শিক্ষা জীবনকে সুন্দর করার মাধ্যম। এর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত হাতের লেখা। এটাও সত্যি যে হাতের লেখা শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ভাল হাতের লেখা শিক্ষার্থীদের জীবনে চলার পথে অগ্রসর করে। শিক্ষকেরাও শিক্ষার্থীদের ভাল হাতের লেখার প্রশংসা করেন। পরীক্ষার খাতা দেখতেও সুবিধা হয়।যে কোনও কাজ ভাল করার জন্যই চাই প্রতিদিন অভ্যাস করা। তাই আপনার সন্তানকেও প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট হাতের লেখা অনুশীলন করান। এতে করে শিশু অনুশীলনে বিরক্ত হবে না এবং ধীরে ধীরে হাতের লেখার উন্নতি দেখা যাবে।ভাল হাতের লেখার জন্য ভাল করে পেনটি ধরতে শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য করুন আপনার সন্তান যেন বুড়ো আঙুল এবং তর্জনীর মধ্যে কলম ধরে। পাশাপাশি লেখার সময় সোজা হয়ে বসে আছে।আজকাল কম্পিউটার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেলের যুগ। হাতে-কলমে চিঠি, আবেদন ইত্যাদি লেখার সুযোগ হয়তো কমে গিয়েছে। কিন্তু হাতের লেখা বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতের লেখা যে কোনও মানুষের ব্যক্তিত্বের আয়না।এই হাতের লেখা দিয়েই সকলের মন জয় করেছে নেপালের প্রকৃতি মাল্লা। তার ব্যতিক্রমী হাতের লেখা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে সূক্ষ্ম এবং সুন্দর হাতের লেখার সম্মান লাভ করেছে। ১৬ বছর বয়সেই মেয়েটি বিপুল পরিচিতি লাভ করে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার একটি অ্যাসাইনমেন্ট ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে ওঠে। সেই কাগজের উপর হাতের লেখা এতই চিত্তাকর্ষক ছিল যে এটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়।গোটা বিশ্বের হাতের লেখার বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত ওই কিশোরীর হাতের লেখা দেখে চমকে গিয়েছেন। নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেরই বক্তব্য, কাগজের উপর প্রকৃতির হাতের লেখা দেখে বোঝার উপায় নেই যে, সেটি হাতের লেখা না কি কম্পিউটারে টাইপ করা হরফ।প্রকৃতি সংযুক্ত আরব আমিরের ৫১তম স্পিরিট অফ দ্য ইউনিয়ন উপলক্ষে নেতৃত্ব এবং নাগরিকদের জন্য একটি অভিনন্দন পত্র রচনা করেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিঠিটি দূতাবাসে উপস্থাপন করেন। প্রকৃতিকে নেপালের সশস্ত্র বাহিনীর তরফেও পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
