বিস্ফোরক অভিযোগ জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের

Jagannath Chatterjee: বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ঋণের ৩ হাজার কোটি টাকা লুঠ! বিস্ফোরক অভিযোগ জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: একদিকে যখন রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্রমাগত সুর চড়িয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।‌ তখন অন্যদিকে জেলায় জেলায় প্লাবন পরিস্থিতির জন্য দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি দায়ী নয় বলে পাল্টা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দেগে একাধিকবার সরব হয়েছে বঙ্গ পদ্ম শিবির। আর এবার বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন– দিল্লির স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বাংলার ৬ বিজেপি সাংসদ, কারা কারা পেলেন সুযোগ?

রাজ্য সরকারকে নিশানা করে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাঙ্কের ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণে চলা মুণ্ডেশ্বরীর পলি তোলা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের যে কাজ হয়েছে তা যথার্থ ভাবে করা হয়নি। ‘তোলাবাজি’-‘সিন্ডিকেট’ এর সঙ্গে যুক্ত আছেন স্থানীয় তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা।’’

রাজ্য বিজেপির এই নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘যথার্থ ভাবে কাজ সম্পন্ন না হওয়ার ফলে খানাকুলের ৬ লক্ষ মানুষ বানভাসি হয়েছেন। এর দায় তৃণমূল কংগ্রেসের। দামোদর অববাহিকা নিম্ন অববাহিকা ও রূপনারায়ণ অববাহিকার অন্তর্গত অন্তত ৩০ টি বিধানসভা এলাকা রয়েছে। এই সমস্ত বিধানসভার দুজন তৃণমূল বিধায়ক ছাড়া বাকি ২৮ জন শাসক দলের বিধায়ক থেকে শুরু করে ৩০ টি বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরাও পলি সংস্কার ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে‌ অন্যান্য কাজের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে নেওয়া বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ঋণের টাকা লুঠ করেছেন।’’

আরও পড়ুন– বেইরুটে ফের এয়ারস্ট্রাইক ইজরায়েলের, খতম হিজবুল্লাহর ড্রোন কমান্ডার Mohammed Srur

যদিও শাসকদলের কোন কোন বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত? এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য এখনই নাম প্রকাশ্যে আনতে চায়নি বিজেপি। তবে বিশ্বব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত আকারে সমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে বলে দাবি করে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ‘‘রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর ডিভিসি সর্বকালীন রেকর্ড পরিমাণ জল ছেড়েছে। এটা একেবারে ভুল তথ্য।‌ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বাঁধগুলির জল ধারণ ক্ষমতা বেশি থাকলেও এই সমস্ত জায়গা থেকে অনেক আগেই জল ছাড়াতেই বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি আজ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।’’