চার তরুনকে একাই বাঁচালেন মোহিনী৷

Uttar Pradesh News: IAS-কে বাঁচাতে দশ হাজার টাকা চেয়েছিল ডুবুরিরা! যমুনায় ঝাঁপ দিয়ে একাই চারজনকে বাঁচালেন তরুনী

আগ্রা: উত্তরপ্রদেশে প্রায় একই সময় দুটো ভিন্ন ঘটনা সামনে চলে এসেছে। যে ঘটনা কার্যত কাণপুরের ডুবুরিদের রীতিমতো লজ্জায় ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট৷

ব্যাপারটা কী? কিছুদিন আগের এক ঘটনা৷ গঙ্গায় ডুবে যাচ্ছিলেন আইএএস আদিত্য বর্ধন সিং৷ সেই সময় কাছেই ছিলেন ডুবুরিরা৷ তবে আদিত্যকে বাঁচানোর বদলে পাড়ে বসে মজা দেখছিল তারা৷ আইএএসের আর্তনাদেও সাড়া দেয়নি কেউ৷ বরং দেওয়া হয়েছিল শর্ত৷ এটাই যে, ডুবুরিদের অ্যাকাউন্টে দশ হাজার টাকা না ঢোকা অবধি কেউ জলে নামবে না৷ যে কারণে মৃত্যু হয়েছিল সেই আইএএসের৷

আরও পড়ুন : ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপ সতর্কতা…! অক্টোবরের প্রথম-দ্বিতীয় সপ্তাহে কী হতে চলেছে বাংলায়? বিরাট আপডেট দিল IMD

প্রায় একই ঘটনায় এবার অন্য ছবি৷ এক মেয়ে বাঁচিয়ে দিলেন চার ডুবতে বসা তরুণকে৷ গণেশ পুজোর বিসর্জনে গিয়ে প্রাণ হারাতে বসেছিলেন এই তরুণরা৷ মোহিনী নামের এই মেয়েটি যমুনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন৷ মোহিনী এখন রীতিমতো সাধারণ মানুষের হিরো হয়ে উঠেছেন৷ তাঁর অসামান্য বীরত্বের প্রদর্শনের ঘটনা ঘুরছে সাধারণের মানুষের মুখে মুখে৷

ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল? ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়, মোহিনী বটেশ্বরের রাণী ঘাটে পুজোর কিছু সামগ্রী কিনতে দোকানে গিয়েছিলেন৷ যমুনা নদীতে সেই সময় প্রবল কোলাহল দেখে ছুটে যায় সে৷ দেখেন চার যুবক ডুবতে বসেছেন৷ মোহিনী এক মুহূর্ত নষ্ট না করে যমুনায় ঝাঁপ দিয়ে বসেন৷ এরপর প্রত্যেককে এক এক করে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসেন তিনি। মোহিনীর এই সাহস দেখে মন্দির কর্তৃপক্ষও তাকে সম্মান জানায়।

আরও পড়ুন : সরকারের তরফে মিলবে বিশাল অনুদান, এই চাষ করলে মা লক্ষ্মীর আশির্বাদ কৃষকরা পাবেনই

মোহিনী জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি যমুনা নদীতে সাঁতার কাটছেন। একটানা অনুশীলনের ফলে সাঁতারে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন তিনি। তরুণদের চিৎকার শুনে তিনি আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি৷ আগে পিছু কিছু না ভেবেই যমুনায় ঝাঁপ দেন তিনি। মোহিনী জানিয়েছেন, তিনি কখনও সাঁতার কেটে কারও জীবন বাঁচাবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি৷

কানপুরের ডুবুরিদের চিন্তা-ভাবনা যদি মোহিনীর মতোই হত, তাহলে হয়তো আইএএস আদিত্য বর্ধনের জীবনটাও বাঁচানো যেত। সেই ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে৷ এখনও তাঁর পরিবার মৃতদেহ খুঁজে পায়নি।