মাইক ব্যবসায়ী শ্যামল হাজরা

Bankura News: ভোট এলে কদর বাড়ে এনাদের! নয়ত অসম্পূর্ণ থেকে যায় ভোটের প্রচার

বাঁকুড়া: ভোট এলেই কদর বাড়ে এদের। প্রতিটা রাজনৈতিক দলের চোখের মনি হয়ে ওঠেন এনারা। জানলে অবাক হবেন যে, পাড়ার পার্টি অফিস থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার অসম্পূর্ণ থেকে যাবে এনাদের সক্রিয় ভূমিকা ছাড়া। প্রচারের বার্তা মানুষের কান পর্যন্ত পৌঁছানোর দায়িত্ব নেন এই ব্যক্তিরা। এঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাঁকুড়ার লোকপুরের বাসিন্দা শ্যামল হাজরা। বিগত ৩০ বছর ধরে চোঙ্গা এবং স্পিকারের মেরামতি এবং ভাড়া দেওয়ার ব্যাবসা করছেন তিনি। পুজো পার্বণ, পিকনিক , জন্মদিন থেকে অনুষ্ঠান বাড়ি, সব জায়গাতে এনার ডাক। ভাড়া করে কাঁধে করে বক্স, স্পিকার এবং মাইক বয়ে নিয়ে যান যুবকেরা। বিশেষ চাহিদা দেখা যায় ভোটের সময়।

প্রচারের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে রাজনৈতিক দলগুলি স্মরণাপন্ন হয় এনাদের কাছেই। ভোটের সময় বেড়ে যায় ব্যস্ততা। সারাদিনই কেটে যায় মেরামত এবং সাপ্লাইয়ের কাজে।সরকারি সচেতনতা মূলক প্রচার ছাড়াও। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোটের ট্রেনিং চলা কালীন মাইক এবং কর্ডলেস দিয়ে থাকেন। ভোটের আগে প্রস্তুতি তুঙ্গে বলেই জানালেন শ্যামল হাজরা। তিনি বলেন ভোটের আগে মাইক এবং আপলিফায়ার এর ভীষণ চাহিদা বেড়ে গেছে। সরঞ্জাম আগে থেকেই পরিপাটি করে তৈরি রাখতে হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতা এবং মন্ত্রীদের বক্তব্য যাতে সকলে স্পষ্ট শুনতে পান সেই দায়িত্বই নেন শ্যামল বাবু।

আরও পড়ুন : গরম পড়তেই চওড়া হাসি বাঁকুড়ার সদানন্দের মুখে! দাবদাহ বাড়লে খুশি বাড়ে

ভোটের ছাড়া কেমন চলে এই ব্যবসা? এই প্রশ্নের উত্তরে শ্যামল হাজরা জানান, “ভোট ছাড়াও শব্দ দূষণ বাদ দিয়ে অর্থাৎ মানুষকে ঠিক রেখে দৈনন্দিন জীবনে যে সকল অনুষ্ঠান হয় সেগুলিতে আমরা মাইক এবং অ্যামপ্লিফায়ার দিয়ে থাকি। পুলিশের নিয়ম পালন করেই আমরা সারা বছর কাজ করে থাকি।”

ভোটকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় বহু ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যাবসা। আবার ভোট চলে গেলে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে সেগুলি। অপেক্ষা শুরু হয় ভোট কিংবা ভোটের মতোই বড় কোনও একটা প্রোগ্রামের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বাঁকুড়ার ব্যবসায়ী শ্যামল হাজরা তাদেরই একজন যার সক্রিয় যোগদান ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে ভোটের প্রস্তুতি ও প্রচার।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী