মুর্শিদাবাদ: সম্প্রতি সবজি বাজারে জিনিসপত্রের দাম লাগাম ছাড়া হারে বেড়ে যাওয়ায় এই মুহুর্তে রাজ্য জুড়ে সর্বত্র চলছে তোলপাড়। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বহরমপুর শহর সংলগ্ন কতবেল তলা বাজার ঘুরে দেখলেন সদর মহকুমা শাসক ও জেলা টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা।
আকাশছোঁয়া সবজির দাম নিয়ে পুলিশকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমাতে হবে এবং একইসঙ্গে দাম কতটা কমল তা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দিতে হবে, স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই বহরমপুরে অভিযান করল টাস্ক ফোর্স।
উদ্দেশ্য, জনসাধারণ অর্থাৎ সাধারণ ক্রেতারা যেন সঠিক মূল্যে জিনিস পান। কোথাও যেন কোনও কারনেই অতিরিক্ত দাম না নেওয়া হয় ক্রেতাদের কাছে মূলত এই বিষয়েই বাজারে প্রত্যেক দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
যদিও সবজি বিক্রেতাদের দাবি, এভাবে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। বরং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যদি প্রত্যেক সবজির দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় পেট্রোল, ডিজেলের মতো করে, একমাত্র তবে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারে জনসাধারণ। এমনটাই মনে করছেন এই বাজারের সবজি বিক্রেতারা।
অন্যদিকে, এদিন এই বাজার পরিদর্শন সেরে সদর মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে যদি কোথাও তেমন কোনও বিষয় নজরে আসে তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাজারে প্রতি কেজি শসা ৫০ টাকা, লঙ্কা ৮০ টাকা, চন্দ্রমুখী আলু ৪৫ টাকা, জ্যোতি আলু ৪০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা, আদা ১৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, ঝিঙা ৬৫ টাকা, ক্যাপসিকাম ১০০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, বিট ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৌশিক অধিকারী