আপনার স্মার্টফোনে আর আপডেট আসে না? কেন জানেন? লুকিয়ে ‘বড়’ কারণ

কলকাতা: সাপোর্ট পিরিয়ড শেষ হয়ে গেলে ফোন আপডেট করতে হবে। এটাই নিয়ম। নাহলে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর প্রধান কারণ সিকিউরিটি প্যাচের অভাব। দীর্ঘ সময় ফোন আপডেট না করলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে আবার কিছু অ্যাপ নিয়মিত আপডেট করতে হয়। নাহলে পুরনো ভার্সনে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। স্মার্টফোন ইউজারদের কমবেশি এই অভিজ্ঞতা আছে। তাই পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করলে চরম সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।

নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকেই অ্যাপ ইনস্টল এবং আপডেট করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা গুগল প্লে স্টোরও এড়িয়ে যেতে বলেন। পরিবর্তে গুগল প্লে প্রোটেক্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- T20 বিশ্বকাপে চূড়ান্ত অব্যবস্থা, ক্রিকেটের গোড়ার জিনিসগুলোই ভুলে গিয়েছে ICC

ওয়েব ব্রাউজ করার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে ফাইল ডাউনলোড হতে শুরু করে। এতেও ঝুঁকি থাকে। মাথায় রাখতে হবে, ম্যালওয়্যার যে কোনও জায়গা থেকে আসতে পারে।

স্মার্টফোন আপডেটেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বোঝা গেল। কিন্তু ফোন যদি আপডেট নেওয়া বন্ধ করে দেয়, তাহলে কী হবে? এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে। তবে জটিল প্রক্রিয়া। এখানে দেওয়া হল তারই হদিশ।

লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড আপডেট পেতে ইউজার থার্ড পার্টি ROM ইনস্টল করতে পারেন। অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। ইনস্টল করার আগে গবেষণা করা উচিত। তারপর নির্দেশাবলী সাবধানে অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাপ ইনস্টল নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অ্যাপ যাতে ফোনের সংবেদনশীল তথ্য এবং ফাংশন অ্যাক্সেস করতে না পারে তার জন্য অনুমতি সীমিত করে দেওয়া উচিত।

ফোনকে ম্যালওয়্যার এবং অন্যান্য ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচাতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল এবং নিয়মিত আপডেট করা উচিত।

অ্যাপ স্টোর থেকে লেটেস্ট ভার্সন আপলোড করে অ্যাপ আপ টু ডেট রাখতে হবে।

আরও পড়ুন- অপরাজিত ১৭৫ রান! ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ২২ গজে মহাকাব্য লেখেন কপিল

পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার না করাই উচিত। এতে ঝুঁকি রয়েছে। ফোন যে কোনও সময় হ্যাক হয়ে যেতে পারে।

ফোন খুব পুরনো হয়ে গেলে সিকিউরিটি আপডেট নাও নিতে পারে। এক্ষেত্রে নতুন মডেল কিনে নেওয়াই ভাল।