বীরভূম: কে হবেন বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতীর আচার্য নেই।স্থায়ী উপাচার্যও নেই।সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকেরও পদ শূন্য।অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে।চলতি বছরের জুলাই মাসে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম প্রস্তাব করে পাঠানো হয়।তবে তাঁর সিলমোহর এখনও রাষ্ট্রপতি দফতর থেকে বিশ্বভারতীতে পৌঁছায়নি। ইতিমধ্যেই স্থায়ী উপাচার্য আসতে পারেন এই মর্মে সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টে বিতর্ক তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: মুখে হুইসেল! রোদ হোক বা বৃষ্টি হাজির ওঁরা!…চোখে স্বচ্ছ বাঁকুড়ার স্বপ্ন! দেখুন
কেউ কেউ লেখেন ভূপদার্থবিদ আইটিআই খড়গপুরের গবেষক শঙ্করকুমার নাথ স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ হতে চলেছেন।যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেন জানান, আমাদের কাছে এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রক থেকে কোনও নির্দেশিকা আসেনি।নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত ভিত্তিহীন বিষয় সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করব না।স্থায়ী উপাচার্য এলেই সবাই জানতে পারবেন। বিতর্ক ছড়ানোর কিছু নেই।”
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশ থেকে দুর্নীতি, বঙ্গে এসেই ২৬’এ পরিবর্তনের ডাক অমিত শাহের!
প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ নভেম্বর স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়। ৯ নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয়কুমার মল্লিক।কিন্তু বর্তমানে দু’বছর কার্যকালের পর তাঁর অধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৫ মে।স্বভাবতই বিশ্বভারতীর নিয়ম অনুসারে অধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য থাকতে পারেননা।
পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে দায়িত্ব গ্রহণ করেন পল্লিশিক্ষা ভবনের অরবিন্দ মণ্ডল। তাঁরও ৩১ আগস্ট কর্ম সমিতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য রয়েছেন পল্লিশিক্ষা ভবনের বিনয়কুমার সোরেন।কে হচ্ছেন স্থায়ী উপাচার্য এই নিয়েই দোটানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।সবাই চায় একজন স্থায়ী উপাচার্য দেওয়া হোক।সেটা না হলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন ছাত্র ছাত্রীরা।
সৌভিক রায়