প্রোটিনের ভাণ্ডার! সুস্থ থাকতে সপ্তাহে কতগুলি ডিম খাবেন? সেদ্ধ করার সঠিক পদ্ধতিও জানালেন চিকিত্‍সক

Egg yolk benefits: ডিমের সাদা খেয়ে কুসুম ফেলে দিচ্ছেন? সপ্তাহে কতগুলি খেতে পারেন? জেনে নিন।

ডিম খেতে ভালবাসলেও কুসুম ফেলে দেন অনেকেই। কোলেস্টেরল বাড়ে ডিমের কুসুম খেলে, এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছে মানুষের মনে। ওজন বাড়ার ক্ষেত্রেও নাকি ভূমিকা রয়েছে কুসুমের। সত্যিই কি তাই? আধুনিক গবেষণা বলছে ডিমের কুসুম আসলে একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে যদি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হয়। সপ্তাহে ৪-৫টি ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিকই থাকে, হার্টের উপরও প্রভাব পড়ে না, জানাচ্ছেন বেঙ্গালুরুর পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ান স্বাতী কপুর।
ডিম খেতে ভালবাসলেও কুসুম ফেলে দেন অনেকেই। কোলেস্টেরল বাড়ে ডিমের কুসুম খেলে, এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছে মানুষের মনে। ওজন বাড়ার ক্ষেত্রেও নাকি ভূমিকা রয়েছে কুসুমের। সত্যিই কি তাই? আধুনিক গবেষণা বলছে ডিমের কুসুম আসলে একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে যদি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হয়। সপ্তাহে ৪-৫টি ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিকই থাকে, হার্টের উপরও প্রভাব পড়ে না, জানাচ্ছেন বেঙ্গালুরুর পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ান স্বাতী কপুর।
স্বাতী জানান, ডিমের মধ্যে সাদায় থাকে প্রোটিন। তবে কুসুমেই সবচেয়ে পুষ্টিকর ৭টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং ১৩ রকম খনিজ থাকে ডিমের কুসুমে যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ডিমের কুসুম শরীরে নানাবিধ উপকার সাধন করে।
স্বাতী জানান, ডিমের মধ্যে সাদায় থাকে প্রোটিন। তবে কুসুমেই সবচেয়ে পুষ্টিকর ৭টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং ১৩ রকম খনিজ থাকে ডিমের কুসুমে যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ডিমের কুসুম শরীরে নানাবিধ উপকার সাধন করে।
যেকোনও ব্যক্তি ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনও সমস্যা তো হবেই না, এমনকি কুসুমসহ সম্পূর্ণ ডিম খেলেও উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ঝুঁকি থাকে না। )photo source collected
যেকোনও ব্যক্তি ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনও সমস্যা তো হবেই না, এমনকি কুসুমসহ সম্পূর্ণ ডিম খেলেও উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ঝুঁকি থাকে না। photo source collected
ডিমের কুসুম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ, যা একটি গবেষণা অনুসারে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ছানি পড়ার মতো বয়স সম্পর্কিত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রেটিনার বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করতে পারে এমন ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে চোখকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে থাকা ক্যারোটিনয়েডও এর উজ্জ্বল হলুদ রঙের জন্য দায়ী।
ডিমের কুসুম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ, যা একটি গবেষণা অনুসারে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ছানি পড়ার মতো বয়স সম্পর্কিত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রেটিনার বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করতে পারে এমন ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে চোখকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে থাকা ক্যারোটিনয়েডও এর উজ্জ্বল হলুদ রঙের জন্য দায়ী।
ডিমের কুসুমে পাওয়া প্রোটিন রক্ত ​​জমাট বাঁধার পদ্ধতিতে সাহায্য করে। আপনি যদি ধূমপান করেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করেন বা রক্ত ​​জমাট বাঁধার ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে আপনি সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় ডিমের কুসুম রাখতেই করতে পারেন।
ডিমের কুসুমে পাওয়া প্রোটিন রক্ত ​​জমাট বাঁধার পদ্ধতিতে সাহায্য করে। আপনি যদি ধূমপান করেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করেন বা রক্ত ​​জমাট বাঁধার ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে আপনি সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় ডিমের কুসুম রাখতেই করতে পারেন।
ডিমের কুসুমে উপস্থিত কোলিনের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি কার্ডিওভাসকুলার ফাংশন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আপনি যদি আর্থ্রাইটিস এবং এন্ডোমেট্রিওসিসে ভোগেন, তাহলে আপনার ডায়েটে ডিমের কুসুম রাখা উচিত।
ডিমের কুসুমে উপস্থিত কোলিনের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি কার্ডিওভাসকুলার ফাংশন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আপনি যদি আর্থ্রাইটিস এবং এন্ডোমেট্রিওসিসে ভোগেন, তাহলে আপনার ডায়েটে ডিমের কুসুম রাখা উচিত।
ডিমের কুসুমে ওমেগা 3 এবং ওমেগা 6-এর মতো প্রয়োজনীয় দীর্ঘ চেন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্ক এবং রেটিনার কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। ডিমের কুসুম পরিমিত ভাবে খেলে তা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরের প্রজনন ব্যবস্থাকে উন্নত করে এবং ক্ষত সারাতেও ডিমের কুসুমের ভূমিকা রয়েছে।
ডিমের কুসুমে ওমেগা 3 এবং ওমেগা 6-এর মতো প্রয়োজনীয় দীর্ঘ চেন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্ক এবং রেটিনার কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। ডিমের কুসুম পরিমিত ভাবে খেলে তা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরের প্রজনন ব্যবস্থাকে উন্নত করে এবং ক্ষত সারাতেও ডিমের কুসুমের ভূমিকা রয়েছে।
যাঁরা জিম করেন অথবা অ্যাথলেট, তাঁরা দিনে ৭-৮টা পর্যন্ত ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। ডিমের কুসুম কম খেতে বলা হয়, কারণ এটির জন্য কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন থাকে, যা শরীরের জন্য ভাল।
যাঁরা জিম করেন অথবা অ্যাথলেট, তাঁরা দিনে ৭-৮টা পর্যন্ত ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। ডিমের কুসুম কম খেতে বলা হয়, কারণ এটির জন্য কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন থাকে, যা শরীরের জন্য ভাল।
অনেকে কুসুমের জন্যই ডিম খান। আবার অনেকে কুসুম এড়িয়ে চলেন। খান শুধু ডিমের সাদা অংশ। তাঁদের ভয় ডিমের কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে৷ ফলে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে৷
অনেকে কুসুমের জন্যই ডিম খান। আবার অনেকে কুসুম এড়িয়ে চলেন। খান শুধু ডিমের সাদা অংশ। তাঁদের ভয় ডিমের কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে৷ ফলে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে৷
তার মানে কি ডিমের কুসুম খাবই না? তা একেবারেই নয়৷ ডিমের কুসুম অতটাও খারাপ বা অপকারী নয়৷ সেলেব পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়াল ব্যাখ্যা করেছেন, কেন ডিমের কুসুম আমাদের ডায়েটে রাখতে হবে৷
তার মানে কি ডিমের কুসুম খাবই না? তা একেবারেই নয়৷ ডিমের কুসুম অতটাও খারাপ বা অপকারী নয়৷ সেলেব পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়াল ব্যাখ্যা করেছেন, কেন ডিমের কুসুম আমাদের ডায়েটে রাখতে হবে৷
তাই শারীরিক সমস্যা না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে ডিমের কুসুম অবশ্যই রাখুন পরিমিত পরিমাণে৷
তাই শারীরিক সমস্যা না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে ডিমের কুসুম অবশ্যই রাখুন পরিমিত পরিমাণে৷
নমামি জানিয়েছেন, ডিমের কুসুমে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই৷ এর পাশাপাশি ডিমের কুসুমে আছে ফোলেট, বি-১২ এবং ওমেগা থ্রি৷ ফলে পেটের গণ্ডগোল দূর হয়৷
নমামি জানিয়েছেন, ডিমের কুসুমে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই৷ এর পাশাপাশি ডিমের কুসুমে আছে ফোলেট, বি-১২ এবং ওমেগা থ্রি৷ ফলে পেটের গণ্ডগোল দূর হয়৷
 ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও ডিমের কুসুম উপকারী। কারণ এতে ভিটামিন কে থাকে। তাহলে আর দেরি নয়, ছেলেরা আজ থেকেই প্রতিদিন খেতে শুরু করে দিন একটা করে ডিম। তবে শরীরে বিশেষ অসুখ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাবেন!
ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও ডিমের কুসুম উপকারী। কারণ এতে ভিটামিন কে থাকে। তাহলে আর দেরি নয়, ছেলেরা আজ থেকেই প্রতিদিন খেতে শুরু করে দিন একটা করে ডিম। তবে শরীরে বিশেষ অসুখ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাবেন!
ডিম হল ভিটামিন বি৬, ফোলেট, বি ভিটামিন, বি-১২, এ, ডি, ই এবং কে এর একটি চমৎকার উৎস। এর মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র ডিমের কুসুমে এবং ডিমের সাদা অংশে নয়। ডিমের কুসুম এবং ডিমের সাদা অংশে 13 প্রকারের খনিজ রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং সেলেনিয়াম অন্তর্ভুক্ত করে। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে ডিমে পাওয়া বেশিরভাগ খনিজগুলি কুসুমেই বেশি পরিমাণে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ডিমের ৯০ শতাংশ ক্যালসিয়াম এর কুসুমে থাকে; এর ৯৩ শতাংশ আয়রন উপাদান কুসুমে, মাত্র ৭ শতাংশ থাকে সাদাতে।
ডিম হল ভিটামিন বি৬, ফোলেট, বি ভিটামিন, বি-১২, এ, ডি, ই এবং কে এর একটি চমৎকার উৎস। এর মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র ডিমের কুসুমে এবং ডিমের সাদা অংশে নয়। ডিমের কুসুম এবং ডিমের সাদা অংশে 13 প্রকারের খনিজ রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং সেলেনিয়াম অন্তর্ভুক্ত করে। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে ডিমে পাওয়া বেশিরভাগ খনিজগুলি কুসুমেই বেশি পরিমাণে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ডিমের ৯০ শতাংশ ক্যালসিয়াম এর কুসুমে থাকে; এর ৯৩ শতাংশ আয়রন উপাদান কুসুমে, মাত্র ৭ শতাংশ থাকে সাদাতে।
একজন মানুষ দিনে ক'টা ডিম খেতে পারবেন? সেটা নির্ভর করে তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর। একজন পুরোপুরি সুস্থ মানুষ প্রতিদিন একটা ডিম অনায়াসে খেতে পারবেন। ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন একটা ডিম খেতে পারবেন। এ ছাড়াও ২-৩ টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারবেন প্রতিদিন। ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা, সপ্তাহে ৪ দিন ডিমের কুসুম-সহ এবং বাকি ৩ দিন ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশ খেতে পারবেন।

একজন মানুষ দিনে ক’টা ডিম খেতে পারবেন? সেটা নির্ভর করে তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর। একজন পুরোপুরি সুস্থ মানুষ প্রতিদিন একটা ডিম অনায়াসে খেতে পারবেন। ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন একটা ডিম খেতে পারবেন। এ ছাড়াও ২-৩ টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারবেন প্রতিদিন। ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা, সপ্তাহে ৪ দিন ডিমের কুসুম-সহ এবং বাকি ৩ দিন ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশ খেতে পারবেন।
ডিমকে আপনার প্রতিদিনের খাবারের একটি অংশ করুন। এর থেকে অনেক উপকার পাবেন। পরের বার যখন আপনি ডিম রান্না করবেন তখন ডিমের কুসুম ফেলে দেওয়ার আগে দুবার ভাবুন। এমনকি যারা শুধুমাত্র প্রোটিনের জন্য ডিমের সাদা অংশ খান তাদের জন্যও, আপনার জানা উচিত যে ডিমের প্রোটিনের ৪০% ডিমের কুসুমেই থাকে।
ডিমকে আপনার প্রতিদিনের খাবারের একটি অংশ করুন। এর থেকে অনেক উপকার পাবেন। পরের বার যখন আপনি ডিম রান্না করবেন তখন ডিমের কুসুম ফেলে দেওয়ার আগে দুবার ভাবুন। এমনকি যারা শুধুমাত্র প্রোটিনের জন্য ডিমের সাদা অংশ খান তাদের জন্যও, আপনার জানা উচিত যে ডিমের প্রোটিনের ৪০% ডিমের কুসুমেই থাকে।