Tag Archives: Bengal Flood

Mamata Banerjee Kalighat Home: জল থৈ থৈ চারপাশ, ভাসল মমতার ঘর! মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে হুলস্থূল

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে জল। আদিগঙ্গার জল উপচে বিপত্তি। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকল জল। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতরে জলের স্রোত। জোয়ারের জল ঢুকল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। দেখুন সেই ভিডিও।

পূর্ণিমার কোটালের জন্য জল ঢুকে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। পাশেই টালিনালা, ফলে এটা ঘটেছে আগেও। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বাড়িতে জল ঢুকেছে খবর জানার পর এ কথাই বলেন। বাড়িতে কথাও বলেন ফোন করে।

আরও পড়ুন: চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে কী হবে জানেন? শরীরের এই পরিবর্তনগুলো শুনলে চমকাবেন! জানুন ডাক্তারের কথা

এই মূহুর্তে ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত বাংলার বিভিন্ন জেলা ঘুরে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ডিভিসির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক নয়। ডিভিসির ছাড়া জলেই ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর কোনও সম্পর্ক রাখার অর্থ হয় না। তাঁর দাবি, ‘তোমার রাজ্যকে (ঝাড়খন্ড) বাঁচিয়ে আমি আমার রাজ্যের জনগণের ক্ষতি করব এটা মেনে নিতে পারলাম না। আমি দুঃখিত। আজ থেকে আগামী তিন দিন ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করা হল। জাতীয় সড়কের ওপর দিয়েও জল বইছে। গাড়ি ডুবে বিপদ আসুক আমি চাই না।’

আরও পড়ুন: রোজ খাবারের পাতে শসা খান? শরীরে কী হচ্ছে এর ফলে জানেন? চিকিৎসকের অবাক করা দাবি

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা বিভিন্ন জলাধারে ১০০% থেকে কমে ৩৬% হয়ে গিয়েছে। না হয় ড্রেজিং। না হয় পলি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। বছরের পর বছর এই অবস্থা হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীকে একাধিক বার চিঠি লিখেছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা কেন্দ্র নিচ্ছে না। রাজ্যের বকেয়া অর্থ দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজন ৫০ লক্ষ পাকা বাড়ি। আবাসের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এগারো লক্ষ বাড়ি রাজ্য করে দেবে। কিন্তু আরও বাড়ি প্রয়োজন। কারণ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি। চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিন। আমি আর বেশি কিছু বলব না।’

আবীর ঘোষাল

Mamata Banerjee on DVC: বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, সামাল দিতে বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর! জেনে নিন

না জানিয়ে জল ছাড়ছে ডিভিসি, ফের দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনকে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
না জানিয়ে জল ছাড়ছে ডিভিসি, ফের দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনকে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বৃহস্পতিবার উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে ডিভিসি-র বিরুদ্ধে ফের একবার বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা।
বৃহস্পতিবার উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে ডিভিসি-র বিরুদ্ধে ফের একবার বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আর্ত মানুষের পাশে আজীবন থাকার প্রতিজ্ঞা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলাম। আজ আমার রাজ্যবাসীর একাংশ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিপদের সম্মুখীন। কাল আমি হুগলির পুরশুড়া, গোঘাট-আরামবাগ এলাকা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে গিয়েছিলাম।'
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর্ত মানুষের পাশে আজীবন থাকার প্রতিজ্ঞা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলাম। আজ আমার রাজ্যবাসীর একাংশ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিপদের সম্মুখীন। কাল আমি হুগলির পুরশুড়া, গোঘাট-আরামবাগ এলাকা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে গিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, 'এছাড়াও বীরভূমের বন্যা কবলিত এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখেছি। আজ পাঁশকুড়া, রাতুলিয়ার বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখলাম এবং সেখানকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করলাম। আমাদের প্রশাসন দিবারাত্রি তাঁদের পাশে আছে। যাঁদের শস্যের ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা শস্য বীমার টাকা পাবেন।'
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও বীরভূমের বন্যা কবলিত এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখেছি। আজ পাঁশকুড়া, রাতুলিয়ার বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখলাম এবং সেখানকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করলাম। আমাদের প্রশাসন দিবারাত্রি তাঁদের পাশে আছে। যাঁদের শস্যের ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা শস্য বীমার টাকা পাবেন।’
মমতার অভিযোগ, 'এখন আমি উদয়নারায়ণপুরের পথে। এই বছর কোনো আলোচনা ব্যতীত প্রায় পাঁচ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যার জন্য দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটি একটি ‘ম্যান ম্যাড বন্যা’ ছাড়া আর কিছুই নয়।'

মমতার অভিযোগ, ‘এখন আমি উদয়নারায়ণপুরের পথে। এই বছর কোনো আলোচনা ব্যতীত প্রায় পাঁচ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যার জন্য দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটি একটি ‘ম্যান ম্যাড বন্যা’ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, 'আমি প্রথমদিন থেকে এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। দুর্গতদের পাশে থাকতে আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ত্রাণ পরিষেবায় চালু আছে।'

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘আমি প্রথমদিন থেকে এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। দুর্গতদের পাশে থাকতে আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ত্রাণ পরিষেবায় চালু আছে।’
'প্রত্যেক পরিবার যেন ত্রাণ পরিষেবা পায়, তা সুনিশ্চিত করেছি। কোনও একজন মানুষেরও ক্ষতি যেন না হয় সেটি নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।' (রিপোর্টার-- আবীর ঘোষাল)
‘প্রত্যেক পরিবার যেন ত্রাণ পরিষেবা পায়, তা সুনিশ্চিত করেছি। কোনও একজন মানুষেরও ক্ষতি যেন না হয় সেটি নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ (রিপোর্টার– আবীর ঘোষাল)

Mamata Banerjee: ‘DVC-র সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবে রাজ্য’, বন্যা পরিদর্শনে গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি মমতার

পাঁশকুড়া: নিম্নচাপের জেরে ক্রমাগত বৃষ্টি ও ডিভিসি-র ছাড়া জলে প্লাবিত বাংলার বহু এলাকা। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। বুধবারই বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে ‘ম্যান মেড’ বন্যার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি যান পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়।

পাঁশকুড়ার মঙ্গলদারি গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ত্রাণ নিয়ে যেন কোনও অভিযোগ না আসে। সরকার যথেষ্ট অর্থ সাহায্য করছে। অভিযোগ আসলে প্রশাসন ধরবে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে। ডিভিসি’র সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবে রাজ্য। এর পর আর সম্পর্ক রাখা যায় না।’

পাঁশকুড়ায় মমতা
পাঁশকুড়ায় মমতা

আরও পড়ুন: রোজ খাবারের পাতে শসা খান? শরীরে কী হচ্ছে এর ফলে জানেন? চিকিৎসকের অবাক করা দাবি

দুর্গতদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্র কেন ড্রেজিংয়ের নির্দেশ দিচ্ছে না? এদিন বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে গণআন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, ‘বারবার বলার পরেও গত তেরো বছর ধরে ড্রেজিং করছে না কেন্দ্র এই ইস্যুতে এবার আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।’

আরও পড়ুন: চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে কী হবে জানেন? শরীরের এই পরিবর্তনগুলো শুনলে চমকাবেন! জানুন ডাক্তারের কথা

হাওড়া ও হুগলি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির আরামবাগ, গোঘাটের মতো অঞ্চলের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। খানাকুলে রূপনারায়ণ নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের দিক থেকে শিলাবতী ও আরামবাগের দিক থেকে দ্বারকেশ্বর, এই দুই নদীর মিলিত জলে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়।

আবীর ঘোষাল

Sukanta Majumdar visit Flood Devastated Area: বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে সুকান্ত মজুমদার, বাংলার বন্যা পরিস্থিতির জন্য কাঠগোড়ায় তুললেন রাজ্য সরকারকে

কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় পরিদর্শনে যাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার।‌

ডিভিসির ছাড়া জলে বানভাসি গ্রামের পর গ্রাম। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া বীরভূম সহ বিস্তীর্ণ জেলায় বহু মানুষ কার্যত ঘরবন্দী।

আরও পড়ুন: রাস্তায় চলছে নৌকা, আরও সংকটজনক ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি, জলের তলায় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই সুকান্ত মজুমদার তাঁর নিউটাউনের বাড়ি থেকে রওনা হয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে। জানা যাচ্ছে প্রথমেই তিনি যাবেন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। সেখানকার একাধিক গ্রামে গিয়ে কী অবস্থায় রয়েছেন স্থানীয় মানুষজন তা খতিয়ে দেখবেন। পাঁশকুড়ার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল এবং দাসপুরেও এইদিন যাবেন সুকান্ত মজুমদার।

আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের সব দাবি মানল রাজ্য, অবশেষে উঠবে কর্মবিরতি? নবান্নে বৈঠক শেষে ফের শর্ত!

প্রসঙ্গত গতকাল, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরেজমিনে হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন। বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকেই দায়ী করেন তিনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দেন প্রয়োজনীয় নির্দেশও।

আজ বৃহস্পতিবার, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া একাধিক এলাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আর এইদিনই পাঁশকুড়া, ঘাটাল-সহ একাধিক জেলার বানভাসী বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করবেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বন্যা পরিস্থিতির জন্য সরাসরি রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন৷

বিজেপির রাজ্য সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করে বলেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি-সহ সরকারি স্তরে কোনও রকম সঠি

Flood Situation: নৌকায় টহলদারি পুলিশের, বন্যার জলের তলায় থানা, ভয়াবহ অবস্থা উত্তরবঙ্গে

মালদহ: টহলদারিতে ভরসা নৌকাই। এখন জলপথই প্রধান ভরসা পুলিশ কর্মীদের। অকেজো হয়ে রয়েছে পুলিশ ভ্যান থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়ি। ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। নৌকা করেই গোটা এলাকায় টহলদারি দিতে হচ্ছে পুলিশকে। এমনকি কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে গাড়ি নয়, পুলিশকে যেতে হচ্ছে নৌকাতেই। এমনই চিত্র ধরা পড়েছে মালদহের মানিকচক ব্লকের ভুতনি থানার। কারণ গঙ্গার জলে প্লাবিত গোটা ভূতনি।

বন্যা কবলিত লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার কবল থেকে বাদ যায়নি পুলিশ থানা। জল থৈথৈ গোটা থানা চত্বর। নীচ তলায় ঢুকেছে জল। এমন পরিস্থিতিতে অস্থায়ীভাবে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ থানা। থানা থেকে দূরে উঁচু একটি জায়গায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানেই শিবিরের মতো করে চলছে থানা। খোলা রাখা হয়েছে পুলিশের অভিযোগ গ্রহণের টেবিল থেকে অনান্য পরিষেবা। এই ভাবেই আপাতত চলছে মালদহের ভুতনি থানা। এখন বন্যার জল না কমলে কোনও উপায় নেই পুলিশের। দুইতলা ভবন ভুতনি থানার। বন্যার জল এতটাই ঢুকেছে গোটা থানা চত্বর জলমগ্ন।

আরও পড়ুন: ৭০০ টাকায় দারুণ ৩ সুবিধা! বর্ষপূর্তিতে বড় ছাড় পাবে জিও প্রিপেড ব্যবহারকারীরা

ভবনের নীচের ঘরগুলিতে প্রায় এক বুক পর্যন্ত জল জমে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে থানা ভবনের দোতলায় সমস্ত সামগ্রী নিয়ে গিয়ে জমা করে রাখা হয়েছে। সেখানেই কিছু পুলিশ কর্মী থাকছেন। নিয়মিত এই ভাবেই পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন থানার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক থেকে কর্মীরা।

পুলিশকর্মী মণিরুল বলেন, ”বন্যার জল থানায় ঢুকেছে। এইভাবে আমাদের কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, কিছু করার নেই, মেনে নিতেই হবে। সমস্ত রকম পরিষেবা চালু রয়েছে।” এমন পরিস্থিতির মধ্যেই তাঁদের নজরদারি চালাতে হচ্ছে গোটা এলাকা জুড়ে। এমনিতেই বন্যায় বিধ্বস্ত গোটা ভুতনি। এই সময় সাধারণ মানুষের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পুলিশ কর্মীদের সতর্কতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বন্যার জলে জলবন্দি হয়ে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। তারপরেও কর্তব্যে অবিচল পুলিশকর্মীরা। নিয়মিত সঠিক পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

হরষিত সিংহ

Farakka Barrage: প্রবল বৃষ্টির কারণে হুহু করে জল ছাড়ছে ফারাক্কা ব্যারেজ, প্লাবনের আশঙ্কা জেলায় জেলায়

মুর্শিদাবাদ: প্রবল বৃষ্টি আর বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে জল ছাড়ার কারণে চাপ বাড়ছে ফারাক্কা ব্যারেজে। জল ছাড়তে হচ্ছে এই ব্যারেজেও। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জল বিপদসীমা অতিক্রম করায় দৈনন্দিন জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। যদিও বাকি সময়ে আপ স্ট্রিমে জল যেমন থাকে সেই অনুযায়ী জল ছাড়া হয় ডাউনস্ট্রিমে। গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি হতেই ১১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সুত্রের খবর, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় এবং ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জলস্তর বৃদ্ধি হতেই সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ জল আসছে, সেই পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭৭.৩৪ ডেঞ্জার লেভেল অতিক্রম করেছে। ফারাক্কা ব্যারেজে জল ধরে রাখার ক্ষমতা নেই, ফলে জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে তারা। জল না ছাড়া হলে ফারাক্কা ব্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। তবে ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার কারণেই বাংলাদেশ প্লাবিত হচ্ছে বলেই দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে এই জল ছাড়ার ফলে গঙ্গা থেকে জল ঢুকছে বিভিন্ন গ্রামে ও মাঠে। প্লাবনের আশঙ্কা করছেন মুর্শিদাবাদের মানুষ। বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ গঙ্গার উচ্চ অববাহিকায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে হুহু করে বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর। ফারাক্কা ব্যারেজের আপ স্ট্রিমে জল ধারণ ক্ষমতা ২৬.২৪ মিটার। বিপদসীমা ২২.২৫ মিটার এবং সর্তকতা সীমা ২১.২৫ মিটার। ইতিমধ্যে আপ স্ট্রিমের ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করায় শনিবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ গেট। ইতিমধ্যেই ১১ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হচ্ছে ব্যারেজ থেকে। ‌যদিও পদ্মায় জল বাড়ায় প্লাবনের পরিমাণ আরও বাড়ছে।

অন্যদিকে, নিমতিতায় সর্তক সীমা ২০.৫৮ মিটার ৷ বিপদসীমা ২১.৯০ মিটার। নিমতিতায় জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে ১১.৫১ মিটার উচ্চতায়। নুরপুরে বিপদসীমা ২১.০৩ মিটার। জল বইছে ২১.৬৪ মিটার দিয়ে। সতর্কতা সীমা ২০.৭৩ মিটার৷ গিরিয়ায় বিপদসীমা ২০.৯৪ মিটার। ২১.৫৫ মিটার উচ্চতায় জল বইছে। সতর্কতা সীমা ২০.৩৯ মিটার৷ জঙ্গিপুরে গঙ্গার বিপদসীমা ২০.২৯ মিটার। জল বইছে ২০.৮৭ মিটার উচ্চতা দিয়ে। সতর্কতা সীমা ১৭.৮০ মিটার৷ একইভাবে লালবাগ, বহরমপুর, বেলডাঙা, শক্তিপুরে ভাগীরথীর জল বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে।

কৌশিক অধিকারী

ফের ‘ম্যান মেড’ বন্যার অভিযোগ মমতার, কথা হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে! চিন্তা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে

কলকাতা: কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এমনিতেই বাংলার বেশ কিছু জায়গায় প্লাবিত হয়েছে৷ তারই মধ্যে ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট থেকে জল ছাড়া হচ্ছে৷ এর ফলে পশ্চিমবাংলার বেশ কিছু জায়গার বন্যা পরিস্থিতি আরও আবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘এইমাত্র আমি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলেছি৷ তার সঙ্গে এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথাও বলেছি৷ আমি ওঁর সঙ্গে তেনুঘাট থেকে আকস্মিক বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছি৷’’


আরও পড়ুন: ইউপির গ্রামে দূষিত জলে গুরুতর স্বাস্থ্য হানি বাসিন্দাদের, রয়েছে মৃত্যুর আশঙ্কাও

তিনি এই আকস্মিক জল ছাড়ার ঘটনার বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর কথায় এই বন্যা আসলে ‘ম্যান মেড’৷ তিনি আরও লেখেন,‘‘আমি হেমন্ত সোরেনকে এই বিষয়টিকে দেখার জন্য অনুরোধ করেছি৷’’

আরও পড়ুন:ভাঙছে বাঁধ, জলের তলায় একের পর এক জনপদ, দক্ষিণবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি!

সমগ্র পরিস্থিতির উপর তিনি নজর রাখছেন৷ ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন৷

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘আগামী ৩ থেকে ৪ দিন পরিস্থিতির উপর সমস্ত জেলাশাসকদের নজর রাখতে বলেছি৷ কোথাও যেন কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না হয়, সেদন্য সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছি৷

Flood: ভাঙছে বাঁধ, জলের তলায় একের পর এক জনপদ, দক্ষিণবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি!

কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া-বিভিন্ন জেলায় বিস্তর প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যেই জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি। রাজ্যকে না জানিয়েই তা ছাড়া হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ নবান্নের। সার্বিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে মাইথন থেকে ৬০০০ কিউসেক ও পাঞ্চেত থেকে ১,১৪,০০০ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। যে কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার দেখা দিয়েছে।

শনিবার পাঞ্চেত এবং মাইথন থেকে যে ছেড়েছে সেই জল দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে আসতে শুরু করেছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ল। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ৮২ হাজার কিউসেক। যত বেলা বাড়বে, তত জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানায় সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ররা।

আরও পড়ুন: মমতাকে নালিশ করবে বন দফতর, পাশে নেই দলও! মহিলা অফিসারকে শাসিয়ে বিপাকে অখিল

ডিভিসি-র ছাড়া জলে আমতায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে মুন্ডেশ্বরী নদী। জলের তোড়ে ভাঙল ৪টে বাঁশের সেতু। গায়েন পাড়া, কুলিয়া, আজানগাছি, পানশিউলী। আমতার সঙ্গে দীপাঞ্চল ভাটোরার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এদিকে, ডিভিসির ছাড়া জলে হাওড়া জগৎবল্লভপুর ব্লকের একাধিক জায়গায় বাড়ছে জল। ভেঙেছে একাধিক বাঁধ। সারারাত ধরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে বাঁধ মেরামতির কাজ। জগৎবল্লভপুরের পাতিহাল অঞ্চলে হাবিজপুর এলাকায় ভাঙছে বাঁধ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাত জেগে বাঁধ মেরামতির কাজে জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক শীতনাথ ঘোষ। আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। অন্যদিকে জগৎবল্লভপুরের চাঁদুল ও যদুপুর এখনও বিচ্ছিন্ন।

অপরদিকে, জল বাড়ছে শিলাবতী নদীতে, ঘাটাল পৌর এলাকায় ঢুকছে জল প্লাবিত হচ্ছে রাস্তা জল পেরিয়ে চলছে পারাপার। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জল বেড়েছে ঘাটালের শিলাবতী নদীতে। শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হচ্ছে ঘাটাল পৌর এলাকা। শিলাবতী নদীর জল বাড়ায় শিলাবতী নদীর উপর ভাসমান ঐতিহ্যবাহী ভাসাপোল সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যাতায়াত। নতুন করে পাটাতন লাগিয়ে আবার চালু করা হয়েছে ভাসাপোল। এক কথায় শিলাবতী নদীর জল বাড়ায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঘাটালবাসীর। ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে শিলাবতী নদীর জল বিপদ সীমার নীচেই বইছে, তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন।

এদিকে, বীরভূমের লাভপুরে কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে গেল। ঠিবা, কাজীপাড়া, লাঙলহাটা সহ আট থেকে দশটি গ্রাম জলমগ্ন। বন্যা পরিস্থিতি বীরভূমের লাভপুরে।

Alipurduar Flood: ভয়াবহ! জলে ভাসছে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বাড়িঘর, বন্যায় বিপর্যস্ত কালচিনির জীবনযাত্রা

আলিপুরদুয়ার: প্রবল বর্ষণে বন্যা দেখা গিয়েছে কালচিনি এলাকায়। সকাল থেকে বন্যার জলে ডুবে রয়েছে কালচিনি। স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়ে পড়েছে। প্রবল বেগে জল প্রবেশ করেছে কালচিনির প্রতিটি বাড়িতে।

জলে ডুবে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর। গুরুত্বপূর্ণ নথি প্লাস্টিকে মুড়িয়ে রাখা হচ্ছে। জল নেমে যাওয়ার পর অনেক নথি খুঁজে না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কালচিনির মোদিলাইন, গোদাম লাইন, স্টেশন লাইন, শান্তি কলোনি-সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ বেহাল নিকাশি ব‍্যবস্থার কারণে প্রতি বছর বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে কালচিনির বিভিন্ন এলাকা। নালা ছোট, তার ওপর সব নোংরা নালাতে ফেলা হয়। প্রশাসনের কোনও নজরদারি নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। যার কারণে বন্যা হল এলাকায়।

প্রতিটি ঘরে জল প্রবেশ করেছে। ভাঙতে শুরু করেছে বাড়িঘর। জলমগ্ন হ্যামিল্টনগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। প্রবল বর্ষণ ও বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণে জলমগ্ন হয়ে পড়ল বিভিন্ন এলাকায়। হ্যামিল্টনগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ড জলমগ্ন। সড়কে প্রায় হাঁটু সমান জল।

Annanya Dey