কড়া পদক্ষেপ পুলিশের, বর্ধমানে গণপিটুনির ঘটনায় গ্রেফতার ছয়

বর্ধমান: কড়া পদক্ষেপ নিল পুলিশ। বর্ধমানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে চারজন মহিলা।

ধৃতদের শনিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, আইন হাতে তুলে নেওয়া কখনওই উচিত নয়। এই ধরণের ঘটনায় যারা জড়িত থাকবেন তাঁদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুক্রবার বর্ধমান শহরে দিনের বেলায় জনবহুল এলাকায় গনপ্রহারের শিকার হয় এক মহিলা সহ দুজন। ছেলেধরা সন্দেহে আটকে রেখে মারধর করা হয় তাদের। বর্ধমান শহরের খাঁ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন- বাড়ির দরজায় আটকে বিশালাকার ওটা কী! কাছে যেতেই হাড়হিম সকলের, তারপর যা হল…

তারা একটি শিশুকে লজেন্স দিয়ে কথা বলছিল। তাতেই সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। এরপরই আটক করে শুরু হয় গনপ্রহার। বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। অভিযুক্তরা বলেন, তাঁরা ছেলেধরা নয়। ভিক্ষা করতে এসেছিল।

জানা গিয়েছে, খাঁ পাড়া এলাকার একটি শিশুর সঙ্গে কথা বলছিল পাঁচ জন অপরিচিত পুরুষ মহিলা। এলাকার কয়েকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাদের পরিচয় জানতে চায়। তখন স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তারা এলাকা থেকে পালাতে সচেষ্ট হয়। তারা দৌড় শুরু করে। তাতে সন্দেহ বাড়ে এলাকার বাসিন্দাদের।

কয়েকজন তাদের তাড়া করে গিয়ে কিছু দূরে তেলমারুই পাড়া এলাকায় এক মহিলা সহ দুজনকে ধরে ফেলে। এরপর ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ।

খবর পেয়ে প্রচুর লোকজন জমে যায় ঘটনাস্থলে। তার জেরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন- সেজে বসে রইল কনে, বিয়ে করতেই এল না জায়ান্ট-এর শাগরেদ রাহুল!

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এরপর বর্ধমান থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে  আক্রান্তরা জানিয়েছে তাদের কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ভিক্ষা করার জন্যই ওই এলাকায় তারা গেছিল।

স্থানীয় লোকজন তাদের ছেলেধরা সন্দেহে তাড়া করে বেধড়ক মারধর করে। এরপর পুলিশ এলাকায় গিয়ে তদন্ত শুরু করে। এরপর গণপিটুনিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ছ জনকে গ্রেফতার করা হয়।