'সন্দেহজনক' পোস্টার, ঘুরিয়ে কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি?

West Bengal BJP: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন, বঙ্গে সংখ্যালঘুদের ভোটও নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া বিজেপি

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। বঙ্গে যুদ্ধ জয়ে নয়া কৌশল। এবার মুসলিম ভোটও নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া বিজেপি।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বুঝতে পেরেছে, তাঁদেরকে বোকা বানানো হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে তাঁদের। নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হয়নি। ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে দেখা হয়েছে। এতদিন যে ভোট দিত এবার তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ বিজেপিকে দেবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।’’

একুশের বিধানসভা ভোটের আগে অবশ্য বারবার মেরুকরণের অস্ত্রে শান দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। কয়েক মাস আগে পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে বারবারই উঠে এসেছে সত্তর-তিরিশের কথা। তবে চব্বিশের লোকসভা ভোটে তিনিও এবার আশাবাদী সংখ্যালঘু ভোট বিজেপির ঝুলিতে যাওয়ার বিষয়ে। একুশের ভোটের ফলেই স্পষ্ট, মেরুকরণের অস্ত্রে শান দিয়ে তেমন কিছু লাভ হয়নি বঙ্গ বিজেপির। কারণ, মুসলিম ভোট তৃণমূলের দিকে আরও বেশি সুসংহত হয়েছে।

আরও পড়ুন– বৃশ্চিক রাশির মাসিক রাশিফল; ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত উত্থান-পতনে পূর্ণ, জীবনে অনেক অশান্তি আসবে

হিন্দু ভোটও পুরোপুরি বিজেপির দিকে যায়নি। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, পদ্ম শিবির ভালই বুঝতে পেরেছে, এ রাজ্যে তৃণমূলকে হারাতে হলে তাদের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতেই হবে। বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য কিংবা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘সংখ্যালঘুরা আজ বুঝতে পেরেছে যে, আজকের দিনে বিভাজন নয়। উন্নয়নই শেষ কথা। এবং উন্নয়ন ও মোদিজি সমার্থক। তাই তারাও আজ বিজেপির মিছিল ও বিভিন্ন রাজনীতি কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।’’

আরও পড়ুন– মকর রাশির মাসিক রাশিফল: ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনেক সুযোগ মিলবে, ব্যয় বাড়বে, অবিবাহিতদের জন্য সুখবর

পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার প্রায় তিরিশ শতাংশ মুসলিম। পঁচিশ শতাংশের বেশি মুসলিম ভোটার রয়েছেন এমন বিধানসভা আসনের সংখ্যা ১৪৬টি।একুশের ভোটে এই ১৪৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জেতে ১৩১টিতে। বিজেপির ঝুলিতে যায় মাত্র ১৪টি। একটি পায় নওশাদ সিদ্দিকীর আইএসএফ।

এই ফলেই স্পষ্ট, মুসলিম ভোটের প্রায় পুরোটাই গিয়েছে তৃণমূলে ঘরে। সেখানেই এবার লোকসভা ভোটে ভাগ বসাতে চাইছে বিজেপি। কয়েকদিন আগেই বঙ্গ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বলেছেন, ‘‘ তৃণমূল অহঙ্কার করে বলে তাদের একটা নিশ্চিত ভোটব্যাঙ্ক আছে। এবার সেই মুসলিম মা বোনেরাও তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে এগিয়ে আসবে।’’ সবমিলিয়ে সংখ্যালঘুদের ভোট পেতে নানান রাজনৈতিক কৌশল নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। যদিও শাসক শিবির বলছে, সংখ্যালঘুদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়ন করেছেন তাতে তৃণমূল নেত্রীর উপরে এবারও আস্থা রাখবে তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের সিংহভাগ ভোট কাদের ঝুলিতে যায় তার উত্তর দেবে সময়ই।