বিলাসপুর: হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে একটি চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এক মহিলা প্রধান, ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের (বিডিসি) উপ-প্রধানকে সপাটে চড় মারলেন। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ বিলাসপুরের সদর বিকাশ খণ্ড অফিসের হলরুমে অনুষ্ঠিত একটি ত্রৈমাসিক বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।
নমহল পঞ্চায়েতের প্রধান, জীবন লতা নামের ওই মহিলা প্রকাশ্যে সদর পঞ্চায়েত সমিতির উপ-প্রধান মাস্তরম ঠাকুরকে চড় মারেন এবং তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় বৈঠকে একটি উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। উপস্থিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা তাকে ধরার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। পালিয়ে যান সেই প্রধান।
সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীতা ধিমান এবং উপ-প্রধান মাস্তরম ঠাকুর ঘটনার পর পরই পুলিশে খবর দেন, এবং পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। উপ-প্রধান এবং অন্যান্য সদস্যদের বক্তব্যের ভিত্তিতে, নমহল প্রধানের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর রেজিস্টার করা হয় এবং তদন্ত শুরু হয়। বৈঠকে ২৫ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিলাসপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীতা ধিমান বলেন, “ত্রৈমাসিক বৈঠকের সময় হঠাৎ করে এক মহিলা প্রধান ঢুকে পড়ে এবং পঞ্চায়েত সমিতির উপ-প্রধান মাস্তরমকে চড় মারেন। এরপর তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।”
আরও পড়ুন: পেট বোর্ডিং সেন্টারের অবহেলায় পোষা কুকুরের মৃত্যু, মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
ধিমান জানান, মহিলা প্রধান বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন না এবং তবুও তিনি সেখানে হাজির হয়েছিলেন। সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহিলা প্রধানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।
বিলাসপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির উপ-প্রধান মাস্তরম ঠাকুর বলেন, “আমার সঙ্গে নমহল প্রধান জীবন লতার কোনও বিবাদ ছিল না। তবুও তিনি হঠাৎ করে এসে আমাকে চড় মারলেন।” তিনি জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন, যার মধ্যে অভিযুক্ত মহিলা প্রধানকে আটক এবং তার পদ থেকে অপসারণের দাবি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ঠাকুর সতর্ক করেছেন, “যদি রাজনৈতিক চাপ বা অন্য কোনও কারণে মহিলার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আমি উপ-প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেব।”