অধীর গড়ে জয়ী ইউসুফ৷

Adhir Chowdhury: নিজের গড় বহরমপুরেই হেরেছেন, তার পরেও একটি কারণেই পাঠানের প্রশংসায় অধীর!

বহরমপুর: ইউসুফ পাঠানের কাছে হারের পর তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে৷ অধীর চৌধুরী অবশ্য শুরু থেকেই পাঠানকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করে এসেছেন৷ তবে ভোটে হারলেও একটি কারণে ইউসুফ পাঠানের প্রশংসা করছেন অধীর৷

ভোটে হারার জন্য মূলত ভোটের মেরুকরণকেই দায়ী করে চলেছেন অধীর৷ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বহরমপুরের পরাজিত প্রার্থী বলেন, আমার কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই৷ ইউসুফ পাঠান ভাল মানুষ৷ উনি আমার বিরুদ্ধে কোনও খারাপ মন্তব্য করেননি৷ উনি নিজে একজন ক্রীড়াবিদ এবং ভোটের লড়াইয়েও তার পরিচয় দিয়েছেন৷ আমি চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু শাসক দলের বিরুদ্ধে আমার লড়াইটা কঠিন ছিল৷

দু বারের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারতীয় তারকা ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুরে প্রার্থী করে বড় চমক দিয়েছিল তৃণমূল৷ যদিও পাঁচ বারের সাংসদ অধীর এর পরেও জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন৷ যদিও ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায়, প্রায় ৮৬ হাজার ভোটে অধীরকে পরাজিত করেছেন ইউসুফ পাঠান৷

আরও পড়ুন: হুগলিতে জিতলেন রচনা, তবু অশান্তি তৃণমূলে! চুঁচু়ড়ায় দলের নেতাদের পদত্যাগের হিড়িক

তৃণমূল প্রার্থী পাঠান বহরমপুরে পেয়েছেন ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৫১৬ ভোট পেয়েছেন পাঠান৷ অন্যদিকে, অধীর পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৪৯৪টি ভোট৷ অন্যদিকে বিজেপির নির্মল সাহা পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৮৫টি ভোট৷

শুধু নিজের হার নয়, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ফলেও দলের মধ্যে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছেন অধীর৷ কারণ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিরোধী ছিলেন তিনি৷ গোটা দেশের নিরিখে কংগ্রেস ভাল ফল করলেও এ রাজ্যে মাত্র ১ আসনে জয়ী হয়েছে তারা৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন অধীর৷ এই অবস্থায় দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা৷ অধীরকে কংগ্রেস কীভাবে ব্যবহার করে, তার উপরই অনেকটা নির্ভর করছে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ৷