Viral Video: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে মশাদের প্রকাণ্ড ‘ঘূর্ণিঝড়’, ভিডিও দেখলে গায়ে কাঁটা দেবে…

#আর্জেন্তিনা: শীত পেরিয়ে সবে গরম পড়তে শুরু করেছে। আর এই সময়ে একটা বড় সমস্যা হল মশা। শহর, শহরতলি থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত কোথাও মশার হাত থেকে রেহাই নেই। তবে আর্জেন্তিনার ৭৪ জেনারেল মাদারিয়াগা (General Madariaga) ও পিনামার রুটে ( Pinamar) এক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল মানুষজন। হাইওয়েতে তখন গাড়ি ছুটছে। আর মাথার উপরে এক প্রকাণ্ড টর্নেডো। না ঝোড়ো হাওয়া নেই। রাস্তার পাশে কোনও গাছও ভেঙে পড়ছে না। শুধু একটা কালো ধোঁয়ার মতো ঘূর্ণিঝড় যেন ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। একটু কাছে যেতেই বোঝা গেল পুরো বিষয়টি। আসলে এটি একটি মশার ঘূর্ণি। এক ঝাঁক মশা কালো হয়ে ঘূর্ণির আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি ভাইরাল হল সেই ভিডিও।

হাইওয়েতে থাকা কোনও এক গাড়ির চালক এই বিরল দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী করেছেন। পরে আর্জেন্তিনার এক সাংবাদিক ভিডিওটি শেয়ার করেন। ঘটনাটি বোঝাতে গিয়ে স্প্যানিশে যা লেখা হয়েছে, তার তর্জমা হল, ঘূর্ণিটা ক্রমে আরও বড় হয়ে উঠছিল। অতীতে কখনও এই রকম মশার ঘূর্ণি দেখেনি শহরবাসী। আর এর পর থেকেই স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে শহরের নানা প্রান্তের মানুষজনের টনক নড়েছে। বিশেষজ্ঞ জুয়ান হোসে গার্সিয়ার (Juan Jose Garcia) কথায়, এই মশার ঘূর্ণি মানুষজনেরই অপরিণামদর্শী কাজের ফল। এর জন্য প্রকৃতিও কিছুটা দায়ী। আসলে ভারী বৃষ্টিতে শহরের একাধিক জলাশয়ে কানায় কানায় জল ভর্তি। নোংরা আবর্জনা ফেলার জেরে সেগুলি বদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর বর্তমানে সেই বদ্ধ জলাশয়গুলিই মশার আঁতুড়ঘর। তাঁর কথায়, শহরবাসীকেই সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকেও এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন, এ নিয়ে অধিক চিন্তার কোনও কারণ নেই। মশার আয়ু দুই থেকে তিন সপ্তাহ। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়ে মশা নিধনের পক্ষে হাঁটতে হবে এবং মশা থেকে বাঁচার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এই বিষয়ে, পিনামারের এক কর্পোরশনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মানুষজনকে মশারি ব্যবহার, নানা ধরনের মশা মারার ধূপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে মশা দমন করার ব্যবস্থাও শুরু হয়েছে। তবে এই সমস্যা সাময়িক। দ্রুত মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাবে এলাকাবাসী।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শহরের লোকজন মশার উপদ্রব নিয়ে অভিযোগ জানাতে শুরু করেছেন। কমেন্টগুলি স্প্যানিশ ভাষার হলেও লোকজন যে মশার জ্বালায় নাজেহাল, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে!