বাঁকুড়া: কোয়েল কাইতি। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এই পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তিন দিন আগে রক্ত নিয়েছিলেন। রক্ত নিয়ে পরীক্ষায় বসেও অভূতপূর্ব ফল করলেন কোয়েল। আর্টস নিয়ে পড়ে ৫০০-র মধ্যে ৪৫৩ নম্বর পেয়ে সবাইকে চমকে দিলেন তিনি।
রোজ তো পড়াশোনাও করতে পারতেন না। কোয়েল বলেন, “যেদিন সুস্থ থাকতাম বেশি করে পড়তাম। অনেক সময়ই নানারকম উপসর্গ দেখা যেত। যেমন শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি।” তারপরেও বাংলায় ৮৮, ইংরেজিতে ৯৪, কম্পিউটারে ৯১, ভূগোলে ৯০ এবং পুষ্টিবিজ্ঞানে ৯০ নম্বর পেয়েছেন কোয়েল। তাঁর এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্বটাই তুলে দিয়েছেন বাবা মায়ের উপরে। পড়াশোনা ছাড়াও আবৃত্তি করতে ভালোবাসেন কোয়েল। বাঁকুড়ায় নয় কৃতী রয়েছেন এই বছর। কোয়েল হয়তো মেধাতালিকায় নেই। তবু এক অসম লড়াই জয় করে দুর্দান্ত উদাহরণ স্থাপন করেছেন তিনি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার প্রথম দশে রয়েছেন ৫৮ জন। মোট ১৫টি জেলা থেকে এই প্রথম দশের পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন। হুগলি থেকে সবচেয়ে বেশি মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন। ১৩ জন হুগলি জেলা থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৭ জন। কলকাতা থেকে ৫ জন আছে মেধাতালিকায়।
২০২৪-এ পাশের হার ৯০ শতাংশ। ৬,৭৯,৭৮৪ পড়ুয়া পাশ করেছেন এ বছর। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৭,৯০,০০০ জন। পরীক্ষায় সেরা তিনে রয়েছেন, প্রথম অভীক দাস, আলিপুরদুয়ার ম্যাক উইলিয়াম হাইস্কুল। দ্বিতীয় সৌম্যদীপ সাহা, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। তৃতীয় অভিষেক গুপ্ত, মালদহ রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির।