লাইফস্টাইল Uric Acid Control Tips: ইউরিক অ্যাসিডের নাগপাশে শরীরে ব্যাথা-জ্বালা, মাছ-মাংস সবেতেই কি ফুলস্টপ! জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মোক্ষম দাওয়াই Gallery September 19, 2024 Bangla Digital Desk এখনকার জীবনধারা খুবই ফাস্ট৷ সেই ফাস্ট লাইফের সঙ্গে তাল মেলাতে মেলাতে জীবন বদলেছে ভীষণ আর এই ফাস্ট লাইফে যেরকম নানা ধরনের সুখভোগে জীবন জুড়েছে তেমনিই লাইফস্টাইল ডিজিজ হিসেবে যেকোনও বয়সেই থাবা বসাচ্ছে ব্লাড প্রেসার, সুগার, কোলেস্টরল৷ প্রায় প্রতিটা পরিবারের এই সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউরিক অ্যাসিডও৷ শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে গাঁটে গাঁটে ব্যথা, বিভিন্ন জয়েন্টের হাড় বেঁকে যাওয়ার সমস্যা দিয়ে শুরু হয়৷ এই অবস্থায় উঠতে-বসতে চূড়ান্ত সমস্যা হয় ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে উৎপাদিত একটি বর্জ্য পদার্থ যার নাম যা রক্তে দ্রবীভূত হয় এবং কিডনি দ্বারা ফিল্টার হয়৷ তারপর প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অপসৃত হয়। কিন্তু, যখন এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে ঘটে না, তখন পিউরিন শরীরে জমতে শুরু করে এবং নানা সমস্যার সৃষ্টি করে৷৷ এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা রোগীর খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করে৷ অনেকেরই ধারণা শরীরে কারও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়৷ এই ধারণা কি সত্যি? সত্যিই কি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে মাছ, মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে হয়? জেনে নিন কী পরামর্শ দিচ্ছেন গুয়াহাটির রিউমাটোলজিস্ট অঙ্কিত পাটোয়ারি৷ কারও হাই ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে, তাঁর প্রোটিন খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার দরকার নেই৷ তবে পিউরিন সমৃদ্ধ একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত৷ পিউরিন যে ধরনের জিনিসের মধ্যে থাকে রেড মিট অর্থাৎ, খাসি বা ভেঁড়ার মাংস, চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, সি-ফুড ইত্যাদি৷ এছাড়াও থাকে যে কোনও কোল্ড ড্রিঙ্কসেও এটা অনেকটা থাকে৷ এছাড়া, ভদকা, বিয়ার, হুইস্কি ইত্যাদিও না খাওয়া উচিত। আইসক্রিম, চিপস, প্যাকেটজাত খাবার, প্যাকেটজাত ফলের জুসেও হাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে খাওয়া উচিত নয়৷ তার বদলে আপনি খেতে পারেন কম পিউরিন যুক্ত প্রোটিনজাত খাবার৷ ডিম, বাদাম, যে কোনও ধরনের ফল, শস্য, সবুজ শাক সবজি, কম ফ্যাটযুক্ত ডেয়ারি প্রোডাক্ট, মুরগির মাংস ইত্যাদি৷ হাই ইউরিক অ্যাসিডে অল্প পরিমাণে মাছও খাওয়া যেতে পারে৷ উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে, তাহলে আপনার ছোলার ডাল, কিডনি বিন এবং গোটা মুগ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এই জিনিসগুলি আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ৩টি বিষয় মাথায় রাখুন। প্রথমত, আপনাকে সারাদিন অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার জল পান করতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। তৃতীয়ত, যতদূর সম্ভব মিষ্টি জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে।