বাহরাইচে ফের হিংস্র পশুর হানা, প্রাণের ভয়ে ঘরের বাইরে পা রাখছেন না কেউ!

Wolf Attack: বাহরাইচে ফের হিংস্র পশুর হানা, প্রাণের ভয়ে বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না কেউ!

বাহরাইচ: মাঝে কয়েকদিন বন্ধ ছিল। ফের উত্তরপ্রদেশে হিংস্র জন্তুর আক্রমণ। নেকড়েদের আতঙ্কে এবার কার্যত ঘর থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছে গ্রামবাসীরা।

গত কয়েক মাস ধরেই উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় হিংস্র পশুদের আক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে৷ কখন বাঘ, কখনও নেকড়ে আবার কখন শিয়াল৷ গ্রামবাসীদের জীবন কার্যত অতিষ্ঠি হয়ে উঠেছে৷ একটা সময় গ্রামবাসীদের উপর নেকড়ের দলের আক্রমণ রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল৷ মাঝে কয়েকদিন তা বন্ধ ছিল৷ আশা করা হয়েছিল, তারা হয়তো অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে৷ কিন্তু আসলে তা নয়৷ বাহরাইচের মহসি তহসিলে ফের মানুষখেকো নেকড়ে হানা দিয়েছিল!

আরও পড়ুন : বাঘকে ভয় দেখাতে ব্যবস্থা! বাঘের সঙ্গে যা হল, ভাবতে পারবেন না!

কয়েকদিন আগেই বন দফতরের কর্মীরা পাঁচটি নেকড়েকে ধরেছিল৷ তাদের জন্য বসানো হয়েছিল ক্যামেরা, ব্যবস্থা করা হয়েছিল ড্রোনের৷ এই সমস্ত যন্ত্রগুলি ফের বিভিন্ন জায়গায় বসিয়েছে বনদফতর, বাকি নেকড়েগুলিকে ধরতে৷ গ্রামবাসীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এবার নেকড়েরা আর দল বেঁধে আক্রমণ করছে না৷ একটা নেকড়েই বারবার আক্রমণ করছে৷ এই সেই দলের নেকড়ে হতে পারে, যে দলের পাঁচটি আপাতত বন দফতরের কাছে রয়েছে৷

অবশেষে গ্রামবাসীদের জন্য সুখবর৷ বৃহস্পতিবার সকালে ষষ্ঠ নেকড়েটিকে ধরে ফেলা হয়েছে। মহসীর সিকান্দারপুর এলাকায় এই নেকড়ের দেখা মিলেছে। এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে বিপজ্জনক নেকড়ের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। এই নেকড়ে অনেক দিন ধরে বন বিভাগের দলকে ফাঁকি দিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন : ৭৮ বছরে কেউ সরকারি চাকরি পাননি, ক্লাস টেন পাস দু’জন, জানুন এই গ্রামের কাহিনী

বন দফতরের দল এখনও পর্যন্ত ৫টি ভয়ঙ্কর নেকড়ে ধরেছে। এই নেকড়েরা এখন পর্যন্ত ১০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। এর আগে গ্রামবাসীর মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় এই ষষ্ঠ নেকড়ের ছবি ধরা পড়ে। বন দফতরের আধিকারিকরা এখন বাদ বাকি মানুষখেকো নেকড়েগুলিকে ধরতে নতুন নতুন পরিকল্পনা তৈরি করছে। আশা করা হচ্ছে, খুব শীগ্রই বাকি মানুষ খেকো নেকড়েগুলিকে ধরে ফেলা হবে।