তৃণমূলের সঙ্গে কি এবার 'নরম' সম্পর্ক? অধীরের উত্তরসূরী শুভঙ্করের উত্তর কিন্তু চমকে দেবে

West Bengal Congress: তৃণমূলের সঙ্গে কি এবার ‘নরম’ সম্পর্ক? অধীরের উত্তরসূরী শুভঙ্করের উত্তর কিন্তু চমকে দেবে

কলকাতা: কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে প্রথমবার বিধানভবনে পা রাখলেন শুভঙ্কর সরকার। অধীর রঞ্জন চৌধুরির পদত‍্যাগের পর তাঁকেই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। শুভঙ্কর সরকার কংগ্রেস অফিসে ঢুকতেই ফুল, মালা দিয়ে স্বাগত জানালেন কংগ্রেস সমর্থকরা৷

নয়া সভাপতির প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই বেজে ওঠে বাজনা। যদিও আরজি কর আর বন্যা, দুই কারণে নেতাদের আপত্তি করায় মুহূর্তে বন্ধ হল ঢোল-বাজনা। করমর্দন, স্লোগান, পুষ্পবরণে প্রথমবার সভাপতি হিসেবে কংগ্রেস অফিসে প্রবেশ করলেন শুভঙ্কর সরকার।

আরও পড়ুন: ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের পথে সরকার? প্রতিনিধি তুলে নিলেন মমতা! ‘বন‍্যা’ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ‍্য তরজা এবার কোন পথে?

সভাপতি হিসেবে রাজ‍্য কংগ্রেস অফিসে বক্তৃতা দিলেন শুভঙ্কর। শুরুতেই আরজি কর কাণ্ড এবং বানভাসি রাজ্যে মানুষের দুর্দশার কারণে নিরবতা পালন করেন সকলে। দীর্ঘদিন ধরেই এই পদে আসিন ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরি। অধীর ইস্তফা দেওয়ার পর কংগ্রেস নেতা জানালেন গত শনিবার বিকেলেই শুভঙ্কর সরকারকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব, এমনটাই জানালেন নয়া সভাপতি।

শুভঙ্কর সরকারের কথায়, ‘‘মল্লিকার্জুন খার্গে, রাহুল, সোনিয়া, রাজ্যের ইনচার্জ, বেনুগোপাল জি এঁরা প্রত্যেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে দায়িত্ব দিয়েছে৷ জননেতা রাহুল গান্ধী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা গুরুত্ব সহকারে এবং রাজ্যে মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণ করব। রাজ্যের কংগ্রেসকে মজবুত করা এবং সংগঠন তৈরি করার কাজ।’’

আরও পড়ুন: মোবাইলের নেশায় আসক্ত বাড়ির খুদে? এই ৫ টিপস্ কাজে লাগান, নিজে থেকেই ফোন দেখা ছেড়ে দেবে সন্তান

সদ‍্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের রাজ‍্য সভাপতি জানালেন, ‘‘নাগরিক সমাজ যেভাবে রাজনৈতিক দলের বাইরে যেভাবে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে তাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং বানভাসি দুর্দশা, আর জি কর প্রতিবাদ সমস্ত কিছুকে সামনে রেখে ব্লকে ব্লকে কংগ্রেস সজাগ রয়েছে, আরও থাকবে৷ পুজোর পর থেকে প্রতিদিন কংগ্রেস নেতৃত্ব এখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবে। আমি সপ্তাহে একদিন অফিসে খোলা জায়গায় থাকব, মিলিত হব।’’

শুভঙ্কর সরকারে জানালেন, ‘‘প্রত‍্যেক কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কংগ্রেসকে চায়। বাংলার মানুষের মান অভিমান আছে। প্রত্যাশা আছে৷ এক ধরনের বাইনারি আছে রাজ্যে। প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমায় গাইড করবেন। আগামী দিনে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করব৷ এটাই বড় বিষয়। গণতন্ত্রে যখন কেউ দুর্বল হয় তখনই ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ শুরু হয়।’’

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধি স্লোগান ‘ডরো মত’- মনে রেখেই এগোবেন তিনি, জানালেন শুভঙ্কর সরকার। ‘‘মানুষের কথা বলবো। মানুষ যা চাইবে তাই হবে।’’

রাজ‍্যের কংগ্রেস সভাপতির মতে, ‘‘ তৃণমূল কংগ্রেস ও বাম ইন্ডিয়া শরীক৷ এক দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি অন্যদের সঙ্গে হয়েছে৷ দলের রাজ্যের চালক হিসেবে এখন কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত করাই মূল লক্ষ। একা কোনও সিদ্ধান্ত নেবো না৷ অধীরদা মতন অনেকের সঙ্গেই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো৷’’ মালদা তৃণমূল নেতার বক্তব‍্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আনপার্লামেন্টারি শব্দের প্রয়োগ বাড়ছে। মানুষ সব দেখছেন। কংগ্রেস চিরদিন ক্ষমতায় থাকেনি। নেতাদের এহেন মন্তব্য ঠিক নয়৷ মন্তব্য নিয়ে।