হুগলি: একযোগে আয়কর হানা একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল থেকেই হুগলির সপ্তগ্রাম বিধানসভার বাঁশবেড়িয়া মগরা এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দফতরের প্রতিনিধিরা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। নির্বাচনের আগে এই নিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শুক্রবার সকালে আয়কর দফতরের একাধিক দল মগড়া ও বাঁশবেড়িয়ায় ব্যবসায়ীদের ঠিকানায় হানা দেয়। যে সব ব্যবসায়ীদের বাড়িতে আয়কর তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে তারা সকলেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের খবর। তালিকায় রয়েছেন ব্যবসায়ী কমল দাস, বৈদ্যনাথ সাহা(বৈদ্য), সত্যরঞ্জন শীল(সোনা), দিলপ্রীত সিং, অভিজিৎ ঘট(টিংকু)-সহ একাধিক ব্যবসায়ীর নাম। বাড়ি ও অফিসে চলছে তল্লাশি। সিআরপিএফ কে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে আয়কর আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত,গত ৩ এপ্রিল লকেট চট্টোপাধ্যায় মগড়ার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তৃণমূলের ফাইনান্সার এই সব ব্যবসায়ীরা দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ ছিল তাঁর। আয়কর হানা নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন,পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট তোলাবাজি চলছে। যারা এসব করছে তাদের ছাড়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন,”না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। দুর্নীতি গুণ্ডাগিরি মাফিয়া রাজ চলছে। তার শেষ দেখতে চাই। দুর্নীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না।”
হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন , “ব্যবসা করা কি অপরাধ নাকি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়া অপরাধ? লকেট চট্টোপাধ্যায় আগে থেকেই বলে রাখছেন যে কোথায় ইডি যাবে কোথায় সিবিআই যাবে কোথায় ইনকাম ট্যাক্স যাবে। তার মানে এজেন্সিগুলো বিজেপি হয়ে গিয়েছে। আর যদি ব্যবসায়ীদের কথা বলে তাহলে ইলেক্টোরাল বন্ডটা কী? বিজেপি কত টাকা নিয়েছে? সব মিলিয়ে শুক্রবার সকালে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আয়কর দফতরের অভিযানের মধ্যে কি বেরিয়ে আসে তার দিকেই নজর রয়েছে সকলের।
রাহী হালদার