Tag Archives: viswa bharati

Viswa Bharati student death: হোয়াটস্যাপ চ্যাটে হুমকি, রহস্য! কোন চাপে আত্মঘাতী বিশ্বভারতীর ছাত্রী?

বোলপুর: বিশ্বভারতীর ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় নয়া মোড়৷ মৃত ছাত্রীর মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখে পুলিশের অনুমান, কোনও কারণে ৫ লক্ষ টাকা চেয়ে ওই ছাত্রীর উপরে চাপ তৈরি করেছিলেন এক ব্যক্তি৷ হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে৷ সেই মানসিক চাপ থেকেই ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান পুলিশের৷

শুধু তাই নয়, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, টাকা তোলার জন্য বোনের অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের থেকে টাকাও তুলতে শুরু করেছিলেন ওই ছাত্রী৷ প্রায় ৭০ হাজার টাকা তুলেওছিলেন তিনি৷ যদিও উত্তরপ্রদেশের বেনারসের বাসিন্দা ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা বোলপুরে পৌঁছে জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর কোনও বোনই অসুস্থ নন৷ এর থেকেই তদন্তকারীদের দৃঢ় ধারণা, টাকা দেওয়ার জন্য প্রবল চাপ ছিল ওই ছাত্রীর উপরে৷

পুলিশ সূত্রে খবর, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে এক ব্যক্তি টাকা চেয়ে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন ওই ছাত্রীর উপরে৷ টাকা না দিলে তার পরিণতিও খুব খারাপ হবে বলে ওই ছাত্রীকে হিন্দিতে হুমকি দেওয়া হয়েছিল৷ পাল্টা ওই ছাত্রীও শেষ বার ওই ব্যক্তিকে লেখেন, ‘আপনি কী করবেন?’ জবাবে ওই ব্যক্তি লেখেন, ‘অপেক্ষা করো, বুঝতে পারবে৷’

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর শিল্প সদনের পড়ুয়া ওই ছাত্রী হস্টেলের ভিতরেই বিষ খান৷ অন্যান্য ছাত্রীরা বিষয়টি জানতে পেরে হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে খবর দেন৷ ওয়ার্ডেন এলে ওই ছাত্রী নিজেই তাঁকে বলেন, আমি বিষ খেয়েছি, আমাকে বাঁচান৷ পরে বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর৷

আরও পড়ুন: ‘একেই বলে সুপারস্টার!’ ফের নিশানায় দেব, ঘাটালের সাংসদের উপরে কেন চটলেন কুণাল?

মৃত ছাত্রীর সহপাঠীরা জানিয়েছেন, গত ৭ অগাস্ট বিশ্বভারতীর অধ্যাপক এবং পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠান ওই ছাত্রী৷ সেখানে তিনি লেখেন, বোনের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন৷ কিন্তু তাঁর পরিবার ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করতে পেরেছে৷ বাকি ৭০ হাজার টাকার জন্য সাহায্যে চেয়ে সহপাঠী এবং অধ্যাপকদের কাছে আবেদন করেন ওই ছাত্রী৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকাও পাঠান বিশ্বভারতীর অধ্যাপক এবং পড়ুয়ারা৷ পুলিশ অবশ্য তদন্তে জানতে পেরেছে ওই টাকা ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে নেই৷ বরং ছাত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে তা অন্য দুটি অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কাদের ওই টাকা পাঠান হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ তাহলেই ছাত্রীর মৃত্যু রহস্যের কিনারা হবে বলে মত তদন্তকারীদের৷

আত্মঘাতী ওই ছাত্রীর এক সহপাঠী জানিয়েছেন, টাকা উঠে যাওয়ার পরেও উৎকণ্ঠায় থাকতেন ওই ছাত্রী৷ কারণ জানতে চাইলে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে তিনি জানান, ‘আমার শরীর ঠিক নেই, এক ব্যক্তি ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আমাকে মানসিক অত্যাচার করছেন, আমার কাছে অত টাকা নেই। তারপরও আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। কী করব কিছু বুঝতে পারছিনা৷’ এরপরেই অভিযুক্তের সঙ্গে হোয়টসঅ্যাপে তাঁর কথোপকথন ওই সহপাঠীকে পাঠিয়েও দেন আত্মঘাতী ছাত্রী৷ সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরেই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ৷

Visva Bharati: কবে আবার স্থায়ী উপাচার্য পাবে বিশ্বভারতী? উত্তর অজানা

বীরভূম: ৩১ অগস্ট বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরপর দুই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অবসর নিতে চলেছেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে বিশ্বভারতীর অবস্থা অনেকটাই অগোছালো। আচার্য নেই, উপাচার্যও নেই। স্থায়ী উপাচার্য কবে পাবে তা জানেন না এখানকার কেউ।

ওয়াকিবহল মহল আক্ষেপের সুরে জানাচ্ছে, বিশ্বভারতীকে কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করে ১৯৯১ সালে। এরপর থেকে এরকম প্রশাসনিক সঙ্কট অতীতে আর কোনওদিনই দেখা যায়নি। পরপর টানা দুই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে দিয়ে প্রায় ন’মাস কোনরকমে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো নজিরবিহীন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: যোগাসনে জোড়া স্বর্ণপদক জয় বর্ধমানের এই ছাত্রীর

এই পরিস্থিতিতে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের মেয়াদ আদৌ বৃদ্ধি হবে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অরবিন্দ মণ্ডলের মেয়াদ বৃদ্ধি না করলে নিয়ম অনুসারে নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পদে বসবেন অভিজ্ঞ অধ্যাপক, পল্লি শিক্ষা ভবনের অধ্যক্ষ বিনয়কুমার সোরেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ নভেম্বর স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয়কুমার মল্লিক। চলতি বছরের ২৫ মে কর্মসমিতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ফলে নিয়ম অনুসারে উপাচার্যের পদ থেকে অবসর নেন তিনি।

গত ১১ জুলাই বিশ্বভারতীর আচার্য হিসেবে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছছ। কিন্তু সময় গড়িয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর নাম আচার্য হিসাবে রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর চূড়ান্ত অনুমোদন বিশ্বভারতীতে পৌঁছয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কঙ্কালসার প্রশাসন’ ও ‘শিক্ষার বেহাল পরিস্থিতি’ কবে গতিশীল হবে তা নিয়ে? বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, কর্মী ও অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ।

সৌভিক রায়