কিভ: ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ ৷ এমন ভয়ঙ্কর দিন যে তাদের দেখতে হবে, তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি ইউক্রেনের মানুষ ৷ কিন্তু রাশিয়ার হানায় আজ তারা বিপর্যস্ত ৷ ঘর, বাড়ি, সম্পত্তি সব ফেলে দেশে ছেড়ে এখন অন্যত্র পালাতে পারলে বাঁচেন ইউক্রেনিয়ানরা (Russia-Ukraine War) ৷
ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন শহরের মেট্রো স্টেশনগুলিতে ৷ কেউ কেউ ভয়ে ট্যাঙ্কের মধ্যে গিয়েই লুকিয়েছেন ৷ যে কোনও মুহূর্তে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারে, এমন আশঙ্কাতেই দিন কাটছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের ৷ কারণ সবার পক্ষে অন্য কোনও দেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিও নেই ৷ আর তারা যাবেনই বা কোথায় ৷ চাইলেও কি আর নিজের ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্য শহর বা দেশে চলে যাওয়া যায় ৷ তবে এরই মধ্যে রাজধানী কিভে ধরা পড়েছে ভয়ঙ্কর সব ছবি ৷ একটি বহুতলে রাশিয়ান ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Russian Missiles Attack on Kyiv) ৷
Russia attacks and kills civilians in Ukraine. Our army continues to defend our territory and every civilian. ?? resists and strives for peace. The world must stop Russian war criminals.#StandWithUkraine!
?Kyiv, Residential Area, building near Maternity Hospital and Schools. pic.twitter.com/JGNUQUGulX
— MFA of Ukraine ?? (@MFA_Ukraine) February 26, 2022
আরও পড়ুন-স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত, হাতেনাতে ধরতে গোয়েন্দাদেরও হার মানালেন স্ত্রী !
শনিবার, যুদ্ধের তৃতীয় দিনেও রাজধানী কিভের বিভিন্ন এলাকা লক্ষ্য করে ধারাবাহিক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী।
Kyiv, our splendid, peaceful city, survived another night under attacks by Russian ground forces, missiles. One of them has hit a residential apartment in Kyiv. I demand the world: fully isolate Russia, expel ambassadors, oil embargo, ruin its economy. Stop Russian war criminals! pic.twitter.com/c3ia46Ctjq
— Dmytro Kuleba (@DmytroKuleba) February 26, 2022
এরই মধ্যে কিভের বসতি এলাকার একটি বহুতলে আছড়ে পড়ে রুশ হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। অভিঘাতে ভেঙে পড়ে বহুতলটির একাংশ। ইউক্রনের বিদেশমন্ত্রী এবং কিভের মেয়র ওই বহুতলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে একাধিক বার রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে শহরের অনেক জায়গাতেই বিমান হানার অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। তা যদিও অস্বীকার করেছে মস্কো ৷