নয়াদিল্লি: ঢাকঢোল পিটিয়ে যাত্রা সূচনা করা হয় বন্দে ভারতের। সেমি হাই স্পিড ট্রেন, ভারতের অন্যতম দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত। বলা হয়ে থাকে মোদির স্বপ্নের প্রকল্প। প্রতি বছরই গতি গমেছে এ হেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, তথ্যের অধিকার আইনে এমন তথ্য দিয়েছে রেলই।
আরও পড়ুন: আগামী দু’-তিন ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের দুই জেলায়
২০২০-২১ সালে বন্দে ভারতের গড় গতি যেখানে ছিল ৮৪.৪৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, ২০২২-২৩ সালে গতিবেগ ছিল ৮১.৩৮ কিলোমিটার। ২০২৩-২৪ সালে সেখানে বন্দে ভারতের গড় গতি দাঁড়িয়েছে ৭৬.২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। অর্থাৎ প্রতি বছর গতি বেড়ে যাওয়ার বদলে কমেছে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে রেল মন্ত্রকের তরফে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুধু বন্দে ভারতই নয় পরিকাঠামোর কাজ চলার কারণে অনেক জায়গার গতিই কমেছে। শুধু তাই নয়, রেল আরও জানিয়েছে, কিছু কিছু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এমন জায়গায় চালু হয়েছে যেখানে আবহাওয়া বা ভৌগলিক কারণে গতির নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে।
মুম্বই এবং মডগাঁওয়ের মধ্যে চলা বন্দে ভারতের উদাহরণ দিয়ে এক কর্তা বলেন, “কোঙ্কান রেলওয়ের অধিকাংশ এলাকাতেই নিচু পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ট্রেন চলাচল করে, সেই রকম জায়গায় গতি বাড়ানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। বর্ষাকালে সেই সব জায়গায় ট্রেন চালানো অনেক কঠিন হয়ে যায়, তখন সর্বোচ্চ গতি রাখতে হয় মাত্র ৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা”।
বন্দে ভারত যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৯ সালে, বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। তবে ঠিকঠাক ট্র্যাক না থাকার কারণে দিল্লি-আগরা রুট ছাড়া দেশের কোথাও ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে এই ট্রেন চলে না। রেলের কর্তারা এই ট্র্যাকের সমস্যাকে বন্দে ভারত ধীরে চলার একটা কারণ হিসাবে মনে করছেন। কোনও কোনও রুটে বন্দে ভারতের গড় গতি ৬০ কিমির চেয়ে বেশি হয় না। যেমন দেহরাদূন-আনন্দ বিহার (৬৩.৪২ কিমি/ঘণ্টা), পটনা-রাঁচী (৬২.৯ কিমি/ঘণ্টা) এবং কোয়েম্বত্তূর-বেঙ্গালুরু ক্যান্টনমেন্টে বন্দে ভারত চলে মাত্র ৫৮.১১ কিমি প্রতি ঘণ্টার গড় গতিতে।