Tag Archives: Himachal Pradesh
Himachal Pradesh political crisis: হিমাচল প্রদেশে টানটান নাটক!…‘কেউ আমায় ইস্তফা দিতে বলেনি,’ যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী সুখুর
শিমলা: সকাল থেকেই গুঞ্জন চলছিল ঘরে বাইরে৷ এবার কি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হবে সুখবিন্দর সিং সুখুকে! কিন্তু, দিন গড়াতে না গড়াতেই যাবতীয় জল্পনার ইতি ঘটিয়ে সুখবিন্দর জানিয়ে দিলেন, তাঁকে কেউ পদত্যাগ করতে বলেননি, এমনকি, তিনি নিজেও এমন কোনও প্রস্তাব দেননি৷ তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং তিনিই থাকছেন সেই সরকারের দায়িত্বে৷
দীর্ঘদিন ধরেই সুখবিন্দর সিং সুখুকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দাবি করে আসছিল কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ৷ তার উপরে ঘটে গেল রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনে কংগ্রেসের চরম বিপর্যয়৷
হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের হাতে ছিল ৪০ জন বিধায়ক৷ এছাড়াও তিন নির্দল বিধায়কও কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন এতদিন৷ সেখানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৬৮৷ ফলে রাজ্য থেকে একমাত্র যে রাজ্যসভার আসনটি ছিল তাতে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত ছিল৷
কিন্তু ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায় কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং বিজেপির হর্ষ মহাজন দু জনেই ৩৪টি করে ভোট পেয়েছেন৷ পরে জানা যায়, কংগ্রেসের ছয় বিধায়ক এবং তিন জন নির্দল বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন৷ শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোট সমান হওয়ায় টস করা হয়৷ তাতে হেরে যান কংগ্রেস প্রার্থী সিঙ্ঘভি৷
এই ফল সামনে আসতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর দাবি করেন, ভোটের ফলেই প্রমাণিত সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে৷ ফলে অবিলম্বে আস্থা ভোট করে নিজেদের শক্তির পরীক্ষা দিক কংগ্রেসের সরকার৷
এদিন রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়ে রীতিমতো উত্তাল হয় হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা অধিবেশন৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর সহ ১৫ জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয় এদিন৷ সাসপেনশনের পরে অধিবেশনকক্ষের বাইরে এসে ধর্নায় বসেন হিমাচল প্রদেশের বিজেপি বিধায়কেরা৷
অন্যদিকে, রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনে যে ৬ কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে, সূত্রের খবর, তাঁরাও এদিন যোগ দেন বিধানসভার অধিবেশনে৷ ৬ কংগ্রেস বিধায়ক ও ৩ নির্দল বিধায়ক-সহ ওই ৯ জন যখন বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন, তখন বেঞ্চ বাজিয়ে, শ্লোগান তাঁদের স্বাগত জানান বিজেপি বিধায়কেরা৷
জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পর পর একটি স্থানীয় হোটেলে লুকিয়ে ছিলেন ওঁরা ৯ জন৷ পরে তাঁরা বিজেপি শাসিত হরিয়াণার পঞ্চকুলায় চলে যান৷ বুধবার অবশেষে শিমলায় ফিরে বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেন তাঁরা৷
এদিকে, রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনের ঘটনার পর মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বিক্রমাদিত্য সিং৷ জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না৷ তবে, বাজেট পাশ করার ক্ষেত্রে, আমি বর্তমান সরকারকে সমর্থন করব৷
Himachal Pradesh: হিমাচল প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী বদল? কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করলেন সুখবিন্দর
শিমলা: লোকসভা ভোটের মুখে হঠাৎই হিমাচল প্রদেশে শুরু হল রাজনৈতিক ডামাডোল৷ ছয় কংগ্রেস বিধায়ক রাজ্যসভার নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বিজেপি সাংসদের পক্ষে৷ তারপরেই শুরু উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবি৷ শোনা গিয়েছে, সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু পৌঁছে গিয়েছেন হোটেল সিসলিতে, সেখানে তিনি দেখা করবেন কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লা ও ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গে৷
নিউজ এইট্টিনের সূত্র মারফত খবর, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উপ-মুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রীর নাম প্রস্তাব করেছেন কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক৷ প্রায় ১২ জন বিধায়ক বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বিশেষ ভাবে না খুশ৷ তাঁরা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নিজেদের বিরক্তির কথা প্রকাশ করেছেন৷ তাঁরা দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে যেন বদল করা হয়৷
খবর মিলেছেন, হিমাচলে, কংগ্রেসের দুই বিধায়ক সুধীর শর্মা ও রাজেন্দ্র রাণা এই প্রতিবাদী বিধায়কদের নেতৃত্ব দিয়েছেন৷ রাজেন্দ্র রানা পরাস্ত করেছিলেন প্রেম কুমার ধুমলের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীকে৷ তাঁর পরেও তাঁকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি৷ শুধু রাণা নন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের জেলা থেকে তিনি জিতেছেন৷ এই বিরোধী বিধায়করা নিজেদের সরকার সম্পর্কে কুমন্তব্য করছেন৷
এ দিকে কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দলের বিধায়কদের পক্ষ থেকে বিরোধী ছয় বিধায়ককে বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ এ দিকে এর মধ্যে রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুরকে৷ ফলে নতুন করে তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে৷ সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, ‘মার্শাল আমাদের বিধায়কদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন৷ নিরাপত্তা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা কেবলমাত্র স্পিকারের কথা শুনছেন৷ তবে সরকারের কোনও ক্ষমতা নেই এটি করার৷’
Himachal Pradesh political crisis: লোকসভা ভোটের আগেই হিমাচলে বড় নাটক? টলমল কংগ্রেসের সরকার, রাজ্যপালের কাছে বিজেপি
সিমলা: লোকসভা নির্বাচনের আগেই কি বড়সড় নাটক অপেক্ষা করছে হিমাচল প্রদেশে? কারণ রাজ্যসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশ থেকে কংগ্রেসের কার্যত নিশ্চিত আসনটি ছিনিয়য়ে নেওয়ার পরই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি৷ ইতিমধ্যেই আস্থা ভোট চেয়ে বিজেপি বিধায়করা আজ সকালেই হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন৷
হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের হাতে ছিল ৪০ জন বিধায়ক৷ এছাড়াও তিন নির্দল বিধায়কও কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন এতদিন৷ সেখানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৬৮৷ ফলে রাজ্য থেকে একমাত্র যে রাজ্যসভার আসনটি ছিল তাতে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত ছিল৷
আরও পড়ুন: কাঁথি, তমলুকে এবার অধিকারী পরিবার থেকে প্রার্থী কে? বড় চমক দিতে পারে তৃণমূলও
কিন্তু ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায় কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং বিজেপির হর্ষ মহাজন দু জনেই ৩৪টি করে ভোট পেয়েছেন৷ পরে জানা যায়, কংগ্রেসের ছয় বিধায়ক এবং তিন জন নির্দল বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন৷ শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোট সমান হওয়ায় টস করা হয়৷ তাতে হেরে যান কংগ্রেস প্রার্থী সিঙ্ঘভি৷
এই ফল সামনে আসতেই হিমাচল দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি৷ দলের রাজ্য সভাপতি এবং হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের দাবি, ভোটের ফলেই প্রমাণিত সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে৷ ফলে অবিলম্বে আস্থা ভোট করে নিজেদের শক্তির পরীক্ষা দিক কংগ্রেসের সরকার৷
বিপদ বুঝে সরকার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কংগ্রেসও৷ বিদ্রোহী ছয় বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের জন্যও তারা বিধানসভার স্পিকারের কাছে দাবি জানিয়েছে৷
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সুখবিন্দর সিং সুখুকে সরানোর জন্য বিধায়কদের একাংশ দাবি জানিয়ে আসছিল৷ ওয়াকিবহল মহলের মতে, সেই ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে এই ঘটনা প্রত্যাশিতই ছিল৷ সরকার বাঁচাতে দুই নেতা ডি কে শিবকুমার এবং ভূপেন্দ্র সিং হুডাকে সিমলায় পাঠিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড{ লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস হিমাচলে নিজেদের সরকার বাঁচাতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার৷
Knowledge Story: নগ্ন রাখা হয় গোটা গ্রামের মহিলাদের! হাসি, সহবাসেও বারণ থাকে! ভারতেই আছে এই গ্রাম!
IPS Transfer: স্ত্রীর হাত থেকে দায়িত্ব বুঝে নিলেন স্বামী; হিমাচলের এসপি অফিসে বিরল দৃশ্য
মন্ডি, হিমাচল প্রদেশ: স্বামী-স্ত্রী একই পদে কর্মরত। এমন উদাহরণ হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু একে অন্যের হাতে দায়িত্বভার তুলে দিচ্ছেন! শুধু দেশে কেন, গোটা বিশ্বেই এমন নজির প্রায় নেই বললেই চলে। হিমাচল প্রদেশে ঠিক সেটাই ঘটল। আইপিএস সাক্ষী ভার্মা তাঁর আইপিএস স্বামী ড. কার্তিকেয়ন গোকুলচন্দ্রনকে দায়িত্ব হস্তান্তর করলেন। গোটা দেশ অবাক হয়ে দেখল সেই দৃশ্য।
দায়িত্ব হস্তান্তরের সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যাচ্ছে, দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পর এসপি অফিসে হাত মেলাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী। দুজনেরই পরণে খাকি উর্দি। মুখে হাসি। ভাইরাল ছবিতে দম্পতিকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। লিখেছেন, ‘অনেক অভিনন্দন। এভাবেই এগিয়ে যান। দেশের সেবা করুন। জয় হিন্দ।’
সম্প্রতি আইপিএস অফিসারদের একাধিক জায়গায় বদলি করেছে হিমাচল সরকার। তার মধ্যে এই দম্পতির বদলির আদেশও ছিল। ড. কার্তিকেয়ন গোকুলচন্দ্রন বিলাসপুরের এসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর স্ত্রী সাক্ষী ভার্মা ছিলেন কুল্লুর এসপি। সরকার কার্তিকেয়নকে কুল্লুর এসপি করে পাঠিয়েছে। সাক্ষীকে বদলি করা হয়েছে মান্ডিতে।
আরও পড়ুন– পুলিশের ইউনিফর্মে ছিনতাই ! দুর্বৃত্তকে হাতেনাতে ধরতেই ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য
শুক্রবার ড. কার্তিকেয়ান গোকুলচন্দ্রন কুল্লুতে পৌঁছন। সোজা চলে যান এসপি অফিসে। সেখান স্ত্রী সাক্ষী ভার্মার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। তারপর স্ত্রী সাক্ষীকে নিয়ে রওনা দেন মান্ডি। সেখানে স্বামীর উপস্থিতিতে মান্ডির এসপি হিসেবে দায়িত্ব নেন সাক্ষী। এখন পাশের দুই জেলার দায়িত্ব সামলাবেন এই দম্পতি। প্রসঙ্গত, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ২০১৪ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। কুল্লুর আগে সাক্ষী ভার্মা কিন্নরের এসপি-র দায়িত্বে ছিলেন। সিমলার এসপি হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। কাজ করেছেন সুন্দরনগরের প্রবেশন অফিসার হিসেবেও।
অন্য দিকে, ড. কার্তিকেয়ন গোকুলচন্দ্রন ছিলেন কেরল ক্যাডারের অফিসার। পরে তিনি হিমাচল ক্যাডার বেছে নেন। তিনি বিলাসপুরের আগে উনা এবং হামিরপুরের এসপি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়া মান্ডিতে এসপি ভিজিল্যান্স পদেও ছিলেন। বলে রাখা ভাল, কার্তিকেয়ন পাঁচ বছর কেরল ক্যাডারে ছিলেন। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত হিমাচল ক্যাডার হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন।