সংসার সুখের হতে হলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ অবশ্যই কাম্য৷ আর বিশেষজ্ঞেরা বলে থাকেন, তাঁর আশীর্বাদ অনেকাংশেই নির্ভর করে আপনার বাড়ির পরিবেশের উপরে৷ বাড়ির কোথায় কোন জিনিস রাখা হয়েছে, কোন দিকে কোন গাছ রয়েছে, মূল প্রবেশদ্বারের কাছে অবস্থা কী রকম, রান্নাঘরেই বা কী ভাবে কী রাখেন, এ সবের উপরেই নির্ভর করে আপনার সংসার সুখের হবে কি না৷ঠিক তেমনই বহু গাছ রয়েছে যে গুলি আমাদের ঘর বা বাড়ির পরিবেশের ইতিবাচকতা নিয়ন্ত্রণ করে৷ যেমন, তুলসী গাছ, মানি প্লান্ট গাছ৷ আবার এমনও অনেক গাছ রয়েছে, যা বাড়িতে রাখলে পরিবেশে নেতিবাচকতা বৃদ্ধি পায়৷ যেমন, লঙ্কা, উচ্ছে ইত্যাদি৷এই প্রতিবেদনে আমরা এমন এক ফুল গাছের কথা বলব, যা মা লক্ষ্মীর অত্যন্ত প্রিয় বলে মনে করা হয়৷ বাড়িতে এই ফুল গাছ থাকলে সংসারে কোনওদিন অভাব হয় না৷ পরিবেশ শান্ত থাকে৷ তবে, অবশ্যই বাড়ির বিশেষ দিকে এই গাছ রাখলে ফল ভাল মেলে৷জবা ফুল সম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করে বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই বিশ্বাস করা হয় যে, এই গাছটি যদি বাস্তু অনুসারে নির্দিষ্ট দিকে লাগানো হয় তাহলে বাড়ির সমস্যা দূর হয়।বাস্তু বলে, আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন করার জন্য অনেক ফুলই রয়েছে। জবা ফুল তার মধ্যে একটি। এখনও গ্রাম-শহরতলির প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গেলেই যে কোনও গৃহস্থ বাড়িতে জবা ফুলের গাছের দেখা মেলে৷বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এই ফুলটি আর্থিক সমস্যা দূর করে। এটি নিশ্চিত করবে যে আপনার কখনওই অর্থের সমস্যা হবে না, বিখ্যাত জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা জানাচ্ছেন, বাড়ির কোন দিকে জবা গাছ রাখা সবচেয়ে শুভ।এই ফুল দেবী লক্ষ্মীর খুব প্রিয়। বাড়ির পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখলেই মেলে সবচেয়ে ভাল ফল৷ এছাড়াও গাছটি শুকিয়ে যাওয়া রোধ করতে নিয়মিত জল দিন।বিশেষজ্ঞেরা বলেন, ঋণের সমস্যায় ভুগলে সেই সমস্যা দূর করবে এই ফুল। যাঁরা আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন তারা শুক্রবার এই ফুলগুলি আপনার টাকার বাক্সের ঘরে রাখুন।অনেক সময় কিছু কারণে বাড়িতে সমস্যা দেখা দেয়। এটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। কখনও কখনও এটি সম্পর্কের ভাঙনের দিকেও নিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বালিশের নীচে জবা ফুল রেখে ঘুমলে তা আপনার সম্পর্ককে মজবুত করে বলে মনে করা হয়।এছাড়াও, তামার পাত্রে লাল জবা ফুল রেখে, জলে ভরে এবং সূর্য দেবতার পূজা করলে বাড়ির সমস্যাগুলি সমাধান করা যেতে পারে।Disclaimer: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না। কোনও রকমের কুসংস্কার বা সংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া নিউজ18 এর উদ্দেশ্য নয়৷
