পৃথিবীতে এমন অনেক খনিজ রয়েছে, যা মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকে। আর এই সমস্ত খনিজ শুধুমাত্র খনন করার মাধ্যমেই পাওয়া যায়। বহুমূল্য হিরেও কিন্তু তেমনই একটি খনিজ। তবে হিরে খনন করার কাজ খুবই কঠিন। আসলে এই রত্নটি প্রকৃতিতে তৈরি হওয়াটাও কিন্তু বেশ মুশকিল। আর সেই কারণে কেউ যদি এই রত্ন হাতে পান, তাহলে সেই ব্যক্তির ভাগ্য রাতারাতি বদলে যায়।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল এক ব্যক্তির সঙ্গে। আসলে তিনি যখন খননকার্য করেছিলেন, তখন মাটির তলা থেকে একটি হিরে বেরিয়ে এসেছিল। তাঁর কাছে এটি ছিল অনেকটা মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকা গুপ্তধনের মতো। কিন্তু এই হিরেকে মনোযোগ সহকারে নিরীক্ষণ করলে সেই ব্যক্তির উপর সন্দেহ জাগতে বাধ্য!
আসলে আশ্চর্যজনক এই ভিডিওগুলি প্রায়শই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট @_.archaeologist-এ পোস্ট করা হয়। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, একজন ব্যক্তি মাটি খনন করছেন। আসলে হিরা খুবই গভীর খনিতে পাওয়া যায়। আর সেই কারণেই এই ভিডিওটি প্রথমে দেখার পরে ওই ব্যক্তির প্রতি মনে সন্দেহ জাগবে। আসলে ওই ব্যক্তিকে মাটি খুঁড়তে দেখা যায়। তবে তাঁকে ছুরি দিয়ে মাটি সরাতে দেখা যায়।
View this post on Instagram
মাটির তলায় প্রাপ্ত হিরে:
এরপর আরও গভীরে মাটি কাটতেই দেখা যায় যে, তার ভিতরে একটি হিরে আটকে রয়েছে। আর হিরেটি বার করে আনার সঙ্গে সঙ্গে তা দেখলেই ওই ব্যক্তির চাতুর্য প্রকাশ পাবে। আসলে ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সেটি একটি পালিশ করা হিরে। আসলে খনি থেকে হিরে তোলার পরে তা পালিশ করে কাটা হয়। তবেই তাতে অতিরিক্ত ঔজ্জ্বল্য আসে। ফলে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, ভিডিওটি করার আগে ওই ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে হিরকখণ্ডটি মাটির তলায় চাপা দিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সেটি একটি আসল হিরে কি না, সেটা বলাও মুশকিল।
ভাইরাল ভিডিও
ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিওটি। ইতিমধ্যেই এর ১০ লক্ষ ভিউ হয়েছে। কমেন্ট বাক্সে অনেকেই নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। একজন বলছেন, “মাটির তলা থেকে এরকম পালিশ করা হিরে খুঁজে পাওয়া যায় না।” একজন আবার মজা করে বলেছেন যে, “এই হিরে নিশ্চয়ই চিনে তৈরি হয়েছে!” একজন আবার বলেন যে, “ওই ব্যক্তি নিশ্চয়ই মাটির নীচে একটি জিআইএ শংসাপত্র পেয়েছেন।” আর একজন আবার বলেছেন যে, “ওই ব্যক্তি আগের ভিডিওতেও একই হিরে পেয়েছেন। ভিডিওটি রীতিমতো তাজ্জব করে দেওয়ার মতো।”