পেঁপে জমি 

Purba Bardhaman News: টানা বৃষ্টিতে আবারও সমস্যায় বর্ধমানের সবজি চাষিরা, নষ্ট বিঘের পর বিঘে জমি

পূর্ব বর্ধমান: বৃষ্টিপাতের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব বর্ধমানের সবজি চাষিরা। ঝোড়ো হাওয়া এবং লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে চাষিদের। ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার, প্রায় সারাদিন ধরেই হয়েছে বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে ছিল হালকা ঝোড়ো হাওয়ার দাপট।

এই ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাটের কারণেই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে জেলার সবজি চাষিদের। পূর্ব বর্ধমান জেলা রাজ্যের ধানের গোলা নামে পরিচিত হলেও, এই জেলায় ধান চাষের পাশাপাশি সবজি চাষও হয়। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর দু’নম্বর ব্লক-এর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবজি চাষ করে থাকেন চাষিরা।

পটল, ঝিঙে, শসা, পেঁপে, ফুলকপি, বাঁধাকপি থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয় এই এলাকা গুলিতে। এই সমস্ত এলাকার এক একজন চাষির অধীনে অনেক পেঁপে গাছ রয়েছে। পেঁপে চাষ তদের রুজি রুটির একমাত্র রাস্তা। কিন্তু এবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পেঁপে চাষিরাও।

ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাতের কারনে ভেঙে পড়েছে কয়েকশো পেঁপে গাছ। বর্তমানে খুবই চিন্তায় রয়েছেন পেঁপে চাষিরা। এই প্রসঙ্গে এক স্থানীয় পেঁপে চাষি বলেন, “বহু কষ্টে এই পেঁপে চাষ করেছিলাম। কিন্তু ঝড় জলে অনেক গাছ পড়ে গিয়েছে। সেই পেঁপে আমরা এখন বিক্রি করেও লাভ করতে পারব না। কয়েকদিন আগেও ক্ষতি হয়েছিল এখন আবার ক্ষতি হল। এই এলাকার একাধিক চাষির একই অবস্থা। কপি চাষেও অনেক ক্ষতি হয়েছে।’’

মূলত এই পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের বেশ কিছু চাষি এই পেঁপে চাষের সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘ পরিশ্রম এবং পরিচর্যা করে তাঁদের এই চাষ করতে হয়। কিন্তু ঝড় জলের কারণে এখন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে এবং বৃষ্টির কারণে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে একাধিক পেঁপে গাছ। বর্তমানে চাষিরা সেই লুটিয়ে পড়া পেঁপে গাছগুলোকে, কোনও রকমে বাঁশের ঠেকো দিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।

চাষিদের কথায় এই গাছ বেঁচে থাকলে ফলন ভাল পাওয়া যাবে। কিন্তু আগের তুলনায় ফলের পরিমাণ অনেক কমে যাবে বলে জানিয়েছেন। চাষিরা আরও জানিয়েছেন যে পেঁপে গাছ গুলো একদম ভেঙে গেছে সেগুলো দিয়ে আর কিছুই করা সম্ভব হবেনা।

এছাড়াও উক্ত এলাকায় কপি চাষেও অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও চরমক্ষতি হয়েছিল চাষিদের। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে না হতেই আবারও তাদের ক্ষতিগ্রস্থ হতে হল। বর্তমানে সবজি চাষিদের কপালে চিন্তার রেখা স্পষ্ট।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী