রাজার হালে দিন কাটছে মধ্যপ্রদেশের গাধাদের

Viral News: রাজার হালে দিন কাটছে মধ্যপ্রদেশের গাধাদের, ধরে ধরে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে বাসিন্দারা, কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন

ভোপালঃ মধ্যপ্রদেশের গাধাদের বড়ই সুসময় চলছে। দিন কাটছে রাজার হালে। মিলছে জামাই আদর। খাতির যত্নের ত্রুটি রাখছে না কেউ। গাধা দেখতে পেলেই হল। ফুলের মালা পরিয়ে গোলাপজাম মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে তাকে। একেবারে থালা ভর্তি করে। যত খুশি খাও। খাওয়ার সময় আবার গায়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে কেউ কেউ। মন্দসৌর থেকে সামনে এসেছে এমনই ভিডিও।

আরও পড়ুনঃ তাপপ্রবাহের মুখে ভূস্বর্গ! ২৫ বছরের সর্বোচ্চ গরমে কাশ্মীরে বন্ধ হল ছোটদের স্কুল! আবহাওয়ার তুঘলকি মেজাজে হতবাক পর্যটকরা

কিন্তু হঠাৎ গাধাকে ধরে মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে কেন? এর পিছনের কারণটা বড়ই অদ্ভুত। সারা দেশেই বর্ষার মরশুম চলছে। কয়েকটি রাজ্যে বৃষ্টি হচ্ছে একটানা। কিন্তু মন্দসৌরে বৃষ্টির দেখা নেই। চাষবাস মাথায় উঠেছে। তারওপর গরম। টেঁকা দায়। এই পরিস্থিতিতে এলাকার বাসিন্দারা শ্মশানে নিয়ে গিয়ে গাধাকে দিয়ে লাঙ্গল টানান। তারপর বপন করা হয় বীজ। সঙ্গে চলে সমবেত প্রার্থনা, যদি বৃষ্টি হয়, গাধাকে গোলাপজাম মিষ্টি খাওয়ানো হবে।

অনাবৃষ্টি নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নানা রকমের কুসংস্কার রয়েছে। বাংলায় যেমন বৃষ্টি কামনায় ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। গাধাকে মিষ্টি খাওয়ানোও তেমনই। অনেকটা যেন মানসিক। ‘‘ঠাকুর মনস্কামনা পূর্ণ করো, তাহলে জোড়া পাঠা বলি দেব’’-এর মতো ব্যাপার। তা মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছে মন্দসৌরের বাসিন্দাদের। গাধাকে দিয়ে হাল টানানোর পরই বৃষ্টি নেমেছে। গত দুই-তিন ধরে মন্দসৌর তো বটেই, আশপাশের কিছু এলাকাতেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন শহরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এরপরই গাধা দেখতে পেলেই ধরে গোলাপজাম মিষ্টি খাওয়াচ্ছে মন্দসৌরের বাসিন্দারা।

মন্দসৌরের বাসিন্দাদের এমন কাণ্ড ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দুটি গাধা। তাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে চল্লিশ- পঞ্চাশ জন। সামনে রাখা হয়েছে বড় থালা। তাতে ভর্তি গোলাপজাম মিষ্টি। মনের সুখে মিষ্টি খাচ্ছে দুটো গাধা। আশপাশে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ গাধা দুটোর গায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। কেউ আবার নিজে হাতে মিষ্টি তুলে দিচ্ছে গাধার মুখে। এই দুটো গাধাকেই না কি হালে জোড়া হয়েছিল। তাদের জন্যই বৃষ্টি নেমেছে। তাই মন্দসৌরের বাসিন্দাদের কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই।