লাইফস্টাইল BP Reading Method: ডান হাত না বাঁ হাত, শুয়ে না বসে, BP মাপার সঠিক পদ্ধতি জানেন কি? আপনার অবহেলায় ভুল রিডিং আসছে না তো! Gallery May 1, 2024 Bangla Digital Desk উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ উভয়ই বিপজ্জনক। বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে ছোট বড় সব বয়সের মানুষদের মধ্যেই রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। যদিও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সবচেয়ে ভয়ানক, তবুও নিম্ন রক্তচাপও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে দাড়ালে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। BP Reading Tips: প্রায়শই লোকেরা বিছানায় শুয়ে বা বসে তাদের বিপি পরীক্ষা করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তচাপ পরীক্ষা করার সঠিক উপায় থাকা উচিত, তা না হলে রক্তচাপ সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে না। BP Reading Tips: স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের প্রিভেন্টিভ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ডা. সোনিয়া রাওয়াত বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ মিমি এইচজি। BP Reading Tips: সিস্টোলিক চাপ ১২০ মিমি এইচজি পর্যন্ত এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৮০ মিমি এইচজি পর্যন্ত হওয়া উচিত। এর বেশি বা কম হলে উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা শুরু হয়। BP Reading Tips: বর্তমান যুগে জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে রক্তচাপের সমস্যা দ্রুত বাড়ছে। বিপির সমস্যা এড়াতে প্রত্যেকের উচিত তাদের রক্তচাপ পরীক্ষা করা এবং তা কম বা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। BP Reading Tips: ডাক্তার বলেন, রক্তচাপ পরীক্ষা করার সময় মানুষের চেয়ারে আরাম করে বসতে হবে। চেয়ারে বসার সময়, আপনার পা মেঝেতে থাকা উচিত এবং আপনার হাতগুলি আপনার সামনের টেবিলে, আপনার হার্টের উচ্চতার সমান হওয়া উচিত। BP Reading Tips: আপনি ডান বা বাম হাত দিয়ে বিপি পরীক্ষা করতে পারেন। এই অবস্থানে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। এর মাধ্যমে আপনি BP-এর সঠিক রিডিং পাবেন। BP Reading Tips: যারা মাথা ঘোরা অনুভব করেন, তাদের শুয়ে থাকা অবস্থায়ও তাদের রক্তচাপ পরীক্ষা করা যেতে পারে। এটিতে কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে না। BP Reading Tips: ডাক্তারের মতে, শুয়ে শুয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করলে বসে থাকার তুলনায় রিডিং কিছুটা কম পাবেন। তাই, সঠিক রিডিংয়ের জন্য, চেয়ারে বসে মানুষের সঠিকভাবে বিপি পরীক্ষা করানো উচিত। একজন ব্যক্তির অবস্থান ভুল হলে, বিপি রিডিংয়ে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। BP Reading Tips: রক্তচাপের সমস্যা এড়াতে মানুষের উচিত নিয়মমাফিক জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা। এ ছাড়া সময় সময় রক্ত পরীক্ষা করা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ।