করা উচিত, যাতে এটি বাড়ার আগেই রোধ করা যায়।
ইউরিক অ্যাসিড বর্জ্য হিসেবে শরীর থেকে বেরিয়ে না গেলে দেখা দিত পারে একাধিক শারীরিক জটিলতা। ইনফ্লেম্যাশন থেকে তৈরি হতে পারে গাঁটের ব্যথা।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড অনিয়ন্ত্রিত হলে কিডনি স্টোনের মতো বিপত্তিও দেখা দিতে পারে। অথচ কিছু খাবার এড়িয়ে চললেই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর।
সয়া প্রোটিনের জেরে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায় অনেকটাই। দ্রুত বেড়ে যায় এই অ্যাসিড। তাই সয়া প্রোটিন এবং সয়াবিন খাবেন না ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে।
রেড মিট খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা লাগামছাড়া হতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিড থেকে বাঁচতে মাটন এড়িয়ে চলুন পারতপক্ষে। বিশেষ করে অতিরিক্ত মাটন তো একদমই খাবেন না।
মাংস যতটা সম্ভব কম রাখুন ডায়েটে। কোনও প্রাণীর মাংস খেলেও লিভার বা মেটে, ক্ষুদ্রান্তের মতো অঙ্গ একদমই খাবেন না। এতে কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গাউট সমস্যা তীব্র হতে পারে।
চিংড়িমাছ, সার্ডিন মাছ-সহ সামুদ্রিক খাবারও খাবেন না ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ধাত থাকলে। কারণ এগুলিতে পুরিন্সের পরিমাণ বেশি।পুরিন কম থাকলেও ঠান্ডা নরম পানীয়ে ফ্রুক্টোজ খুব বেশি। এই কার্বোহাইড্রেটও বাড়িয়ে দেয় ইউরিক অ্যাসিড।
রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়লে গাউট, কিডনি স্টোনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনও ম্যাজিক না থাকলেও কিছু ঘরোয়া শরবত আছে, যেগুলি পান করলে কম থাকবে এই অ্যাসিডের মাত্রা।
বাড়িতে অতি সহজেই তৈরি করা যায় এই পানীয়গুলি । বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল।
শরীরে পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করে লেবুজল। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে। সকালে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জলে অর্ধেক লেবু চিপে খান।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার হজমে সহায়ক। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমায়। এক গ্লাস জলে ১-২ চামচ এই ভিনিগার মিশিয়ে দিনে দু’বার খাওয়ার আগে পান করুন।
ঈষদুষ্ণ জলে ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন তাজা আদা। মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। দিনে ২-৩ বার পান করুন।
কারকিউমিনে ভরা কাঁচা হলুদে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। ১ চামচ হলুদ পাউডার মেশান ঈষদুষ্ণ দুধে। রাতে ঘুমনোর আগে এই পানীয় পান করুন।
শশায় জলীয় অংশ প্রচুর। টক্সিন দূর করে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। কমিয়ে দেয় ইউরিক অ্যাসিড। নিয়মিত পান করুন শশার রস।
তরমুজে আছে সিট্রুলাইন যৌগ। নিয়মিত তরমুজের রস পান করলে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বার হয়ে যাবে।
এক গ্লাস জলে হাফ চামচ বেকিং সোডা মেশান। ওই মিশ্রণ দিনে একবার পান করুন। তবে খুব বেশিদিনের জন্য পান করবেন না। এর সোডিয়ামের মাত্রার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
প্রত্যেক খাবারেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। তাই ডায়েটে যোগ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তিনি আপনার শরীরের ধরন বুঝে পরামর্শ দেবেন।
ইদানীং যে ক্রনিক অসুখগুলি জাঁকিয়ে বসেছে নাগরিক জীবনে, তার মধ্যে অন্যতম ইউরিক অ্যাসিড এবং তার গাঁটের যন্ত্রণা বা গেঁটে বাত বা গাউট।যে কোনও লাইফস্টাইল ডিজিজের মতোই ইউরিক অ্যাসিডেও এড়িয়ে যেতে হবে কিছু খাবার। এমন কিছু খাবার মুখে তোলা যাবে না যেগুলি বাড়িয়ে দেয় ইউরিক অ্যাসিড। বলছেন পুষ্টিবিদ নিধি এস।
পালংশাকের প্রচুর উপকারিতা। কিন্তু এতে পিউরিনের মাত্রা প্রচুর বেশি। ফলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ডায়েটে কম রাখুন পালংশাক।
যাঁদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি, তাঁরা কম পরিমাণে টম্যাটো খান। এর তীব্র গ্লুটামেট ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে তুলতে পারে শরীরে।
ব্রকোলি এবং ফুলকপিতে প্রচুর ভিটামিন এবং মিনারেলস আছে। কিন্তু পিউরিনের মাত্রা বেশি বলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
মাশরুমে পিউরিন কম হলেও বেশি খেলে গাঁটের যন্ত্রণা বেড়ে যেতে পারে।
বিটরুটে পিউরিনের সঙ্গে অক্সালেটও বেশি। এই দুয়ের জেরে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। তাই খেতে হবে কম পরিমাণে।