বাইকের ABS শব্দের মানে কী? আপনার জীবন বাঁচাতে পারে এই ‘জিনিস’, কী কাজ করে?

কলকাতা: এবিএস হল অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম। বাইকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট। চালক এবং গাড়ি, উভয়কেই দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচায়।

আসলে আচমকা ব্রেক কষলে বাইকের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে, এখানেই কাজ করে এবিএস সিস্টেম। বাইকারদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।

চালক হঠাত ব্রেক কষলেও বাইকের চাকা যেন লক না হয়, তা নিশ্চিত করাই এবিএসের প্রধান কাজ। অর্থাৎ বাইক যত স্পিডেই চলুক না কেন, চালক যদি আচমকা ব্রেক কষেন, তাহলেও চাকা পিছলে যাবে না। কারণ চাকা ঘুরতে থাকছে, লক হচ্ছে না। কয়েকটি ধাপে বিষয়টা বুঝে নেওয়া যাক।

সেন্সরের ব্যবহার: বাইকের চাকায় সেন্সর লাগানো থাকে। এটা লাগাতার চাকার গতি মনিটর করে।

আরও পড়ুন- Flipkart দিচ্ছে একাধিক বাম্পার অফার! iPhone কেনার এটাই সেরা সুযোগ

হাইড্রোলিক কন্ট্রোল: ব্রেক করার সময় যদি এবিএস বুঝতে পারে চাকা লক হয়ে গিয়েছে (অর্থাৎ ঘোরা বন্ধ হয়ে গিয়েছে), সিস্টেম তৎক্ষণাৎ ব্রেকের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেবে। এবং বারবার ব্রেক কষতে থাকবে।

ভারসাম্যপূর্ণ ব্রেকিং: এবিএস সিস্টেম বাইকের চাকাকে সচল রাখে। ফলে নিয়ন্ত্রণ থাকে চালকের হাতে। বাইক হড়কে যায় না। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমে যায়।

এই কারণেই বাইকে অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা ছাড়া বাইক চালানো বিপজ্জনক।

হুইল লক: এবিএস ছাড়া চালক যদি আচমকা ব্রেক কষেন তাহলে বাইকের চাকা লক হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ভেজা পিচ্ছিল রাস্তায়। এই পরিস্থিতিতে বাইক স্কিড করার সম্ভাবনা থাকে। ফলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন- Vivo V40e 5G-এর গ্র্যান্ড এন্ট্রি, 50MP সেলফি ক্যামেরা-সহ 5500mAh ব্যাটারি

ভারসাম্য থাকে না: এবিএস ছাড়া চাকা লক হয়ে গেলে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে চালক বাইক থেকে যে কোনও সময় পড়ে যেতে পারেন।

লম্বা ব্রেকিং ডিস্টেন্স: এবিএস ছাড়া হঠাত ব্রেক কষলে বাইকের ব্রেকিং ডিস্টেন্স বেড়ে যেতে পারে। সোজা কথায়, সময়মতো এবং সঠিক জায়গায় গাড়ি থামানো সম্ভব হবে না।

কঠিন পরিস্থিতিতে চালক যাতে নিরাপদে ব্রেক কষতে পারেন সেটা নিশ্চিত করে এবিএস। বাইকের নিরাপত্তায় তাই এবিএসের গুরুত্ব অপরিসীম।