শোয়ার ঘর থেকে রান্না ঘর, এই গ্রামে ঘরে ঘরে ভর্তি লাশ!

Uttar Pradesh News: জানলে চমকে উঠবেন, শোয়ার ঘর থেকে রান্না ঘর, এই গ্রামে ঘরে ঘরে ভর্তি লাশ!

ইটাওয়া: চারপাশে কেবল কবরই কবর। শুনতে অদ্ভুত লাগবে, কিন্তু এটাই সত্যি। ইটাওয়া জেলার চকরনগরের নতুন বসতিতে বছরের পর বছর ধরে মানুষ তাদের পরিবারের মৃতদেহকে নিজেদের বাড়িতেই কবর দিয়ে আসছে। এই ঐতিহ্য এখনও চলছে। এই বসতির প্রতিটি বাড়িতে একটি করে কবর রয়েছে। এটি মানুষের থাকার জন্য তৈরি করা হলেও পরিস্থিতি কবরস্থানের মতো।

আরও পড়ুন : লোন শোধ করতে ব্যর্থ, ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে বন্দুকের সামনে রেখে ৪০ লাখ টাকা লুঠ!

কেন এই বসতিতে এত কবর? ইটাওয়া জেলার সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চকরনগরের নতুন বসতিতে কবরগুলির মধ্যে বাস করা স্বাভাবিক ব্যাপার। এখানে মানুষের দাবি, এই বসতিতে প্রতিটি বাড়িতে কোনও না কোনও কবর বিদ্যমান। বেডরুমে চাচা-চাচির কবর, আবার আঙিনায় দাদা-দাদির। এখানে লোকেরা তাদের পরিবারের সদস্যদের বাড়ির ভেতরেই দাফন করে, কারণ গ্রামের মধ্যে কবরস্থানের অভাব।

কিন্তু এমন কেন? গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এখানে কবরস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় তারা নিজেদের পরিবারের মৃত সদস্যকে বাড়ির ভেতরেই দাফন করেন। সমাজবাদী সরকারের সময় কবরস্থানের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল, এরপর তৎকালীন জেলা প্রশাসক পি. গুরু প্রসাদ নতুন বসতি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কবরস্থানের জন্য স্থান নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু সেই দূরত্বে দাফনের জন্য মানুষ রাজি হয়নি।

আরও পড়ুন : দেড় লাখের আইফোন হাতে পেতেই চরম সিদ্ধান্ত! মেরে খালে ভাসিয়ে দেওয়া হল ডেলিভারি বয়কে

বাচ্চাদের উপর কবরে প্রভাব কেমন? তকিয়া গ্রামের মুখ্তিয়ার জানান, তাঁর মায়ের কবর তাঁর শোয়ার ঘরের কাছেই রয়েছে, এবং শিশুরা প্রায়ই রাতে জেগে ওঠে। ইমাম মৌলানা কামালুদ্দিন আসরাফি জানান, ইসলাম ধর্মে কবরে থাকা মৃতদের জীবিত মানুষের মতো দেখা হয়। হাদিসে নবী বলেছেন, কবর  কারও অসুবিধা করে না, এটিকে সম্মান দেওয়া উচিত।