তাঁত ঘরে জল জমায় স্তব্ধ কাজ

East Bardhaman News: বৃষ্টিপাতের জেরে বন্ধ তাঁতের কাজ, পুজোর আগে চিন্তায় তাঁতিরা 

পূর্ব বর্ধমান : পুজোর আগে ভারী বৃষ্টির জেরে দুশ্চিন্তায় জেলার তাঁত শিল্পীরা। জমা জলের জেরে ছেদ পড়েছে তাঁতের কাজে। আর মাস দুয়েকে পরই দুর্গাপুজো। যে পুজোকে ঘিরে প্রস্তুতি চলে কয়েক মাস আগে থেকেই। তেমনই দুর্গাপুজোর কথা মাথায় রেখে জোর কদমে তাঁতের কাজ শুরু করেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার অধিকাংশ তাঁতশিল্পীরা।

কিন্তু হঠাৎই দিন দুয়েকের টানা বৃষ্টিতে আপাতত বন্ধ সেই কাজ। ফলে পুজোর আগে কাজ থেমে যাওয়ায় কপালে দুশ্চিন্তার রেখা তাঁত শিল্পীদের। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা, সমুদ্রগড়, নসরতপুর, পূর্বস্থলী প্রভৃতি এলাকায় সারা বছর ধরেই তাঁত শিল্পের কাজ হয়। তবে পুজোর আগে জোরকদমে চলে সেই কাজ। কিন্তু দুদিনের একটানা বৃষ্টিতে কালনা, সমুদ্রগড়, নসরতপুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে গিয়েছে রাস্তা এবং বাড়ির মধ্যে।

আরও পড়ুন : জলে ডুবে মন্দির, দুই ভক্তের কাঁধে চেপে পুজো করতে আসছেন পুরোহিত!

এছাড়াও জল জমেছে তাঁত ঘরেও। আর যার জেরেই বর্তমানে সমস্যায় পড়েছেন তাঁতিরা। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গৌরাঙ্গপাড়া এলাকাতেও বৃষ্টির জল জমায় বন্ধ তাঁত কারখানা। এই প্রসঙ্গে গৌরাঙ্গপাড়া এলাকার তাঁতিরা বলেন , “বৃষ্টিতে ঘরের মধ্যে জল উঠে যাওয়ার কারণে তাঁত বুনতে পারছি না। প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে তাঁত বুনতে। তাঁত ভারি হয়েছে গিয়েছে , তাঁত বোনা যাচ্ছেনা। এখন এমনিতেই বাজার খারাপ আবার সামনেই পুজো , আমরা চিন্তায় রয়েছি।”

আরও পড়ুন : বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর এবার দেখা দিল নতুন আতঙ্ক! প্রবল চিন্তায় গ্রামবাসীরা

প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমান জেলার এই সমস্ত এলাকার তাঁতের খ্যাতি রয়েছে দেশ জুড়ে। যদিও বর্তমানে হ্যান্ডলুমের পরিবর্তে পাওয়ারলুমের পাল্লা ভারি। তবুও সেই সমস্ত কিছুকে সঙ্গে নিয়েই পুজোর কাজে হাত লাগিয়েছিলেন তাঁতিরা। তাঁদের দাবি, জমা জল কমে গেলেও, তাঁতঘরের অবস্থা ভিজে থাকার কারণে নতুন করে শাড়ি তৈরির কাজে হাত লাগানো যাচ্ছেনা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

সবমিলিয়ে পুজোর আগে জলের জন্য থমকে গিয়েছে শাড়ি তৈরির কাজ। তবে তাঁতিরা জানিয়েছেন, দিন কয়েকের জন্য শাড়ি তৈরি বন্ধ হলেও। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই জোর কদমে শুরু হবে শাড়ি তৈরির কাজ।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী