সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল এসএসসি মামলার শুনানি

West Bengal SSC Recruitment Case: SSC চাকরিহারাদের হল না সুরাহা, সুপ্রিম কোর্টে পিছোল শুনানি! ফের শুরু অপেক্ষা, পরবর্তী শুনানি কবে?

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা। একাধিকবার সময় পিছিয়ে গিয়েও সোমবারে শুনানি হলই না এই মামলার। মঙ্গলবার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে। কাল একটি আগাম জামিন মামলার শুনানি করার পর এসএসসি মামলা ধরবে শীর্ষ আদালত।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরিহারা হয়েছেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু সেখানেই এসএসসির চাকরিহারাদের কোনও সুরাহা হল না।

হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। গত সোমবার মামলাটির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। মামলা শুনেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’ ৬ মে, সোমবার ফের শুনানি হওয়ার কথা ছিল এই মামলার।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা স্কুলের তালিকায় রয়েছে ভারতের এই স্কুল, পড়লেই কেউ IPS-কেউ IAS অফিসার! কোন স্কুল এটি জানেন?

গত শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি। সরকারের আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন হল হাইকোর্ট কীভাবে একজন সরকারি কর্মীকে টার্মিনেট করতে পারে? তাঁরা তো কমপিটেন্ট অথরিটি নয়। ২৪ হাজার মানুষ কর্মহীন হলে তাঁদের পরিবারের কী হবে?’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’

আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। ওএমআর শিট না পেলে কীভাবে যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীর বিচার হবে? সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলেও হাইকোর্টের বাকি রায়ে ওইদিন স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার, ৬ মে ২০২৪। ততদিন চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকবে। কিন্তু এদিন সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল ৭ মে, মঙ্গলবার।

অর্ণব হাজরা