লাইফস্টাইল Healthy Lifestyle: ‘যৌবন’ হবে চাঙ্গা, আয়ু বাড়িয়ে দেবে ১০০ বছর! ছোট্ট ‘এই’ জাদুমন্ত্রেই শরীরও ফিট, এক মুহূর্তে বদলে যাবে জীবন Gallery May 14, 2024 Bangla Digital Desk দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে কে না চায় কিন্তু ১০০ বছর বেঁচে থাকা সহজ নয়। রোগ ছাড়া দীর্ঘ জীবনযাপন করা আরও কঠিন। কিন্তু আপনার যদি সেই আবেগ থাকে তবে আপনিও কিন্তু ১০০ বছর বেঁচে থাকতে পারবেন। এর জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই তবে কিছু পরিশ্রমের প্রয়োজন। দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করতে হবে এবং প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। শারীরিক কার্যকলাপে, আপনাকে একটি ছোট কাজ করতে হবে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন বেশি বেশি সিঁড়ি বেয়ে ও এর মাধ্যমে শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের আয়ু অনেক বেশি হয়। সিঁড়ি বেয়ে ওঠার অভ্যাস শরীরে রোগের ঝুঁকিও কমায়। শুধু তাই নয়, গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে যারা সিঁড়ি ওঠার অভ্যাস করেন তাদের মধ্যে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি এক-চতুর্থাংশ কমে যায়। সাড়ে চার লাখ মানুষের ওপর করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে , যারা প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকিও ৩৯ শতাংশ কমে। ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজির গবেষণাপত্রে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের দৈনিক রুটিন চেক আপ করা হয়েছে। এরপর এই তথ্য জানা গেছে। এই গবেষণার গবেষক এবং ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট ইংল্যান্ডের ডক্টর সোফি প্যাডক বলেন, এই গবেষণার ভিত্তিতে আমরা মানুষকে তাদের দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত সিঁড়ি ব্যবহার করার পরামর্শ দিই। আপনি যত বেশি সিঁড়ি ব্যবহার করবেন, আপনার স্বাস্থ্য তত বেশি ভাল থাকবে। বাড়িতে হোক বা অফিসে কিংবা অন্য কোথাও অনেকেই সিঁড়ি এড়িয়ে চলেন৷ তবে সিঁড়ি ব্যবহার করা শরীরের জন্য ভাল। তবে অতিরিক্ত সিঁড়ি ব্যবহার না করলেও প্রতিদিন তিন-চার বার সিঁড়ি ব্যবহার করা শরীরের জন্য ভাল। সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি আপনার হার্টকে খুব শক্তিশালী রাখবে এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে। আমরা সবাই জানি ব্যায়াম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম অনেকেরই করা হয়ে ওঠে না। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল সিঁড়ি বেয়ে উঠতে বেশি সময়ও লাগবে না। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে প্রতিদিন ১০ হাজার পা হাঁটা শরীরের জন্য বিরাট উপকারী৷ তবে শুধু হাঁটলেই হল না, হাঁটার সময় দ্রুত হাঁটতে হবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাদ্য অর্থাৎ প্রাকৃতিক খাদ্যও সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি অ্যালকোহল, সিগারেট এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া শীঘ্রই বন্ধ করতে হবে।