আলু খেতে আমরা অনেকেই ভালবাসি। অনেকে আবার মোটা হওয়ার ভয়ে আলু খান না। কিন্তু, এই আলুতেই রয়েছে অনেক উপকারী গুণ। তবে, আলু একবার রান্না করলে সারা বছর থাকে না। এমন কোন সবজি আছে বলুন তো, যা সারা বছর খাওয়া যায়, একবার রান্না করলে?যা-ই খান তাতে থাকে এই সবজি। না হলে রং, স্বাদ কিছুই ভাল হয় না।তবে, সারা বছর রেখে দিতে হলে এমন ভাবে রান্না করতে হবে, যাতে সবজির গুণগত মান এবং পুষ্টিগুণ দুইই বজায় থাকে।যেমন ধরুন, টম্যাটো। মেদ ঝরাতে আপনার অন্যতম উপযোগী খাবার হতে পারে টম্যাটো। মেদ ঝরাতে বেশ উপকারী টম্যাটো এমনটাই জানাচ্ছেন মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার প্রীতম মুন। টম্যাটোয় নানান পুষ্টিকর উপাদান থাকার দরুন তা মেদ ঝরাতে এবং শরীরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এবং অন্যান্য ভিটামিনে পরিপূর্ণ এই সবজি আপনার মেদ ঝরাতে বিশেষ উপকারী।
সাধারণত জুলাই-অগাস্ট এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টম্যাটো কমে যায়। ফলে চাহিদা এবং যোগানের ভারসাম্য থাকে না। অনেক রাজ্যে ভারী বৃষ্টির কারণে চাষেরও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশি রাজ্যগুলি থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণে টম্যাটো সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে দাম ক্রমাগত বাড়ছে।তবে এই টম্যাটোই সেই সবজি, যা সারা বছর ধরে রেখে দেওয়া যায়। একবার বিশেষ ভাবে রান্না করে নিলেই হল এই খাবার।রাস্তায় বেরোলেই চাউমিন ,পাস্তা ,ম্যাগি নুডুলস কিংবা এগরোল সব কিছুতেই টম্যাটো সস ছাড়া অনেকের মুখেই ঢোকে না।খাওয়ার পর অনেকেরই মুখশুদ্ধির প্রয়োজন হয়। শেষ পাতে টম্যাটো আমসত্ত্ব, খেঁজুরের চাটনি হলেও মন্দ হয় না।এটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত ট্ম্যাটো রস পান করলে কোলেস্টেরল সহ অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বর্ষায় টম্যাটো খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।টমটোর গুণ অনেক। হজমশক্তি বাড়ায়। অনেকে বলেন, নিয়মিত টমেটো খেলে যৌবন অনেকদিন ধরে রাখা যায়। টমেটো পেটে ব্যাকটেরিয়ার হামলা থেকেও বাঁচায়।টমেটো দিয়ে বানানো সস একবার রান্না করে সারা বছর ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন আপনি। তবে হ্য়াঁ সবকিছুরই একটা এক্সপায়ারি ডেট থাকে। তা পেরিয়ে গেলে সেটা খাওয়া ঠিক নয় কিন্তু।তবে, ঘন ঘন টমেটো সস খেলে শরীরে ফোলা ভাব এবং জয়েন্ট এর ব্যথা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও অতিরিক্ত টম্যাটো সস খেলে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা ও দেখা যায়।(সতর্কীকরণ: প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। বিশদ জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
