হাওড়া: সাত সকালে, মাজু গ্রামের মানুষের নজরে আসে অসংখ্য পায়ের ছাপ। ছাপ দেখে হইহই কান্ড এলাকায়। পরিবেশ কর্মীদের কথায় জানা যায়, বন্য শূকরের পায়ের চিহ্ন বলেই অনুমান। তাঁদের অনুমান রাতের অন্ধকারে শূকরের দল খাবারের খোঁজে কৃষি জমি থেকে লোকালয়ে ঢুঁ মারছে।
অনেকটা গরুর পায়ের খুরের চিহ্নর মত। সকালে উঠে এমন পদচিহ্ন দেখে চাঞ্চল্য ছড়ালেও পরিবেশকর্মীদের সহযোগিতায় সেই ধোঁয়াশা কাটে। গত কয়েক বছরে বাড়বাড়ন্ত। শূকরের তাণ্ডবে অতিষ্ট মানুষ! কৃষি জমি থেকে মানুষের বাড়িতে উঠানে হানা দিচ্ছে শূকরের দল।
শূকর ও হনুমানের অত্যাচারে চাষের জমি থেকে আস্থা হারাচ্ছে কৃষক। চাষীদের অভিযোগ চাষের জমিতে হনুমানের তান্ডব দীর্ঘদিনের। যদিও হনুমানের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে সকাল থেকে সন্ধ্যার পাহারা দিলেই অধিকাংশ ফসল সুরক্ষিত থাকত। কিন্তু বর্তমানে কষ্টের ফসল ওঠার আগেই রাতের অন্ধকারে ক্ষেত নষ্ট করছে বন্য শূকরের দল।
গোধূলিতে জমির ফসল আস্ত রেখে এলে সকলে গিয়ে দেখছে লন্ডভন্ড ফসলের ক্ষেত। রাতের অন্ধকারে শূকরের দল তছনছ করছে গোটা ক্ষেত। কষ্টের ফসল রক্ষা করতে না পেরে জেলার চাষিরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে চাষ থেকে।
জেলা জুড়ে ক্রমেই শূকরের তাণ্ডব বাড়ছে তাতে জেলার কৃষি ভবিষ্যৎ ভয়ংকর এমনটাই মনে করছে একাংশের পরিবেশ কর্মীরা। চাষের জমিতে হনুমান ও শূকর হানায় বছরের পর বছর ক্ষতির মুখে কৃষক। ফলে বহু মানুষ চাষ বন্ধ করে কারখানার শ্রমিকের কাজ বেছে নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ কর্মী সৌরভ দত্ত জানান, মাজু এলাকায় অজানা প্রাণীর পায়ের ছাপ। সকালে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছই। এলাকায় যে প্রাণীর পদচিহ্ন পাওয়া গেছে তা ফেরাল শূকরের বলেই অনুমান। এলাকায় পদচিহ্ন দেখে মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়। এলাকা সংলগ্ন কৃষি জমি সেখান থেকেই শুকরের দল এলাকায় প্রবেশ করে বলেই অনুমান। একথা জানানোর পর, স্থানীয়দের মধ্যে ধোঁয়াশা ভাব কাটে।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ কর্মী সম্রাট মন্ডল জানান, গত দু’বছর আগে হাওড়া ফেরাল শুকরের সমস্যার সহ একাধিক বিষয়ে অবগত করা হয়। তারপর থেকে আরও সমস্যা জটিল হয়েছে। দুর্ভোগে জেলার কৃষক। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, এগুলি পালিত শূকর পায়ে ছাড়া পেয়ে বনে জঙ্গলে আস্তানা গেঁড়েছে। এর ফলে কৃষি জমির ফসল নষ্ট করছে শূকরের দল মানুষের সমস্যা বেড়েছে। দ্রুত বংশ বৃদ্ধির ফলে দিনদিন আরও সমস্যা বাড়ছে। তারা আস্বস্ত করেছেন এগুলো উৎখাত করতে মানুষকে সাহায্য করবে বন দফতর।
Rakesh Maity