পাঁচমিশালি Happiest Country of the World: পৃথিবীর কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে সুখী বলুন তো! জানেন কেন তাঁদের জীবনে এত শান্তি, এত স্বস্তি? Gallery February 15, 2024 Bangla Digital Desk মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, কর্মহীনতা-সহ একাধিক সমস্যা সারা বিশ্বে মানুষের জীবন কার্যত দুর্বিষহ করে তুলেছে৷ একটা বৃহত্তর অংশের মানুষের মুখের হাসি চলে গিয়েছে। তবে, এরই মধ্যে একটুকরো এমন জায়গাও রয়েছে, যেখানকার মানুষ এখনও অন্যদের তুলনায় অনেকটাই সুখে এবং শান্তিতে বসবাস করেন৷ এটি এমন একটা দেশ, যা গত ৬ বছর ধরে সবচেয়ে সুখী দেশের তকমা পেয়ে আসছে। এখানকার জনসংখ্যার গড় মানুষই সুখী৷ কিন্তু, কেন? সম্প্রতি একজন বিশেষজ্ঞ ফাঁস করেছেন সেই রহস্য। কারণটা কিন্তু খুব সহজ৷ সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হল ফিনল্যান্ড৷ কিন্তু, কেন? সমীক্ষকেরা দেখেছেন, এখানকার বেশির ভাগ মানুষই কখনও হতাশ হন না৷ মনোবিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক মার্টেলা জানিয়েছেন, ‘‘এটা বললে আরও স্পষ্ট করে বলা হবে যে, ফিনল্যান্ড হল সেই দেশ, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে কম অসুখী মানুষ বসবাস করেন।’’ নিউ ইয়র্ক পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, মনোবিজ্ঞানী মার্টেলা বলেছেন, এর পিছনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে৷ আর এই ৩টি কারণই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, যে কোনও দেশের মানুষ যদি এই নিয়মগুলি মেনে চলতে শুরু করেন, তাহলে তাঁদের সুখী হতে বেশি সময় লাগবে না। এছাড়াও, আসবে সংহতির অনুভূতি, যা যে কোনও খারাপ পরিস্থিতির সাথে লড়াই করার শক্তি দেবে। প্রথম নিয়ম হল, সকলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বেঁচে থাকা। মার্টেলা বলেন, ফিনল্যান্ডের মানুষ ছোট থেকেই তাঁদের আশেপাশের মানুষের যত্ন নেওয়ার প্রাথমিক শিক্ষা পেয়ে থাকেন। এটি তাঁদের বেড়ে ওঠার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ এখানকার বাচ্চাদের সব সময় অন্যকে সাহায্য করার, ভালবাসার শিক্ষা দেওয়া হয়৷ এখানে প্রত্যেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সখ্যতা রাখার চেষ্টা করেন৷ সবসময় এমন কিছু করার চেষ্টা করতে থাকেন, যাতে তাঁদের মুখে খুশি দেখা দেয়। হাসানোর চেষ্টা করেন, গল্প করেন, কখনও কেউ কারও সঙ্গীর অভাব বোধ করতে দেন না। ফিনল্যান্ডে পরিচালিত অনেক গবেষণায় নিশ্চিত ভাবে জানা গিয়েছে, যাঁকা নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের সাথে সময় কাটাতে পারেন, তাহলে তাঁরা নিজের জীবনেও সুখী হতে পারেন। কারণ, আপনি আপনার ভাললাগা, মন্দলাগা, সমস্যা, অভিযোগ, আনন্দ সবকিছু পছন্দের মানুষদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। এতে যেমন মন হাল্কাও হয়, আনন্দ আসে, তেমন যায় হতাশাও৷ দ্বিতীয়ত, এখানকার সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি সবসময় সাহায্য করতে প্রস্তুত। এঁরা প্রতি মুহূর্তে নাগরিকদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টায় ব্রতী থাকেন। তৃতীয় বিষয় সম্পর্কে মার্টেলা যেটা জানিয়েছেন, তা সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনার দেশ কীভাবে চলছে, তা আপনার সুখের উপর বিশাল প্রভাব ফেলে। দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতা থাকলে আপনার মুখে হতাশার ছাপ ফুটে উঠবে। নৈরাজ্য সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক যাই হোক না কেন। তাই দেশে শান্তি থাকতে হবে। এটাও সুখের মাপকাঠি। ফিনল্যান্ডে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রয়েছে। গণপরিবহণ বেশ নির্ভরযোগ্য এবং সস্তা। যাঁরা বেশি আয় করেন এবং যাঁরা কম উপার্জন করেন তাদের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। জনগণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে এবং সেখানে দুর্নীতির পরিমাণ নামমাত্র।