প্রতীকী ছবি

Vistara Airlines: ‘বিমান চালাতে চালাতে আমরা ক্লান্ত’, ভিস্তারাকে জানাল পাইলটরা, সমস্যা মেটার নাম নেই

নয়াদিল্লিঃ ভিস্তারা এয়ারলাইন্সে তুমুল গণ্ডগোল। একসঙ্গে ছুটি নিয়েছেন অনেক পাইলট। ফলে একের পর এক বিমান বাতিল করতে হচ্ছে। তবে সপ্তাহান্তে আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে বিবৃতি দিয়েছে ভিস্তারা এয়ারলাইন্স। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে পাইলটরা জানাল, বিমান চালাতে চালাতে তাঁরা ক্লান্ত।

আরও পড়ুনঃ ফ্লাইটের দীর্ঘ বিলম্ব হলে আর বিমানে বসে থাকতে হবে না, নতুন নির্দেশিকা জারি করল বিসিএএস

এনডিটিভি তাদের রিপোর্টে লিখেছে, “পাইলটরা তাঁদের ক্ষমতার শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছেন। এর ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাঁরা”। পর্যাপ্ত পাইলট না থাকার কারণে অসংখ্য বিমান বাতিল করতে হয়েছে ভিস্তারাকে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এয়ারলাইন্স সংস্থাটি।

টাটার এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে ভিস্তারা মিশে যাওয়ার পর সংশোধিত চুক্তির প্রতিবাদেই পাইলটদের এই ‘অসুস্থতা’ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, “পাইলটরা সত্যিই বিমান চালাতে চালাতে ক্লান্ত। নতুন এফডিটিএল (ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন) নিয়মে কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু আদতে আশানুরূপ কিছু ঘটেনি”।

মানিকন্ট্রোল সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে লিখেছে, “এয়ারলাইন সংস্থা পাইলটদের অতিরিক্ত কাজের জন্য বেতন এয়ার ইন্ডিয়ার রোস্টারের সঙ্গে জমা করা হবে জানিয়ে পাইলটদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে বলেছে”। ক্রুদের অনুপস্থিতির কারণে বুধবার ২৬টি বিমান বাতিল করতে বাধ্য হয় ভিস্তারা।

সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই ভিস্তারার সিইও বিনোদ কান্নান এয়ারলাইনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে পাইলটদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এই নিয়ে ভিস্তারা কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফ্লাইট অপারেশন আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে। বিমান বাতিলের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। পাশাপাশি রোস্টারিং এবং বাড়তি কাজের সমস্যা মে মাসের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে পাইলটদের আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অন্য দিকে, মঙ্গলবার ৫০টির বেশি বিমান বাতিল হওয়ার পর, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের তরফে ভিস্তারাকে ফ্লাইট বাতিল এবং বিলম্বের দৈনিক বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছে ডিজিসিএ।