দেওরকে অপহরণ করে পুলিশের জালে বৌদি! নাবালক শেষমেশ উদ্ধার

মালদহ: নাবালক দেওরকে অপহরণ করে মালদহে পুলিশের জালে বৌদি। পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার নাবালক দেওর। বিহারের কাটিহারে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হল পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া দেওরকে।

দেওরকে অপহরণ করে অত্যাচারের ভিডিও শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছিল বৌদির বিরুদ্ধে ।মালদহের ইংরেজবাজারের যদুপুর এলাকার বাসিন্দা পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া নাবালক দেওরকে বাপের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় বৌদি জাহেরা খাতুন।

বৌমা ছোট দেওরকে বাপের বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছেন ভেবে পরিবারের কেউই আপত্তি করেননি। কিন্তু, পরিবারের ভুল ভাঙে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।

আরও পড়ুন- দিঘাতে তোলপাড়, ২০০ কেজি ওজনের ওই বিশাল মাছ ঘিরে এলাকা সরগরম, দেখেছেন নাকি আপনি

একটি ঘরে নাবালক দেওরকে অপহরণ করে আটকে রেখে তার ভিডিও শ্বশুরবাড়িতে পাঠান বৌমা। একইসঙ্গে দাবি করা হয় দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ।

বিষয়টি জানিয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় অপহৃত শিশুর পরিবার । এরপরে তদন্তে নেমে বিহারে কাটিহারে হানা দিয়ে নাবালক দেওরকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত বৌদিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ দুপুরে দুজনকেই ফিরিয়ে আনা হয় মালদহে।

আদালতের মাধ্যমে ওই শিশুকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত বৌদি জাহেরা খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও অপহরণ কাণ্ডে জড়িত বৌমার প্রেমিক এখনও অধরা।

ধৃতের ভাসুর ও অপহৃতের বড় দাদা সেলিম শেখ বলেন, ছোট ভাইকে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বিহারের কাটিহারে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে তালা বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বাড়িতে সেই ছবি পাঠিয়ে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মেজ ভাইয়ের বউ।