কোচবিহার: আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির সরাসরি রাজনৈতিকরণ প্রসঙ্গে, এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কড়া সমালোচনা শাসক দলের। মঙ্গলবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ, কোচবিহারে মেখলিগঞ্জে এক নাবালিকার নৃশংস ধর্ষণের বিষয়ে নীরব শুভেন্দু। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একজন বিজেপি কর্মী।
গত সপ্তাহে মেখলিগঞ্জের বিজেপি নেতা দীপক শীলের বিরুদ্ধে তাঁর ১৩ বছরের প্রতিবেশীকে চ্যাংড়াবান্ধায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। প্রত্যাশিতভাবেই, পুরো বিজেপি শিবির এই বিষয়ে নীরবতা পালন করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার পর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব পরিবারটিকে ভয় দেখানোরও চেষ্টা করেছে। যদিও এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেনি রাজ্য বিজেপি শিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ঘটনা বিজেপির ‘বেটি বাঁচাও’ দাবির দ্বিচারিতাকেই প্রকাশ করে।
“যারা এই মৃত্যুকে ব্যবহার করে নোংরা রাজনীতি করছে এবং বাংলার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। আমরা তাদের মেখলিগঞ্জে মেয়েদের ধর্ষণ করতে এবং মাথাভাঙ্গায় প্রতিবাদ মিছিল করতে দেব না। আমরা ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচার চাই এবং অপরাধীদের গ্রেফতার চাই,” বললেন কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। বিরোধী নেতাদের মেখলিগঞ্জের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফোনে আছে দু’টোই, বলুন তো ওয়াইফাই ও হটস্পটের মধ্যে পার্থক্য কী? ৯৯%শতাংশই ভুল উত্তর দিয়েছেন
তৃণমূলের পাল্টা প্রতিবাদ নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে, ভৌমিক আরও বলেন, “আমরা আজ মেখলিগঞ্জে সমবেত হয়েছি প্রতিবাদ করতে সেই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে, যিনি ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন…আর জি করের ধর্ষিতা বা উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের ভুক্তভোগীরা – প্রতিবাদ সব ঘটনার বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। আমরা সেই মেয়েটির কথাও বলব, যাকে তার প্রতিবেশি খেলার মাঠ থেকে মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল এবং তারপর তাকে নিপীড়ন করা হয়েছিল। এমনকি মেখলিগঞ্জে, বিজেপির পতাকা নির্যাতিতার বাড়িতে জোরপূর্বক উত্তোলন করা হয়েছিল ভয় দেখানোর কৌশল হিসেবে। এমন জঘন্য অপরাধ কেবল বিজেপির পক্ষেই সম্ভব।”
“আমরা বিরোধী দলনেতার কাছে প্রশ্ন করতে চাই, যিনি আজ মাথাভাঙ্গায় রয়েছেন, কেন তিনি ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিরুদ্ধে সংঘটিত এই জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদ করছেন না?” প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা।
কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতির অভিযোগ, ‘‘এই বিজেপি নির্বাচনের আগে ধর্ষকদের দিয়ে প্রচার করায় এবং ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের ক্ষমা করে দেয়।’’ বাংলার মতো বিরোধী-শাসিত রাজ্যে, বিজেপি “ন্যায়বিচার” এর তকমাকে ব্যবহার করে নিজস্ব রাজনৈতিক প্রচারকে এগিয়ে নিয়ে যায়।