Viral Leopard Photo: বাড়ির বাইরে চিতার সঙ্গে কাটানো অতন্দ্র রাত্রি! “ভালোই কাটালাম,” অভিজ্ঞতা বন আধিকারিকের

#উত্তরপ্রদেশ: ঠিক যেন রাস্কিন বন্ডের গল্প! চিতার সঙ্গে কাটানো রাত্রি। উত্তর প্রদেশের কাটারনিয়াঘাটে একটি চিতাবাঘের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন একজন IFS আধিকারিক। ছবিতে ফরেস্ট রেস্ট হাউসের সামনে একটি চিতাবাঘকে দেখা গিয়ে। ওই আধিকারিক জানান, একে অপরের সাহচর্যে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। যখন ছবিটি তোলা হয়েছে তখন ওই আধিকারিক তাঁর গাড়ির মধ্যে ছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

তিনি পোস্টে লেখেন, “রাস্কিন বন্ডের গল্পের মতো, একটি ফরেস্ট রেস্ট হাউসের বাইরে এর সাথে দেখা হয়েছিল এবং আমরা গত রাতে একে অপরের সঙ্গে বেশ ভাল সময় কাটিয়েছি। কাটারনিয়াঘাটের এই ১২০ বছরের পুরনো FRH-এর দেওয়ালে কত বন্যপ্রাণীর ইতিহাস।”

আরও পড়ুন- বীভৎস! বাঁচার চেষ্টায় ফুটন্ত তেলের কড়াই থেকে লাফ মুণ্ডুহীন ব্যাঙের! ভাইরাল ভিডিও

যদিও চিতাকে দেখেই আতঙ্কে ভুগছেন নেটিজেনরা।

একজন লিখেছেন, “ভাগ্যের ব্যাপার যে আপনি একটি গাড়ির মধ্যে ছিলেন। এক অন্ধকার রাতে, আমি আমার গেস্টহাউসের আলো জ্বালিয়েছিলাম এবং একটি চিতা আমাকে দেখে গর্জন করে। আমি ঠিক করি কোনওভাবেই কাছাকাছি যাতে না আসি। এত অন্ধকার, আমি দেখতেও পাইনি। কিন্তু এই চিতাটি যেভাবে সহজ স্বাভাবিক ঘোরাফেরা করছে দেখেই খুব ভালো লাগছে।”

“কাটারনিয়াঘাটের দৃশ্য সব সময়ই চিরন্তন…”

আরেকজনও রাস্কিন বন্ডের গল্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন,  “এটা ছিল আমার পড়া প্রথম রাস্কিন বন্ডের গল্প, এখনও মনে আছে।”

অন্যজন লেখেন, “এই FRH এর চারপাশে বাঘ আমিও দেখেছি..! চমৎকার সাক্ষাৎ।”

অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন আরেকজন, “এটা একটা আশ্চর্যজনক জায়গা.. ২০০৯ বা ২০১০ সাল নাগাদ সেখানে গিয়েছিলাম.. শুনেছি যে আমরা যেখানে ছিলাম তার আগের রাতে একটি চিতাবাঘ সেখানে একজন মানুষ মেরেছিল.. এছাড়াও অনেক গল্প শুনেছি কীভাবে গৃহপালিত প্রাণী এবং একবার একটা মোষকেও টেনে নিয়ে গিয়েছিল।”

আরও পড়ুন- ক্রেনে করে নেমে আগে নিজের প্রাণ বাঁচান, দিল্লির অগ্নিকাণ্ডে ধৃত বহুতলের মালিক!

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের চুয়াপাড়ার চা বাগানের শ্রমিকরা একটি ড্রেনে দু’টি চিতাবাঘের বাচ্চা দেখতে পান। বক্সা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকাতে চুয়াবাড়ি চা বাগান অবস্থিত। চা বাগানের আধিকারিকদের জানিয়ে গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন এবং বন বিভাগের আধিকারিকদেরও ডেকে পাঠান। কর্মকর্তারা এসে গ্রামবাসীদের ওই এলাকাটিকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে বলেন। এর পর মা চিতাবাঘটি এসে শাবক দু’টিকে খাওয়ায়। খাওয়ানোর পরে, ধীরে ধীরে বাচ্চাদের নিয়ে জঙ্গলে চলে যায় মা চিতাটি।