চিতা বাঘ ধরতে পাতা হয়েছিল খাঁচা, দেওয়া হয়েছিল টোপ, ধরা পড়ল এ কোন জন্তু!

Uttar Pradesh News: চিতা বাঘ ধরতে পাতা হয়েছিল খাঁচা, দেওয়া হয়েছিল টোপ, ধরা পড়ল এ কোন জন্তু!

পিলিভিট: কখনও বাঘ, কখনও নেকড়ে আবার কখনও বাঁদর। বন্য জন্তুদের আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গা৷ এদের মধ্যে পিলভিটের মানুষদের রোজকার অশান্তির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাপারটা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বন দপ্তরের কর্মীরা সাধ্য মতো চেষ্টা করছে৷ কিন্তু তাদের সেই পরিশ্রমে কোনও না কোনও ভাবে কেউ না কেউ জল ঢেলে দিচ্ছে৷

আরও পড়ুন : মানসিক অবসাদে চরম সিদ্ধান্ত! ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বাবা ও চার মেয়ের লাশ

দিন কয়েক আগের খবর৷ হিংস্র চিতাবাঘের দাপটে আতঙ্কে তটস্থ হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের এই অংশের মানুষ৷ একটি চিতাবাঘকে দেখা গিয়েছিল, যেট এলাকার বাজারে রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল৷ ব্যাপারটা বোঝা যায়, বাজারে লাগানো বেশ কয়েকটি সিসিটিভির সৌজন্যে৷ বন দফতরের কর্মীরা বলেছিলেন, চিতাবাঘ কাউকে আক্রমণ না করলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷ তবে তাতে চিড়ে ভেজেনি৷ গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত ছিলই৷ সমস্যা সমাধানে তাই চিতাবাঘ ধরার সিদ্ধান্ত নেয় বনকর্মীরা৷

যেমন ভাবা তেমন কাজ৷ ধূর্ত চিতাবাঘকে ধরতে হলে টোপের ব্যবস্থা করতে হয়৷ সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছিল৷ একটা বেশ বড় কালো ছাগলকে রাখা হয়েছিল টোপ হিসাবে৷ বিশেষ জায়গায় বসানো হয়েছিল খাঁচা৷ সব কিছু তৈরিই ছিল৷ অপেক্ষা ছিল চিতাবাঘ কখন এসে ধরা দেয়৷ কিন্তু সবার প্ল্যানকে চৌপাট করে দেয় এলাকার কুকুর৷ পথ হারিয়ে তারাই চিতাবাঘের জন্য বসানো খাঁচায় ঢুকে পরে৷ জানা গিয়েছে রাম ছাগলের আক্রমণে একটি কুকুর না কি আহতও হয়েছে৷

আরও পড়ুন : ভরা ফ্লাইটে উদ্যম যৌনতা! ঘাড় ধরে নামিয়ে দেওয়া হল ব্রিটিশ দম্পতিকে৷

শুক্রবার গভীর রাতে খাঁচার উপর নজর রাখতে যে দলটির উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা খাঁচার দরজা পড়ার শব্দ শুনতে পায়৷ আসা করা হয়েছিল ধূর্ত চিতা ধরা পরেছে৷ কিন্তু কোথায় কী৷ খাঁচার সামনে গিয়ে দেখে বাঘ নয়, দুটি কুকুর আটকে গিয়েছে। কুকুর দুটি ছাগলটিকে আক্রমণ করেতে গিয়ে আহতও হয়েছে।

বাঘ তো ধরা পড়েই নি, উল্টে বনদফতরের কর্মীদের এখন ছাগলটির চিকিৎসা করাতে হচ্ছে৷ যপুরো বিষয়ে আরও তথ্য দিতে গিয়ে বন আধিকারিক রমেশ চৌহান জানিয়েছেন, বাঘটিকে ধরার জন্য খাঁচা বসানো হয়েছে। ছাগল দেখে কয়েকটি কুকুর খাঁচায় ঢুকে গিয়ে আটকে যায়। তবে চিতাবাঘটিকে ধরতে আবার খাঁচা বসানো হবে৷