চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ‘বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৪ শতাংশ’, তার পর ? (Image credit: GoFundMe)

শরীরের ‘অবাঞ্ছিত’ চুল কাটতে গিয়ে কোমায়! চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ‘বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৪ শতাংশ’, তার পর?

টেক্সাস: শরীরের একটি অঙ্গে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা চুল কাটতে গিয়ে সংক্রমণ। সেখান থেকে কোমা। আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে সবাইকে অবাক করে ফের সুস্থ হয়ে উঠলেন যুবক। এমনই বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। ঠিক কী হয়েছিল?

স্টিভেন স্পাইনেল নামের এক যুবক শরীরের অবাঞ্ছিত চুল কাটতে গিয়ে কোমায় চলে যান। জানা গিয়েছে, চুল কামানোর সময় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল। সেখান থেকে রক্তে সংক্রমণ হয়ে যায়। কয়েকদিনের মধ্যেই তা সেপসিসের আকার ধারণ করে।

আরও পড়ুন– ‘এভাবে রাস্তায় বেরোলেই পুরুষরা ঘুরে ঘুরে তাকায়…’, ব্যাপক ক্ষুব্ধ ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার

ডেইলি মেল জানিয়েছে, এরপরই হাসপাতালে যান স্টিভেন। শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু ধীরে ধীরে স্টিভেনের শরীর কোমায় চলে যেতে থাকে। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ৪ শতাংশ। কিন্তু এক মাসের চিকিৎসাতেই অবাক কাণ্ড। সবাইকে চমকে দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন স্টিভেন স্পাইনেল।

ভাইকে নিয়ে টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন স্টিভেনের বোন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের কথায় সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু স্টিভেনের পরিবার হাল ছাড়েনি। কখনও বিশ্বাস হারায়নি। স্টিভেন বেঁচে থাকবে, আবার ফিরে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন, এই বিশ্বাস তাঁদের ছিল।

ভিডিও-তে স্টিভেনের বোন মিশেল বলেন, “ভাইয়ের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ভাই। কিন্তু কী হয়েছে, চিকিৎসকরাও বুঝতে পারেননি”। যদিও সংক্রমণের কারণে স্টিভেনের সেপসিস হয়েছিল বলেই মত চিকিৎসকদের।

আরও পড়ুন– ডোমেস্টিক ফ্লাইটে যাত্রা করছেন? কী কী খাবার নিষিদ্ধ আর কোন কোন খাবার রাখতে পারবেন দেখুন

সংক্রমণে শরীর যখন যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হয়, তখন সেপসিস হয়। এর ফলে অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ফুলতে শুরু করে। ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হায়ায়। সেপসিস থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্টিভেনের ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণ হয়েছিল। সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন। সেখান থেকে নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, এআরডিএস (তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা)-এর কারণে ফুসফুসের কার্যকারিতা সম্পূর্ণ রূপে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছেন স্টিভেনের চিকিৎসকরা।

এই পর্যায়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন স্টিভেন। চিকিৎসকরাও প্রায় হাল ছেড়ে দেন। তবে চিকিৎসা বন্ধ হয়নি। এক মাসের মধ্যেই কোমা থেকে ফিরে আসেন স্টিভেন। এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।