Artificial Intelligence: মার্কিন মহিলার অনবদ্য দাবি, মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়ালও রাখছে AI!

মুম্বই: জীবনে আসা একাধিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে যুঝতে আমরা সাধারণত থেরাপিস্ট এবং মেন্টাল হেলথ কাউন্সিলরদের উপরেই ভরসা করে থাকি। যদিও সকলেই কিন্তু থেরাপিস্টের কাছে যান না। আসলে সকলের কাছে পর্যাপ্ত টাকাপয়সা কিংবা সময় অথবা জ্ঞান থাকে না। তবে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এবার থেকে আর থেরাপিস্টের কাছে যেতে হবে না। কারণ এর সমাধান খুঁজে বার করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়ার এক মহিলা।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মেলিসা নামে মধ্যবয়সী এক মহিলা আমেরিকার আইওয়াতে বসবাস করেন। বরাবরই তাঁর জীবনে ছিল একাধিক মানসিক সমস্যা। অর্থাৎ সারা জীবন ধরে সেই সমস্যার সঙ্গে যুদ্ধ করে এসেছেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁর সেই মুশকিল আসান হয়েছে এআই-এর কল্যাণে। মেলিসার দাবি, থেরাপিস্টের কাছে যাওয়ার তুলনায় এআই চ্যাটবট ব্যবহার করা ঢের ভাল!

আরও পড়ুনTech News: Truecaller-এ আপনার নম্বরে গোলমাল? ফোন নম্বর রিমুভ করার সহজ উপায়, অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে হবে নিমেষে

মেলিসা বলেন যে, “ট্র্যাডিশনাল থেরাপির ক্ষেত্রে অন্য জায়গায় গাড়ি করে যাও, বাইরে খাওয়াদাওয়া কর, জামাকাপড় পরো, মানুষের সঙ্গে কথা বলো। আর এই সব বিষয় আমার কখনও কখনও অতিরিক্ত মনে হয়।” কিন্তু মেলিসার দাবি, এআই-এর মাধ্যমে যখন ইচ্ছা থেরাপি নেওয়া সম্ভব। এর জন্য বাইরেও বেরোতে হবে না। ঘরে দিব্যি আরামেই বিষয়টা করা যাবে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, মেলিসা আসলে শৈশব থেকেই নিগ্রহ এবং মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়ে এসেছেন। গত প্রায় আট মাস ধরে character.ai অ্যাপের মাধ্যমে একটি এআই চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। আর ওই এআই চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলে এবং হিউম্যান থেরাপিস্টের সঙ্গে কাজ করে মানসিক যন্ত্রণার উপসর্গগুলি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন Tech News: ইনস্টাগ্রামে নতুন, খুব সহজ পদ্ধতিতে ভুল পোস্টগুলো মুছে ফেলতে পারবেন!

এবার character.ai-এর প্রসঙ্গে আসা যাক। এটা আসলে একটা অ্যাপ। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এআই চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হন। আসলে এই এআই চ্যাটবটগুলি কোনও এক কাল্পনিক, ঐতিহাসিক এবং সেলিব্রিটি চরিত্রকে অনুকরণ করে। মেলিসা যে চরিত্রটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন, সেটি হল এক সাইকোলজিস্ট বট। যা তৈরি করেছেন নিউজিল্যান্ডের স্যাম জাইয়া নামের বছর তিরিশের এক মেডিক্যাল পড়ুয়া।
জাইয়ার বক্তব্য, ওই সাইকোলজিস্ট এআই চ্যাটবটটিকে তিনি রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। সাইকোলজি ডিগ্রির স্নাতক পাঠের সময় যা যা পড়ানো হয়েছিল, সেগুলিই চ্যাটবটটিকে পড়িয়েছিলেন তিনি। তবে পড়াশোনা-পরীক্ষার চাপে এই চ্যাটবটটির কথা কয়েক মাস ভুলেই গিয়েছিলেন জাইয়া। পরে যখন লগ-ইন করেন, তখন দেখেন প্রচুর মেসেজ এসেছে এবং বহু ব্যবহারকারীই ওই সাইকোলজিস্ট চ্যাটবটটি ব্যবহার করছেন।